পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৫৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্যা। ] মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। ૧૧ জানেন, এই অস্বাভাবিকভার প্রতিকূলে ऍड़ाईबा তাহাকে কি, উৎকট ত্যাগস্বীকারে প্রস্তুত হইতে হইয়াছিল । সেদিন 'সঞ্জীবনী’পত্রিকায় পড়িতেছিলাম, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ধৰ্ম্মপ্রচারকালে ইংরেজি বাগিতার প্রশ্রয়দাভা ছিলেন না ; এই একটি আচরণেই জাময় তাহাকে জামাদের অস্বাভাবিক অবস্থার বিরোধিরূপে দেখিতে পাই । অন্ত উদাহরণের উল্লেখের সম্প্রতি প্রয়োজন নাই । সাক্ষাৎ সম্বন্ধে তাহাকে বঙ্গসাহিত্যের সেবকরূপে প্রতিপন্ন করিতে গেলে তাহাকে • সঙ্কীর্ণ গওীর মধ্যে আবদ্ধ করিতে হইবে। কিন্তু তিনি সমাজমধ্যে যে ভাবের আন্দোলন উপস্থিত করিয়াছিলেন, যে আন্দোলনে জামাদের শিক্ষিতসমাজ এক কালে ক্ষুব্ধ ও ভরঙ্গিত ও চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছিল, তাহার • প্রভাব বঙ্গসাহিত্যে স্থায়ি ভাবে বৰ্ত্তমান থাকিবে , সেই বর্ষাকালের ঝটিকা-দুর্যোগ এখন প্রশাস্তভাব ধারণ কল্পিয়াছে ; কিন্তু তখন যে সকল ভাবের উৎস খুলিয়া গিয়াছিল, তাহার ধারা প্রবাহে ষে কলনদিনী স্রোতস্বতীর উৎপত্তি হইয়াছে, তাহ বঙ্গের সাহিত্যভূমিকে মু জল। স্বফল শস্তগুiমলা করিয়া তুলিয়াছে। যাহারা ভারতবর্ষের ইতিহায় সম্যকভাবে चक्षुrश्चन बळेिश्र!ंश्न, ऊँIश्[द्र! १i८नन, স্বাস্তষ্কোর সহকারে সংঘমই ভারতসমাজের প্রধান লক্ষণ । আমরা র্যাহার তিরোভাৱে, শোক প্রকাশের জন্ত অন্ত এই সভাস্থলে সমৰেত হইয়াছি, তিনি সেই ভারতলমাড়ের নেতা মহবিগণেরই সস্তান ছিলেন, ও স্বাতন্ত্র্যের সহিত সংযমই তাহার মহনীয় চরিত্রের প্রধান লক্ষণ ছিল । ভগীরথের ন্তায় শঙ্খধ্বনিপূর্বক তিনি ৰে অভিনব সাহিত্যের চাগীরথী বঙ্গভূমিতে প্রবাহিত করিয়া গিয়াছেন, স্বাতন্ত্র্যের সহিত সংযমকেই তাহার প্রধান লক্ষণস্বরূপে দেখিতে পাই । র্তাহায় অসামান্তক্ষমতাশালী পুত্ৰগণ বঙ্গসাহিত্যে যে কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন, পুত্ৰগণের সেই কৃতিত্ব পিতা হইতে বিচ্ছিন্ন করিবার কোন উপায় নাই। মাননীয় শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথের ‘স্বপ্নপ্রয়াণে যে উদাম স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় পাই, “সার সত্যের আলো- ‘ চনা’য় তাহা সংযমদ্বারা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রিত করিতেছে ; রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার , তরী’ ও ‘মানসী’র স্বাতন্ত্র্য ‘স্বদেশী সমাজ” এর কল্যাণ প্রদ সংযমে পরিণত হইয়াছে । তিনি একাধারে যে স্বাতন্ত্র্য ও সংযমের আদর্শ দেখাইরা গিয়াছেন, প্রার্থনা করি, সেই মহাদশ ৰঙ্গীয় সমাজকে ও বঙ্গীর সাহিত্যকে কৰ্ত্তব্যপথ প্রদর্শন করুক। তিনি যে মনস্বী পুত্ৰগণে র্তাহার সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট স্মরণচিন্তু আমাদিগকে অর্পণ করিয়া গিরাছেন, র্তাহার। চিরজীবী হইরা ৰঙ্গ ভারতীর ক্রোড় দেশ অলঙ্কৃত করুন । ঐরামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী।