পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৌকাডুবি ।

Pr>వ4:*

‘VG রমেশ ঠিক করিয়াছিল কলিকাতায় সে কেৰল কাজ সারিয়া চলিয়া আসিবে, কলুটোলার সে গলির ধার দিয়াও যাইবে না। সেদিনকার শরৎমধ্যান্ত্রে লজ্জায়, সজ্জায়, অভিমানে বিজড়িত কমলার সেই মূৰ্ত্তিখানি রমেশের হৃদয়ের মধ্যে মুদ্রিত হইয়া গিয়াছিল । গাজিপুর হইতে রেলগাড়ি করিয়া যখন সে চলিয়াছিল - দুই ধারে হেমন্তের পরিপূর্ণ শস্তক্ষেত্র অগ্রহায়ণের সোনার রৌদ্রে ঋলকিয়৷ উঠিতেছিল— তখন সেদিনকার সেই আরক্তিম মুখচ্ছবিটুকু এই হিল্লোলিত হামলতা, এই দিগন্তব্যাপ্ত স্বর্ণপ্লাবনে ভাসিয়া বেড়াইতে লাগিল। ঈষৎ শীতবায়ুর রোমাঞ্চস্পশ রমেশের শরীরে-মনে গভীরতর একটি স্পন্দনের সঞ্চার করিয়া দিল । রেলওয়ে-ষ্টেশনের গোলমাল, লোকজনের ভিড়, সমস্ত তাহার কাছে স্বপ্নের মত भेट्न হইতে লাগিল । রমেশ দঙ্গিপাড়ার বাসায় অগসিয়া উটুল। দিনের মধ্যে অতি অন্তু সময়ই কাজ কৰ্ম্মে কাটে, বাকি সময়টা ফুরাইতে চায় না । রমেশ কলিকতা ষে দলের সহিত মিশুিত, এবারে জাসিয় তাহাদের সহিত দেখা করিতে" পাৰ্বিল না। পাছে পথে কাহারে সহিত দৈবাৎ দেখা হইয় পড়ে, এই ভঙ্গ সে যথাসাধ্য সাবধীনে থাকিত । २ কিন্তু রমেশ কলিকাতায় আসিতেই একটা পরিবর্তন অনুভব করিল। ষে নির্জন আৰকাশের মাঝখানে, যে নিৰ্ম্মল শাস্তির পরিবেষ্টনে কমলা তাহার নব কৈশোরের প্রথম আবির্ভাব লইল্প রমেশের কাছে রমণীয় । হইয়া দেখা দিয়াছিল, কলিকাতায়, তাহার মোহ অনেকট ছুটিয়া গেল। দর্জিপাড়ার বাসায় রমেশ কমলাকে কল্পনাক্ষেত্রে আনিয়া" ভালবাসার মুগ্ধনেত্ৰে দেখিবার চেষ্টা করিল— · কিন্তু এখানে তাহার মন কোনমতে সাড়া দিল না আজ কমলা তাহার কাছে অপরিণত অশিক্ষিতা বালিকার রূপে প্রতিভাত হইল । কেমন করিয়া যে সে তাহাকে কোনোদিন প্রেস্থলীর ভাবে দেখিয়াছিল, আজি তাহ রমেশ ভাল বুঝিতেই পাঞ্জিল না । ৰে - বালিকা পৃথিবীকে গোলাকার বলিয়া সবেমাত্র শিখিয়াছে এবং এখনো আয়ত্ত করিতে পারে নাই—ম্বে বালিকা স্বপ্নেও জানে না প্রথম চালসের কি কারণে মুগুপাত হইয়াছিল, সে-ও যে শিক্ষিত স্বামীর সহধৰ্ম্মিণী হইরা উঠুিতে পারে, তাহারে কল্যাণময় সেবাকুশলতা যে হর্মুল্য, তাহারে পরিপূর্ণ হৃদয়োৎসর্গ যে বহুপুণ্যের পুরস্কার, কলিকাতার হাওয়ায় রমেশের মন তাহ স্বীকার করিতে পারিল না। যাহা সরল, যাহা

  • अषधल्ड, शंश ccटे कब्रिज भाऽब्रां बांब्र