পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8-8 না । কিন্তু সে সকল কবিতা নহে । বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস প্রভৃতি সার্থক অথচ সহজবোধ্য, সুললিত অথচ গভীরভাবদ্যোভক শব্দ যোজনা করিয়া গভীর রসের ছবি সকল রচনা করিয়া গিয়াছেন । র্তাহীদের কবিতাগুলি পড়িলেই বোঝা যায়, তাহাতে অস্পষ্ট বা দুৰ্ব্বোধ্য কিছুই নাই । আর বৈষ্ণব-কবিগণের রসামুভূতি সত্য ও গভীর ছিল বলিয়া, তাহাঁদের এই সকল অনুপম রসচিত্রও এমন অদ্ভুতভাবে এতটা উজ্জল হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। এমন সকল ভ্ৰান্তরিক রসামুভূতি অাছে, স ষ্ট্য, ধাহীকে কোনও ভাধায় ভাল করিয়া প্রকাশ করা যায় না । সে সকলকে কেবল ঠারে-ঠোরে ব্যক্ত করিতে হয় । বৈষ্ণবকবিগণ এ সকল গভীরতম রসেয় রূপও ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। কিন্তু তাহা কেমন সরল ও স্বস্তু, কেমন মুন্দর অথচ রসিকজনের নিকটে কে মন সহজবোধ্য হইয়া আছে । শরীরের যেমন একটা যৌবন আছে, প্রাণের ও সেইরূপ একটা যৌবন আছে । এই প্রাণের ধৌবন অতিশয় অস্তরঙ্গ বস্তু ; ভাষার এমন শক্তি নাই বে, সে ধেীবনেয় চিত্র ফুটাইয়া তুলতে পারে । অথচ চণ্ডীদাস এক কথায় কেমন মুন্দর ও সহজ ভাবে সে বস্তটাকে প্রকাশ করিয়াছেন ঃ– “তৰ, যৌবন ধব, স্বপুরুখ সঙ্গ " অথবা অস্তৃপ্ত, জলন্ত রূপ-লালসার এমন চিত্রই বা আর কোথায় দেখিতে পাই ?— কি পেখলু ব্রজরাজকুলনন্দন রূপে হরল পৰ্ব্বাণ । নিরমিল্প রসমিধি, আমারে না দিল বিধি ॐaté कारण अश्विक व्छlब्R 1 বঙ্গদর্শন { ১৩শ বর্ষ, ভাদ্র, ১৩২০ অথবা অন্তএ হামরূপ দৰ্শন-মুগ্ধ হীরাধিক পাগল পারা হইয়া ইচ্ছা করিতেছেন— এ ভুবনমোহন রূপ— - এমতি করিয়া যদি, বিধাতা গড়িত গে। ভাঙ্গিয়া ভাঙ্গিয়া উহা খাই । এইরূপে বাংলার বৈষ্ণব কবিগণ গভীরতম রসাহভূতিকে ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন। যাহা কথায় বলা যায় না—যে গভীর অভিজ্ঞতার প্রকাশে "বুদ্ধি-বচন হাৱে”— তাছাকেও সহজভাবেই ফুটাইঃ তুলিয়াছেন, কোথাও কুহেলিকার স্বষ্টি করিয়া আপনাদের রসচিত্রগুলিকে দুৰ্ব্বোধ্য করিয়া রাখেন নাই । তাছাদের মস্তরেয় অনুভূতিগুলি অতিশয় গভীর ও মুস্পষ্ট ছিল বলিয়া, সে সকল অনুভূতি যতই গভীর ও অবাঙ মনসগোচর হউক না কেন, তাহার অভিব্যক্তি কখনই অস্পষ্ট বা কুত্ত্বাটিকাচ্ছন্ন হইয়া পড়ে নাই । অক্ষয় বাবু কবিতায় বৈষ্ণবকবিদিগের গভীর রসাচুভূতি আছে, এমন কথা বলি না । বৈষ্ণবকবিগণ বে গভীর, নিদারুণ বিরহের চিত্র আifকয়া গিয়াছেন, তাহার অনুরূপ কোনও কিছু জগতের আর কোনও সাহিত্যে আছে বলিয়া শুনি নাই । সুরার সঙ্গে যেমন জলের তুলনা হয় না, বৈষ্ণব কবিগণের বিরহ-চিত্রের সঙ্গে অক্ষয়বাবুর এই শোকগাথারও সেইরূপ কোনই তুলনা হয় না । অক্ষয়কুমারের বিরহ কেবল বিরহ ; ইহার মধ্যে নিগুঢ়ত্ম মিলনের অনুপম आननु नूकाहेब्रा नाहे । तिब्रtश्ब्र भन्দশার সন্ধান অক্ষয়কুমার এখনও পান নাই ; তাছাক্স তন্ময়ভাব এখনও জাস্বাদন করেন नौहे ॥ श्रमब्रकूमttब्रब्र कtप्यr cववभ्य-कवि७tब्र