পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম সংখ্যা । ] দ্যায়, নাৰিক ভেলায় সমুদ্র পার হয়, কবির কণ্ঠের ফোয়ার খুলিয়া যায়, বিজ্ঞানবিং পণ্ডিতের স্বক্ষদৃষ্টি পাষাণভেদী হইয় উঠে । কোনো দিগ্বিজয়ী মহাপুরুষের চতুৰ্দ্দিকৃ হইতে যদি মনুষ্যমণ্ডলীর চক্ষু সুদূরে সরাইয়৷ রাখা যার, তবে তাছার মহাপ্রতাপাম্বিত শৌর্য্যবীৰ্য্য-প্রভাবপরাক্রম সমস্তই একমুহূৰ্ত্তে মাটি হইয়া যায় ! দেশশুদ্ধ লোকের প্রাণের চা ওয়া এবং চক্ষের চ। ওয়া. তুইই মঙ্গুষ্যের চক্ষুর দিকেই দিবানিশি উন্মুখ ; ত বছ. বর্তমান-কালের কৃতবিদ্যসমাজে কয় জনের প্রাণের এবং চক্ষের চা গুয়৷ ঈশ্বরের চক্ষুর প্রতি দিনের মধ্যে একবার ও প্র ত্যাবৰ্ত্তন করে ? কিন্তু যাহাই হউক না কেল মসুযা সত্যসত্যই কিছু অার পশু নহে - মনুষ্য মনুষ্য । এটা যখন স্থির যে, তৃতীয়চক্ষর উদ্ধদৃষ্টি মঙ্গুষ্যের একটি স্বজাতায় বিশেষত্ব, তখন তাহা হইতেই মাসিতেছে এই যে, সন্মুখদৃষ্টিই মঙ্গুষ্যের সব্বস্ব নহে । কিন্তু তখাপি সন্মুখদৃষ্টি এবং উদ্ধদৃষ্টি, হুয়ের মধ্যে এমনি একট) ক্রমাম্বল্পিতা-সম্বন্ধ মাছে—যাহা কোনে অংশেই উপেক্ষণায় নহে ; সে সম্বন্ধ এইরূপ : . মনে কর, একট। অরণের মধ্যে শাখায় শাখায় ঘর্ষাঘর্ষি হইয়া এক স্থানে অগ্নি উত্থিত হইল । প্রথমে সে অগ্নি বায়ুদ্বারা তাড়িত হইয়া সম্মুখে বিস্তৃত হইতে লাগিল, সার পত্যের জালোচন । * v守啤 এবং পরিশেষে সমস্ত অরণ্যটা কবলিত করিয়া আকাশাভিমুখে উদ্ধত হইয়া উঠিল । একটি এখানে দ্রষ্টব্য এই যে, যে দাবানলের নীচের বিস্তার যত বেশী, তাহার উপরের শিখাগ্র ততই উচেচ উত্থান করে । আরএকটি দ্রষ্টব্য এই যে, অগ্নির শিখাগ্র বিন্দুপরিমাণ ; অথচ সেই স্থানটিতে অগ্নির সমস্ত উত্তাপ যেন কেন্দ্রীভূত হইয়। রহিয়াছে— এমনি তাহার প্রবলা দাহিক শক্তি । তৃতীয় দ্রষ্টব্য এই যে, অগ্নির লীচের বিস্তার, শিখার উদ্ধগামিত। এবং শিখাঞ্জের প্রাথর্য্য, তিনের পরিমাণ পরম্পরের সদৃশ । এই উপমার সাহায্যে মোটামুটি এইরূপ একটা ভাবের উপলব্ধি সহজেই হইতে পারে যে, সম্মুখদৃষ্টির বিস্তার, উদ্ধদৃষ্টির একতানত, এবং লক্ষ্য কেন্দ্রের প্রভাবমাহাত্মা, তিনের মধ্যে সোসাদুগু রহিয়াছে । এবারকার প্রবন্ধে আলোচ্য বিষয় গুলি মোটামুটি লৌকিকভাবে বলিয়াচোক। হইল যাহ। বলা হইল—কথাগুলি মোটামুটি-ধরণের বটে, কিন্তু তাহীর মধ্যে অনেক গুলি স্বশ্ন বৈজ্ঞানিক এবং দার্শনিক তত্ত্ব চাপ। দে ওয়া রহিয়াছে । শেষোক্ত তত্ত্বগুলি খালসা করিয়া ভাঙিয়া না বলিলে পাঠক বর্গের মনের ধন্দ কিছুতেই মিটিবে না, তাছা - আমি বিলক্ষণই বুঝিতেছি । কাজেই সেই স্থগুন্নতত্ত্বগুলি অবশুপ্রকাশ্যঞ্চি ঞ্ছ শনৈঃশনৈ ক্রমশ । . . শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর । ,