পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ সংখ্যা: ] অদিরাকলস গ্রহণ করিলেন। জবিস্তানাশিনী কামবিজয়িনী মহাবিন্স কাষোপরিहिखाश्राश्वषाडिनैौ हिब्रभखाद्र भूखि *ब्रि०ारु করিলেন । ভাগবত-পাঞ্চরত্র-পাশুপত প্রভৃতি বিবিধ সম্প্রদায় আপন আপন ইষ্টদেবতার প্রসাদ লাভই সংসার হইতে উদ্ধারের একমাত্র সহজ উপায় বলিয়া প্রচাস্থিত করিতে লাগিল । অবশেষে যখন হরেনামৈব কেবলং কলিকপুঘনাশের ও পতিতু-উদ্ধারের সহজতম পন্থীস্বরূপে নিৰ্দ্ধারিত হইয় গেল, তখন অধঃপতিত ধিক্‌কৃত বৌদ্ধনামে পরিচিত হওয়া আর কেহ আfবগু ক বোধ করিল না । এ কালের পুরাণতন্ত্রে দেবদেবীর উপাসনা ও দেবদেবীর প্রসাদ লাভ চতুৰ্ব্বৰ্গ-ফলপ্রদ ও মোক্ষহেতু বলির অকাতরে নিদিষ্ট হইয়া থাকে । কিন্তু বলা বাহুল্য, এই মোক্ষ দর্শনশাস্ত্রের মোক্ষ নহে । সম্প্রদায়প্রবর্তক আচার্যগণের মধ্যে যাহার। সাবধান, তাহার। অনেকটা বুঝির কথা কহেন। ইষ্টদেবতার সালোক্য-সামীপ্য প্রভূতি তাহারা প্রার্থনা করেন ; সাযুজ্যসম্বন্ধে ভয়ে ভয়ে কথা কহেন ; আর নির্বাণমুক্তির নাম গুণিলেহ উমহারা চমকিয় উঠেন । মুক্তি, যাহার * বেদাস্তসম্মত পস্থ। জাৰত্ৰহ্মের একতানিরূপণ, ভাঙ্গ। আধুনিক ভক্ত বা প্রেমিক উপাসকের শিরঃপীড়াজনক। মাক্সের ছেলে রাম প্রসাদ চিনি খেতে ভালবাসিতেন, চিন হ’তে চাহিতেন ৭। বৈষ্ণব জাচার্ষ্যগণের অনেকে দম্ভের সহিত তাদৃশ উক্তির সমর্থন করিয়াছেণু। "এ বিষয়ে খ্ৰীষ্টানের সহিত আধুনিক বৈতৰাষ্ট্ৰী-ছিন্থর বড় পার্থক্য নাই । , , পৰীক্ষপ্লক্তিস্থাঙে ৰখন সনাতন ধর্শ্বের গুক্তি । 8,ు হইয়াছিল, সেই সময়ে ভগবান শঙ্করাচর্যের । জন্ম হয় । তিনি অগাধ বিদ্যাবলে ৪ অগাধধীশক্তিবলে বেদান্ত প্রতিপাদ্য মুক্তিক্তত্বের পুনঃপ্রচার করেন। তৎকালে বৌদ্ধ, জৈন, পাঞ্চরাত্র, পাশুপত, নগ্ন ক্ষপণক, কাপালিক প্রভৃতি বিবিধ সদাচারভ্রষ্ট বেদমাৰ্গচ্যুত সম্প্রদায়ের পরস্পর বিবাদকোলাহলে ভারতবর্ষের আর্য্যসমাজ “কণকসমাকুল বটবৃক্ষের দ্যায়” মুখরিত হইয়া উঠিয়ছিল । শঙ্করাচার্য্য এই-সকল সম্প্রদায়ভুক্ত আচার্ষ)গণের সহিত জীবনব্যাপী বিচারসমরে- প্রবৃত্ত হুইয়৷ , শ্রুতিসম্মত মুক্তিতত্বের উদ্ধার করেন । তৎকর্তৃক প্রতিষ্ঠাপিত মুক্তিতত্ত্বের নামান্তর । অদ্বয়বাদ । ... • এইখানে বলা উচিত, শঙ্করাচার্য্যকৃত বেদান্তব্যাখ্য' সকল আচার্য - গ্রহণ করেন নাই । তাহর অন্তরূপে বেদাস্তশাস্ত্রের ব্যাখ্যা করির ছেন । উপনিষদের ভাষা অতি প্রচান ভাষা ; সৰ্ব্বস্থানে উহার অর্থবোধ ক্ষ কর নহে । আবার ঐ ভাষা অনেকস্থলে কবিতার ভাধা, কোথাও ৰা হেঁয়ালির ভাষা । কাজেই বেদস্ত দ্রষ্ট। ঋষিগণের প্রকৃত অভিপ্রায় কি ছিল, সে বিষয়ে মতদ্বৈধনিবারণের উপায় নাই। অধুনাতন কালে প্রাচীনভাষায় নান। অথ আtiবষ্কার করা চলিতে পারে । - ঘটিয়াছেও তাছাই । আচাৰ্য্যগণের মধ্যে যিনি যে মতের পক্ষপাতী, তিনি শ্রতিবাক্য মধ্যে সেই মভের . অক্ষুধায়ী অর্থ আবিষ্কার করিয়াছেন । শঙ্করাচাৰ্য্য স্বয়ং ষে এই রূপ পক্ষপাত করেন নাই, তাহাও বলা যায়। না । তিনি অস্বয়মতের পক্ষপাতী ছিলেন।