পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় চতুর্থ খণ্ড.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48 बश्रेभर्थव। [ ৪র্থ বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ । রমেশ কছিল, “আমি একবার উপরের घटङ्ग शांझेद ।* e বেহার। তাহার খুমোচ্ছ্বসিত কেরোসিনের ডিপা লইয়া রমেশকে উপরে লইয়া গেল ! রমেশ ভূতের মত ঘরে ঘরে একবার ঘুরিয়া বেড়াইল-দুই-একটা চৌকি ও সোর্ক বাছিয়া-লইয়া তাহার উপরে বসিল । জিনিষপত্র, গৃহসজ্জা, সমস্তই ঠিক পূর্বের মতই আছে, মাঝে হইতে নলিনৰাবৃটিকে আসিল ? পৃথিবীতে কাহারে অভাবে অধিকদিন কিছুই শূন্ত থাকে না । ‘ যে বাতায়নে রমেশ একদিন হেমনলিনীর পাশে দাড়াইয়া ক্ষাস্তবর্ষণ শ্রাবণদিনের স্বৰ্য্যাস্ত আভায় ছট হৃদয়ের নিঃশব্দ মিলনকে মণ্ডিত করিয়া লইয়াছিল— সেই বাতায়নে আর কি স্বৰ্য্যাস্তের আভা পড়ে না ? সেই বাতায়নে আর কেহ আসিয়া আর একদিন যখন যুগলমূৰ্ত্তি রচনা করিতে চাহিবে, তখন পূৰ্ব্ব ইতিহাস আসিয়া কি তাহাদের স্থানরোধ করিয়া দাড়াইবে, নিঃশব্দে তৰ্জ্জনী তুলিয়া তাহাদিগকে দূরে সরাইয়া দিবে ? ক্ষুন্ন অভিমানে রমেশের হৃদয় স্ফীত হইয়া উঠিতে লাগিল। পরদিনে রমেশ এলাহাৰাদে না গিয়া একেবারে গাজিপুরে চলিয়া গেল । ૭૭ কলিকাতায় রমেশ প্রায় মাসখানেক কাটাইয়া আসিয়াছে। এই একমাস কমলার পক্ষে অল্পদিন নহে । কমলার জীবনে একটা পরিণতির স্রোত হঠাৎ অত্যন্ত দ্রুতবেগে বহিতেছে। উষার আলো যেমন দেখিতে দেখিতে প্রভাতের রৌদ্রে কুটিয় পড়ে— कथनात्र नाहीथकृडि cउनि चडि जब কালের মধ্যেই জুপ্তি হইতে জাগরণের মধ্যে সচেতন হইয়া উঠিল । শৈলজার সহিত शनि ऊांझांब्र धनिर्छ *क्रिञ्च नां ङ्हेड, टेनलङोग्न জীবন হইতে প্রেমালোকের ছটা ও উত্তাপ যদি প্রতিফলিত হইরা তাহার হৃদয়ের উপরে না পড়িত, তবে কতকাল তাছাকে অপেক্ষা করিতে হইত বলা যায় না । এখন বাহিরের দৃশু-শব্দ-গন্ধ তাহাকে মাঝে মাঝে অনিৰ্ব্বচনীয় ভাবে আবিষ্ট করিয়া তুলিতে লাগিল । তাহার হৃদয়ের সিংহদ্বারটি যেন খুলিয়া গেছে, তাই বিশ্বজগৎ সেখানে প্রবেশ করিবার পথ পাইয়াছে । • এখন প্রতিদিন প্রভাত তাহার কাছে নুতন হইয়া ফোটে । মধণহে শীতের রৌদ্র ? জানালার উপর দিয়া বাকিয়া তাহার ঘরের মধ্যে আসিয়া পড়ে, সেই রৌদ্রে পা মেলিয়া-দিয়া বাহিরের বনস্থলীর মৰ্ম্মর গুঞ্জনের সহিত তাহার হৃদয়ের ভিতরে ভিতরে কি-সকল অব্যক্ত কথা গুঞ্জরিয়া গুজরিয়া উঠে। শৈলজার প্রফুল্লমুখ, তাহার স্মিতহাস্ত, তাচুরি সাজসজ্জা, তাহার আসা-যাওয়া, সমস্ত তাহার कांटझ् ७कछि कांप्वाब्र मउ, गबौटउड़ भङ, কাহিনীর মত লাগে। পূৰ্ব্বে বেশভূষায় কমলার নিতান্ত অনাদর ছিল, চুল বাধিতে, ভাল করিয়া সাজিতে তাহার অভ্যস্ত বিরক্তিবোধ হইত। এখন আর সে ভাৰ নাই । এখন সে বিশেষ অম্বরোধ করিয়াe শৈলজার .কাছ হইতে বিচিত্র-রকমের চুল-বাধা শিখির লইয়াছে। এখন সে আপনিই একটু নৈপুণ্যের সহিত কুাপড়টি পরে, আঁচলটি পরিপাটি করিয়াৰিতাস করে--সীর্ষটি সোজা করিয়া, সক্ষ করিয়া কাটিতে যথেষ্ট স্বয় করে এৰং Q.