পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৩৪ -سيجউপাদানরূপে গৃহীত হইলে, ইহু! একখানি সরস কাবেfর অখ্যান বস্তুকে র লসি ক্র করিতে পারে । বাঙ্গালীর ইতিহাসের এই আখ্যানরস্তু এখমও সেরূপ মর্য্যাদা লাভ করিতে পারে নাই । বেলাবোলিপি আবিষ্কৃত হইবার পর, আরও একটু অধিক সমাচার প্রকাশিত হইয়া পড়িয়াছে। তাঁহাতে দেখিতে পাওয়া গিয়াছে, — কর্ণের বীর শ্রীনাম্নী কস্তার সহিত বিক্রমপুরাধিপতি জাতবয়ার বিবাহ হইয়াছিল । এইরূপে দাহলাধিপতি সকল বঙ্গভূমির সহিত প্রতি স্থত্রে আবদ্ধ হইয়াছিলেন । অতঃপর তৃতীয় বিগ্রহপালদেবের শাসনকালে আর কোন ও ঘটনা সংঘটিত হইলার পরিচয় প্রাপ্ত झ् sच धtā न! । তৃতীয় বিগ্রহপ'লদেব ক’তকাল রাজ্য শাসন করিয়াছিলেন, তাই অদ্যপি নি:সংশয়ে নির্ণীত হইতে পারে নাই ; তাছার আমগাছলিপিতে ভদীয় বিজয়রাজ্যের দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ সংবৎসরে ভূমিদানের কথা উল্লিখিত থাকায়, কেছ কেহ তাহার শাসনকালকে স্বাদশ বা ত্রয়োদশ বৎসর মাত্ৰ মনে করিয়া কালগণনা করিয়াছেন । কিন্তু তাঙ্কার অমুকুল প্রমাণ আবিষ্কৃত হয় নাই ; বরং কিছু কিঞ্চিৎ প্রতিকূল প্রমাণই দেখিতে পাওয় शांध्र ! তৃতীয় বিগ্রহপালদেবের তিন পুত্র,— জ্যেষ্ঠ দ্বিতীয় মহীপাল, মধ্যম পূরপাল ও কনিষ্ঠ ब्रोमश्र छ ! মনস্থালি লিপিতে দেখিতে পাওয়া যায়,—রাম বঙ্গদর্শন রামপাল-পুত্র মদনপালদেবের । [ ১৩শ বর্ষ, ভাত্র, ১৩২০ পাল তাঁহার জনকের “দীর্ঘ শাসন-সময়ে” শৈশব হইতেই বাহুবিক্রমের পরিচয় প্রদানে শত্রু রাজ্যকে চমৎকৃত করিয়া দিয়াছিলেন । তৃতীয় বি গাছপালদেবের এই পুত্র ক্রয় যৌবনশ্রীর গর্ভোৎপন্ন ছিলেন বলিয়া পরিচয় প্রাপ্ত শু প্ৰয় যায় নাই । বরং প্রসঙ্গাধীন বর্ণনায় মনে হইতে পারে,--তৃতীয় বিগ্রহ পালদেবের স কত দাঙ্ক লাধিপতি কর্ণের সংগ্রাম-সংসর্ষসময়ে ঠাষ্ঠীর কনিষ্ঠ পুত্ৰও বাহুবল প্রকাশিত করিয়াছিলেন । যাহা ইষ্ট ক্ষ, তৃতীয় বিগ্রহপ'লদেব যে { fচরং ] দীর্ঘ কাল রাজ্যভোগ করিয়াছিলেন. এই স্পষ্ট প্রমাণের বিরুদ্ধে, তাহার শাসনকালকে দ্বাদশ বা ত্রয়োদশ বৎসর মাত্র বলিয়া কালগণন না করাই যুক্তিযুক্ত । তৃতীয় গ্রিক পালদেবের শাসনকাল গৌরবমণ্ডিত বলিয়াই চল্লিখিত হুইবার যোগ্য । তাছার বাহুবল অল্প ছিল না । তাছার বাহুবলে দাহলাধিপাত ও পরাভূত ক্ত হয়, কণ্ঠদানে সন্ধি সংস্থাপিত করিতে বাধ্য হইরাছিলেন। কিন্তু তৃতীয় বিগ্রহপালদেবের শাসন-সময়েষ্ট আর একটা অচিন্তিতপূৰ্ব্ব বিপ্লবের বীজ ধীরে ধীরে লোকলোচনের অগোচরে অঙ্কুরিত হুইয়া উঠিতেছিল । সে বিপ্লব এখন ইতিহাসে 'কৈবৰ্ত্ত-বিপ্লব” নামে কথিত হইতেছে। তাহার কথাই রামচরিতম্ কাব্যের প্রধান কথা,—তাহার কথাই রামাবতী নিৰ্ম্মাণের প্রধান কথা । সুতরাং তtছfয় আলোচনা অপরিহার্য্য। (ক্রমশ ) শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্রেয়।