বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

863 কেন—শকুন্তলার নয়নারবিন্দে দুৰ্ব্বাস ঋষির জটাজুটধারী ছবি যাহা পড়িয়াছিল, তাহাও তো একপ্রকার চাক্ষুষ-ক্রিয় ? তাহারই নাম স্বাখা । কিন্তু সে দেখা একপ্রকার অন্ধকারে ছায়া দ্যাথা, তাহ না-দ্যtখা’রই নামান্তর। মন কিন্তু আশ্চৰ্য্য সোনার কাটি ! মনের সংস্পৰ্শমাত্রে চক্ষুষ-ক্রিয়ার ঘুম ভাঙিয়া যায় ;—মুম ভাঙিয়া যায় বটে, কিন্তু চক্ষুতে তবুও ঘুমের ঘোর লাগিয়া থাকে । ফলে, মনের দ্যাখা এক প্রকার স্বপ্ন-দ্যাথা ; —তাহ প্রাণের দ্যাখা’র হার স্বপ্ত দ্যাথাও -নহে, আর, বুদ্ধির দ্যাখা’র স্থায় প্রবুদ্ধ দ্যাখাও নহে—পরন্তু দুয়ের মাঝামাঝি । শুধু কেবল “দেখিতেছি-মাত্র” বলিলে ষেরূপ দ্যাখা বুঝায়, তাহাই মনের দ্যাখা ! দেখিতেছিমাত্র রকমের দ্যাখা যে একপ্রকার স্বপ্নদ্যাথা, তাহার প্রমাণ এই ষে, স্বপ্নকালে যাহকিছু দেখা যায়, তাহ দেখিতেছি-মাত্র ছাড়া আর-কিছুই নহে। স্বপ্নকালে দ্রষ্টার শরীরে c5-sai ( sensation ) ... *stoo ol, • তাই। নহে ; স্বপ্নের বন-ভ্রমণে গায়ে কাচ। বিধিলে স্বপ্নদর্শকের চেতন হয় খুবই—হয় না কেবল &B-58 (self-consciousness ) otকালে দ্রষ্টার একটিবার ও এরূপ চৈতন্ত হয় না যে, আমি স্বপ্ন দেখিতেছি । স্বপ্নকালে দ্রষ্টার চেতন ( sensation ) থাকে, কিন্তু Čsēs ( self-consciousness y ofiz<e ai ; —আত্মবিস্মৃতি স্বপ্নের গলা-জড়ানার সখী । মণি অপেক্ষা মাণিক্যের মুল্য অনেক বেশী, এটা বখন সকলেরই জান। কখ, তখন এ কথা বলা বাহুল্য যে, চেতনার অপেক্ষা চৈতন্তের মূল্য অনেক বেশী। চৈতন্ত অপুৰ্ব্ব বঙ্গদর্শন । [ ৩য় বর্ষ, মাঘ । স্পর্শমণি ! চৈতন্তের সংস্পর্শে মনের স্বপ্ন ভাঙিয়া-গিয়া পুৰ্ব্বমুহূর্তে যাহা দেখিতেছিমাত্র ছিল, পরমুহুর্তে তাহা জানিতেছি হইয় উঠে। চৈতন্য বুদ্ধিরই অন্তরঙ্গ । তাই বুদ্ধির দ্যাখ। মনের দ্যাথ অপেক্ষ আরো একধাপ উচ্চ অঙ্গের দ্যাখ। মনের দ্যাথা সচেতন, কিন্তু সজ্ঞান নহে। বুদ্ধির দ্যtখাই সজ্ঞান দ্যাখা । মন দেখে-মাত্র ; বুদ্ধি দেখে শুধু ন, সেই সঙ্গে জানে যে, আমি অমুক বস্তু দেখিতেছি । দ্যাথা'র সঙ্গে এইরূপ যখন জানা’র স্বাখাসাক্ষাৎ হয়—চৈতন্ত্যের দ্যাখাসাক্ষাৎ হয়—তখন দ্রষ্টীর চক্ষু হইতে স্বপ্নের ঘোর চলিয়া ষায় ; স্বপ্নের ঘোর চলিরা গেলে সত্যাসত্যের খোজ পড়ে ; সত্যাসত্যের খোজ পড়িলে বুদ্ধি স্বকার্য্যে প্রবৃত্ত হয় ; স্বকীর্য-সে আর-কিছু না—সত্যের অবধারণ । ফল কথা এই ষে, যেমন গৃহবিড়াল বনে গেলেই বন-বিড়াল হয়, তেমনি প্রাণের অচেতন দ্যাথা মনে পৌছিলেই সচেতন দ্যাথ। হয়, এবং মনের আত্মবিস্মৃত রকমের অজ্ঞান দ্যাথ) বুদ্ধিতে পৌছিলেই সজ্ঞান দ্যখি৷ হয়। সজ্ঞান দ্যfখা’র কার্য্যক্ষেত্রে বুদ্ধির দুই অঙ্গ একত্রে থাটে ; এক অঙ্গ হ’চ্চে সামান্ত-জ্ঞান, আর-এক অঙ্গ হ’চ্চে বিশেষ্ণু জ্ঞান । বুদ্ধির যুগলাঙ্গ । বুদ্ধিপ্রদেশের কোনো-একটি ছোটোখাটো জ্ঞানক্রিয় ধরা যা’কৃ—যেমন “আমি জানিতেছি যে, আমি গোলাপফুল দেখিতেছি" এই একটি জ্ঞান-ক্রিয় । এরূপ স্থলে আমার জ্ঞান একযোগে দুইটি ব্যাপারে ব্যাপৃত হইতেছে ; একটি ব্যাপার হ’নচ আমি