\9es হেমনলিনীর এইরূপ দৃঢ়তা দেখিয়া যোগেন্দ্র ভাবিল, তবে নিশ্চয় রমেশ হেমের কাছে সকল কথা বলিয়াছে ! কিন্তু হেমকে যাহ-তাহ বলিয়া ভুলানো ত শক্ত লয় ।” কহিল –“দেখ হেম, অবিশ্বাসের কথা হইতেছে না । কলুপিক্ষের অভিভাবকদের যাহা কৰ্ত্তব্য, তাহা করিতে হুইবে ত । তোমার সঙ্গে তার যদি কিছু বোঝাপড়া হইয়া থাকে, সে তোমরাই জান, কিন্তু সেই হইলেই ত ষথেষ্ট হইল না---আমাদের সঙ্গে ও তাহার বোঝাপড়া করিবার আছে । সত্য কথা বলিতে কি হেম, এখন তোমার চেয়ে আমাদেরি সঙ্গে তাহার বোঝাপড়ার সম্পর্ক বেশি– বিবাহ হইয়া গেলে জখন আমাদের বেশি কথা-বলিবার থাকিবে না ।* এই বলিয়৷ যোগেন্দ্র তাড়াতাড়ি চলিয়া গেল । ভালবাসা যে আড়াল, যে আবরণ খোজে, সে অণর রহিল না । হেমনলিণী ও রমেশের যে সম্বন্ধ ক্রমে বিশেষ ভাবে ঘনিষ্ঠ হইয়া দুইজনকে কেবল দুইজনেরই করিয়া দিবে; আজ তাহারই উপরে দশজনের সন্দেহেয় কঠিন স্পর্শ আসিয়া বারংবার আঘাত করিতেছে । চারিদিকের এই সকল আন্দোলনের অভিঘাতে হেমনলিনী এমনি ব্যথিত হইয় অাছে যে, আ স্ট্রীয় বন্ধুদের সহিত সাক্ষাৎমাত্র ও তাহাকে কুষ্ঠিত করিয়া তুলিতেছে । যোগেন্দ্র চলিয়া গেলে হেমললিলী চৌকিতে চুপ করিয়া বসিয়া রহিল । যোগেন্দ্র বাfহুরে যাইতেই অক্ষয় আসিয়া কহিল—“এই যে, গোগেন - আলিয়াছ ! সৰ কথা শুনিয়াছ ত ? এখন তোমার কি মনে হইতেছে ?” বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, কাৰ্ত্তিক । যোগেন্দ্র । মনে ত অনেকরকম হইতেছে, সে সমস্ত অকুমান লইয়া মিথ্যা বাদামুবাদ করিয়া কি হইবে ? এখন কি Fণয়ের টেবিলে বলিয়া মনস্তত্ত্বের স্বল্প আলোচনার সময় ? অক্ষয় । তুমি ত জানই স্বাক্ষা আলোচনাটা আমার স্বভাব নয়, তা মনস্তত্বই বল, দর্শনই বল, আর কাব্যই বল । আমি কাজের কথাই বুঝি ভাল—তোমার সঙ্গে সেই কথাই বলিতে মাসিয়াছি । অধীরস্বভাৰ যোগেন্দ্ৰ কহিল, “আচ্ছ, কাজের কথা হবে । এখন বলিতে পার, রমেশ কোথায় গেছে ?” অক্ষয় কহিল, “পারি।” যোগেন্দ্র প্রশ্ন করিল, “কোথায় ?” অক্ষয় কহিল, “এখন সে আমি তোমাকে বলিব না—আজি তিনটার সময় একেবারে তোমাকে রমেশের সঙ্গে দেখা করাইয়া দিব ।” যোগেন্দ্র কছিল----“কাও থানা কি বল দেখি ? তোমরা সবাই যে মূৰ্ত্তিমান হেঁয়ালি হইয়া উঠিলে ? আমি এই ক'দিনমাত্র বেড়াইতে গেছি, সেই সুযোগে পৃথিবীটা এমন ভয়ানক রহস্যময় হইয়া উঠিল ? না না অক্ষয়, আমন ঢাকাঢাকি করিলে চলিবে না ।* . च्प्रकब्र । ७निब्रा भूनि इहेणाम । छांकঢাকি করি নাই বলিয়া জামার পক্ষে একপ্রকার অচল হইয়া উঠিয়াছে—তোমায় বোন ত আমার মুখ দেখ বন্ধ করিয়াছেন, তোমার বাবা আমাকে সন্দিপ্তপ্রকৃতি বলিয়া গালি দেন, আর রমেশবাবুও আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হইলে আনন্দে রোমাঞ্চিত হইয় উঠেন না । এখন কেবল তুমিই ৰাকি আছ । তোমাকে