সপ্তম সংখ্যা । ] নৌকাডুবি । He q আমি ভয় করি—তুমি স্বল্প আলোচনার লোক নও, মোট কাজটাই তোমার সহজে আসে—আমি কাহিল মানুষ, তোমার ঘা আমার সহ হইবে না ? যোগেন্দ্র । দেখ অক্ষয়, তোমার ঐ সকল প্যাচালো চাল আমার ভাল লাগে না । বেশ বুঝিতেছি, একটা কি খবর তোমার বলিবার আছে, সেটাকে আড়াল করিয়া আমন দরবুদ্ধি করিবার চেষ্টা করিতেছ কেন ? সরলভাবে বলিয়া ফেল, চুকিয়া বাকু ! অক্ষয় । * আচ্ছা বেশ, তাঙ্গা গোড়া হইতেই বলি—তুমি অনেক কথাই জান না । হষ্টলে Re রমেশ দক্তিপাড়ায় যে বাসায় ছিল, সে বাসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হইয়া যায় নাই, ভtহ আর-কাহাকে ও ভাড়া দে ওয়া সম্বন্ধে রমেশ চিন্তা করিবার অবসর পায় নাই । সে এই কয়েকমাস সংসারের বাহিরে উধাও হইয়া গিয়াছিল, লাভক্ষতিকে বিচারের মধ্যেই पञt८न नांझे ॥ আজ সে প্রত্যুষে সেই বাসায় গিয়া ঘরদুয়ার সাফ করাইয়া লইয়াছে, তক্তপোষের উপর বিছান। পাতাইয়াছে এবং আহারাদিরও বন্দোবস্ত করিয়া রাখিয়াছে । আজ ইস্কুলের ছুটির পর কমলাকে আনিতে হইবে । সে এখনো দেরি আছে । ইতিমধ্যে রমেশ তক্তপোষের উপর চিৎ হইয়া ভবিষ্যতের কথা ভাবিতে লাগিল ৷ এটোয়া সে কখনো দেখে নাই-কিন্তু পশ্চিমের দৃশু *अमों कब्र कठेिन नटझ् । नङ्दब्रव्र ७थाट्यु তাহার বাড়ী—তরুশ্রেণীদ্বারা ছায়াখচিত বড় রাস্তী তাহার বাগানের ধার দিয়া চলিয়া গেছে—রাস্তার ওপারে প্রকাও মাঠ, তাহার মাঝে মাঝে কৃপ, মাঝে মাঝে পশুপক্ষী তাড়াইবার জন্য মাচা বাধা । ক্ষেত্রসেচনের জন্ত গোরু দির; জল তোলা হইতেছে, সমস্ত মধ্যাহে তাহার করণ শব্দ শোনা যায়—রাস্তা দিয়া প্রচুর ধূল উড়াইয়া মাঝে মাঝে একাগাড়ি ছুটিয়াছে, তাহার ঝনঝন শব্দে রৌদ্রদগ্ধ অণকাশ জাগিয়া উঠিতেছে । এই সুদূর প্রবাসের প্রখর তাপ, উদাস মধ্যtছু ও শূন্ত নিৰ্জ্জনতার মধ্যে সে তাহার রুদ্ধদ্বার বাংলাঘরে সমস্তদিন হেমনলিনীকে এক কল্পনা করিতে গেলে ক্লেশ অমুভব করিত । তাহার পাশে চিরসর্থীরূপে কমলাকে দেখিয়া সে আরাম বোধ করিল। কমলার ইতিহাস শুনিলে ও কমলার সুন্দর কিশোর মুখখানি দেখিলে মিলহৃদয়া হেমনলিনীর সহজেই স্নেহ আকৃষ্ট হইবে, তাহাতে রমেশের কোন সন্দেহ ছিল না । এই মেয়েটিকে মানুষ করা, ইহাকে লেখাপড়া শিথানে, হেমনলিনীর দিনযাপনের একটি প্রধান উপায় হইবে । তাহার পরে রমেশের ঘর যখন শিশুসন্তানের হাসিকান্নায় সরস হইয়া উঠিবে, তখন তাহtদিগকে মানুষ করিয়া, তাহীদের ভালবাসা পাইয়া, তাহদের মুখে মাসী সম্ভাষণ শুনিয়া - কমলার হৃদয়ের শূন্ততামোচন হইবে, তাহার বুক জুড়াইয়া যাইবে । 爱 রমেশ ঠিক করিয়াছে, এখন সে কমলাকে কিছু বলিবে না । বিবাহের পর হেমনলিনী তাহাকে বুকের উপর টানিয়া-লইয়া সুযোগ বুঝিয়া সকরুণ স্নেহের সহিত ক্রমে ক্রমে তাহাকে তাহার প্রকৃত ইতিহাস জানাইবে,
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩১০
অবয়ব