পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●心剑 এইলে সেখানে সমাজের বন্ধন নিশ্চয়ই সুদৃঢ় হয়। মানুষ স্বভাবত কৃতজ্ঞ এবং মনুষ্যত্বের পূজাপরায়ণ। মহাপুরুষগণের দ্রুত সংগৃহীত শিষ্যসংখ্যা তাহার প্রমাণ । সুতরাং যদি কেহ ত্যাগ স্বীকার করিয়া কাহারও উপকার করিতে প্রবৃত্ত হন, তাহ হইলে তাহার প্রতি উপকৃত ব্যক্তি কৃতজ্ঞ হইবেই এবং এই কৃতজ্ঞতাই তাকে তাহার উপর শক্তিদান করিবে । এই অর্জিত শক্তি সম,জকে শক্তিশালী করিয়া তুলিবে । তবে ইহার মধ্যে কথ। এই যে, যে সকল সামাজিক এইরূপে শক্তি অর্জন করিবেন তাহারা অকপটে সে শক্তি সমাজকেই দান করিবেন—নিজের স্বার্থচিন্তা তাহার মধ্যে য়াখিবেন না। এই কারণে ধীরে ধীরে সমাজস্থ জনগাঁধীয়ুশকে শিক্ষিত করিয়া তুলিলেন, এবং কোন সামাজিক কল্যাণের কার্য্য কেবলমাত্র নিজের চেষ্টায়, নিজের পরিশ্রমে ও নিজের ব্যরে সম্পন্ন না করিয়া সে জন্ত সকলের সাহায্য প্রার্থনা করিবেন এবং সে কাৰ্য্য যে সকলেরই কাৰ্য্য, ইহা সকলকে বুঝাইয়া দিবেন। ইহার জন্ত সৰ্ব্বসাধারণের নিকট হইতে কিছু কিছু অর্থ সংগ্ৰহ করিয়া পরীভাণ্ডার স্থাপিত করাই সছুপায়। সেই ভাণ্ডার হইতে সামাজিক-বৃন্দের অভাবমোচনের জন্য অর্থসাহাফ প্রদত্ত হইবে এবং সাহায্য-প্রদানের পূৰ্ব্বে যথাসম্ভব সকলের অমুমোছন গ্রহণ করিতে হইবে। এইরূপ কাৰ্য্য জারম্ভ করিলে সহজেই ৰঙ্গদর্শন । [ ১০ম ৰষ, ফাঙ্কন, ১৩১৭ ৷ সমাজকে সামাজিকবৃন্দের শ্রদ্ধা ও বিশ্বালের অধিকারী করিয়া তোলা যাইতে পারে । কারণ সংকীর্ণ পরিসরের মধ্যে কাৰ্য্যকে প্রত্যক্ষীভূত করিয়া তোলঃ আল্লায়াপসাধ্য । এইরূপে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমাজে শক্তি সঞ্চারিত হইলে সকলকে মিলাইয়া বৃহৎ সমাজ গঠিত করিয়। তোলা কঠিন হইবে না। একটা প্রকাশু মহান আদর্শ জাতির সম্মুখে থাকা কল্যাণকর সন্দেহ নাই । কিন্তু আমার বোধ হয় ছোট আদর্শের মধ্য দিয়া বৃহৎ আদর্শে পৌছানই স্বাভাবিক ও সহজসাধ্য। জাতীয় উন্নতির এক প্রধান অঙ্গ—জাতীয় শিক্ষার বিস্তার। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিবারের মধ্যে কার্ষ্য আরম্ভ হইলে লোক - শিক্ষাও অল্প সময়ের মধ্যে সংসাধি গু হইবার সম্ভাবন । একট। উদাহরণ দিতেছি । আজিকার দিনে ভারতে না হউক বাঙ্গালাদেশের একটি অতি প্রধান সমস্যা—হিন্দুমুসলমানের বিরোধ ; বাগাগার লোকসংখ্যার অৰ্দ্ধেক মুসলমান, আৰ্দ্ধেক হিন্দু। সুতরাং বাঙ্গালাদেশে এই বিরোধ বিদূরিত ন হইলে বাঙ্গালার উন্নfত অসম্ভব। কংগ্রেসে, সভায়, সংবাদপত্রে এই বিরোধ বিদূরিত করিবার নানা উপায়ের কথা আলোচিত হইতেছে। কিন্তু যাহাদের লইয়া প্রকৃত বিরোধ এই সকল সভাসমিতি তাহাদের স্পর্শ করে না। বিয়েtধ অধিকাংশ স্থলে উভয় জাতিরই নিয়শ্রেণী এবং অশিক্ষিতের মধ্যে। শিক্ষার বিস্তারই এই বিরোধভঞ্জনের প্রকৃষ্ট উপায়। যদি প্রতি পল্লীগ্রামে এইরূপে উভয় সম্প্রদায়ের অগ্রণীগণের