পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©©Ꮼ

  • প্রমুদিত চিত নিরর্থত ঘন শুiম সরসী-শোভা।

নিৰ্ম্মল পরিপূর্ণ বারি, পীযুষভর গরবহারি, মন্দ পবন পরশত মুছবীচি ভুবনলোভা ॥ বিকশিত নব কুঞ্জ নিকর, গুঞ্জত মধুমত্ত ভ্রমর, মঞ্জু নটত খঞ্জন জনরঞ্জন অনুপাম । সারস লস হংস লাখ, কিরতহি তহি চক্রবাক ক্ৰৌঞ্চ-কীর-কোকিল-শিখি-কলরব অভিরাম। বালকত সর তীর অতুল, কুমুমিত তরুবল্পী বকুল, বঙ্গরিত জল ছলক ছহি ছুটত ছবি ভাfর । অভিনব কুটি-মণ্ডপগণ, মণ্ডিত কত বেদী রতন, মুগঠন মণিজড়িত ঘাট লোচন-রীচিকারী ॥” কুমারপুরের উত্তরপ্রাস্তে প্রান্তরের মধ্যে এইরূপ একটি “বিতত তল্ল” দেখিতে পাওয়া গেল। তাছা এখনও নিৰ্ম্মল-বারিপূর্ণ, - এখনও মৃদুমন্দপবন সংস্পর্শে বচিষালায় মুশোভিত। তাহার তীরে "কুঞ্জনিকর” বর্তমান নাই, কেবল অযত্নসস্তুত লতাগুল্ম। তথাপি মধুলুব্ধ মধুপবৃন্দের আনন্দ-সঙ্গীত নিরস্ত হয় নাই, তাহার সহিত তাল রক্ষা করিয়া ५थन७-“भश्च मकैङ षsन चमब्रअन भश्পাম৷ ” ঘাট নাই, ঘাটের মণিজড়িত মুগঠনের চিতুমাত্রও বৰ্ত্তমান নাই ; তfহার প্রয়োজন পর্য্যন্ত তিরোহিত হইয়। গিয়াছে । কারণ, এখন আর ইহাতে কে অবগাহন কয়িতে আসিবে ? এখন কেবল কুষ্ঠীরগণ নিঃশঙ্কচিত্তে সঞ্চারণ করিয়া বেড়াইতেছে! এই তল্পের দক্ষিণতীরে একটি দেবমন্দির ৰঙ্গদর্শন । কিন্তু এখন আর * { ১০ম ৰধ, ফাল্গুন, ১৯১৭ । क्षिण । ७१म उtशfछ छिंडू मां शंiकि८श७, সেখানে একটি “খান” আছে ;—তাহ। বাশুলী দেবীর “খান”,—তাহার উপর এখন ও বর্ষে বর্ষে পূজা হইয়া থাকে। উড়িষ্যার নাল্তিগিরি-শিখরে যে বাশুলী-মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ বর্তমান আছে, তাহার সর্বাঙ্গে বৌদ্ধপ্রভাব অঙ্কিত হইয়া রহিয়াছে। কুমারপুরের বাগুলী-মন্দিরও কি সেইরূপ ছিল ? গ্রামের নাম কুমারপুর, দেবীর নাম বtশুল্পী দেবী, রাজার নাম কুমার রাজা,-এ সকল কি পালবংশীয় বৌদ্ধ নরপাল কুমার পালকে সুচিত করিতেছে না ? কুমার রাজার পরে যে বিজয় রাজার আবির্ভাব হইয়াছিল, তিনিষ্ট কি সেনরাজ-বংশের বিজয়ী বিজয় সেন বলিয়া প্রতিভাত হইতেছেন ন! ? দেওপাড়ার প্রস্তরলিপি আবিস্তুত হইবার পর এ সকল প্রশ্নের একটিমাত্র উত্তর ভিন্ন দ্বিতীয় উত্তর প্রদত্ত হইতে পারে না। এই সেই পুরাতন রাজনগর,–কুমার পীলের শেষ আশ্রয়স্থান—সেনরাজ বংশের প্রথম রাজধানী । ইহার কথা ব্যক্ত করিবার জন্যই বিজয় সেনের পুত্র বল্লাল সেন স্বকৃত “দাল-সাগর” গ্রন্থে লিখিয়া গিয়াছেন – “তদস্থ বিজয়সেল: প্রাদুরাসীদ্বরেন্দ্রে ।” কোন গ্রামের পর কোন গ্রাম পরিদর্শন করিতে হইবে, তাহা যেরূপ কৌশলে স্থিরীকৃত হুইয়াছিল, তাহতে এই সকল ভৌগোলিকতত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করিতে কাহাকেও আয়াস স্বীকার করিতে হইল না। কুমারপুরে প্রবেশ করিবামার প্রাসাদ-শিলার এবং গ্ৰতিমা-শিলার সন্ধান লাভ করিয়া, সাহিত্যিকগণ । জনশ্রুতিকে “নহ্যমুল)’