পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

භූමිං एहेग्न। ब्रहिब्राrझ, ठांशग्रहे छछूनकांम-कांtर्शी ব্যাপৃত হইয়। পড়িলেন। আমরা একালের রচনারুচি লইরা অতিশয়োক্তির উপর একেবারে খড়গহস্ত হইয়া উঠিয়ছি। কিন্তু,—কেহ কেহ বলিবেন, ইহাতে আবার “কিন্তু" কি ? কিন্তু ইহাতেই কিন্তু ”কিন্তু’র অভাব নাই । সরোবরতীরে বসিয়া, তাহার সুবিস্তৃত সলিলরাশির দিকে চাহিয়া, তাহীর তীরে কিরূপ আয়তনের দেবমন্দির গঠিত হইলে, সামঞ্জস্য সুরক্ষিত হইতে পারি ত, তাহার কথা চিন্তা করিলেই, “কিন্তু”র সন্ধান লাভ করা যায় । রচনা-সামঞ্জস্তের মধ্যে যে বিচিত্র সুষম। আপন হইতে আত্মবিকাশ করে, তাহার কোন আকার নাই ;-মাপকাঠি লইয়া তাহার আয়তন মাপিয়া লইবার সম্ভাবনা কোথার ? কবি সে চেষ্টায় সময় নষ্ট করেন নাই । মন্দির-তলে উপবেশন করিয়া, তাহার রচনাগাম্ভীৰ্য্য যে পরিমাণে অনুভূতির আয়ত্ত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, সেই অনুভূতি র্তাগকে সকল প্রকার ক্ষুদ্রসীমা অতিক্রম করাইয়া, একেবারে মেঘলোকে দৃষ্টনিবদ্ধ করিতে বাধ্য করিয়াছিল। তাই তিনি মন্দির বর্ণনা করিতে গিয়া লিখিতে বাধ্য হইয়াছিলেন,— দিক শাখা-মুলকাণ্ডং গগন তলমহাস্তোধিমধ্য-স্তরীয়ং ভানোঃ প্রাকৃপ্রত্যগদ্রিস্থিতিমিল ছায়াস্তস্ত মধ্যাহ শৈলম্। আলম্বস্তম্ভমেকং ত্রিভুবন । ভবনস্তৈকশেষং গিরীণাং সপ্রহ্লামেশ্বরস্ত বাধিত বসুমঙ্গবাসবঃ সৌধমুচ্চৈঃ ॥ বঙ্গদর্শন | { ১০ম বর্ষ, পৌষ, ১৩১৭ । ইহা কদাপি রচনা-দোষ বলিয়। কথিত হইতে পায়ে না ;—ইহা কাব্যলঙ্কার মাত্র । মন্দির মধ্যে ৰে দ্বেষমূৰ্ত্তি অৰ্চন লাভ করিত, তাহা হরিহর-মূৰ্ত্তি,—"প্র্যুম্নেশ্বর” নামে পরিচিত ছিল। প্রদ্ধায় (হরি) ঈশ্বর (হর) এই অর্থে প্রদ্যুয়েশ্বর । তাহারই ক্ষীণস্থতি এখনও সরোবরকে “পদুম-সহর” বলিয়া পরিচিত করিয়। রাখিয়াছে। সাহিত্যিকগণ বুঝিলেন,—শীতল-সহর এবং তপ সংর নামক অপর দুইট সরোবরের নামের মধ্যেও এইরূপ ঐতিহাসিকু রহস্ত নিহিত রহিয়াছে ;–সে দুইট সরোবরতীরেও এক সময়ে শী তলেশ্বরের এবং তপেশ্বরের দেবমন্দির বর্তমান ছিল । এ অঞ্চলে যে আরও অনেক সরোবর এবং দেবমন্দির বর্তমান ছিল, এখনও তাহার কিছু কিছু আভাস প্রাপ্ত হওয়৷ যায় । উমাপতি ধর কাব্যচ্ছলে তাহার ও ঐতিহাসিক প্রমাণ রাখিয়। গিয়াছেন । বিজয়সেন দেব নিয়ত শক্রনিপাত করিতেন। নিহত অরতিবৃন্দ সংগ্রাম মৃত্যু লাভ করিয়া, স্বর্গলোকে অশ্রয় প্রাপ্ত হইত । বিজয়সেন দেব নিয়ত যাগযজ্ঞ করিতেন । আহুত দেববৃন্দ আহুতির লোতে মর্ত্যলোকেই অবস্থিতি করিতে বাধ্য হইতেন । তজন্ত এপালে অনেক ‘স্বরসন্ম” এবং অনেক ‘বিত ত তল্ল’ দেখিতে পাওয়া বাইত । তাহাতে স্বর্গমর্ত্যের মধ্যে ‘ব্য হ্যাস' সংস্থাপিত হইয়াছিল ;–স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য হইয়। উঠিয়াছিল, মর্ত্যই স্বৰ্গলোক বলিয়া প্রতিভাত হইয়াছিল। এখন ‘দেওপাড়া’ জগদ্বিখ্যাত ; সেকাগে তাহ৷ এইরূপে