পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম সংখ্যা ] قمر মুক্তির জন্ত ধৰ্ম্মপাল মহাশয়কে বলিয়। পাঠাইয়াছিলেন। দেবীর দয়ায় আপনার মুক্তি হইয়াছে। আমি কিছুই করি নাই ।” “তুমি কিছুই কর নাই ?—তোমার অনুরোধেই যে রাষ্ট্রীর চিত্ত আদ্র হইয়াছিল, তাহা আমি শুনিয়াছি।” “এই সামান্ত কার্য্যের পুনরুল্লেখ করিয়া আমাকে আর লজ্জিত না করেন, আমার এই প্রার্থনা ৷’’ “কার্য্য সামান্ত নহে, আমার জীবনরক্ষ । আমরা যে তোমার কাছে চিরদিনের জন্ত বাধা রহিলাম, তাহা তোমাকে জানাই বfর জন্ত আমার স্ত্রী আমাকে বিশেষ করিয়া বলিয়া দিয়াছেন। পরম মুহৃদের নিকট পরিচিত হইবার আকাঙ্ক্ষায় তিনি আমার সঙ্গেই আসিবার জষ্ঠ প্রস্তুত হইয়াছিলেন । রাত্রি হইবে বলিয়া আজ তাহকে বিরত করিয়াছি।” “তিনি আমার এখানে আসিবেন ? — সে কি ! আমার সহস্র মিনতি”—মধুলা নতজানু হইয়া ভূমিতে প্রণাম করিল – “আমার সহস্র প্রণাম তাহাকে জানাইবেন । তিনি আমার এখানে আসিবেন । তাহার অনুমতি পাইলে আমি তাহার গৃহে যাইয়া র্তfহকে প্রণাম করিয়া কৃতার্থ হইব ।” “তুমি যাইবে ?” “রাজাধিরাজের জন্মদিনের উৎসব অসিতেছে । দেবীর আদেশ, আমাকে দেবীর নিকট উপস্থিত থাকিতে হইবে। আপনি অনুমতি করুন, তাহার পরে শীঘ্র একদিন কুমুদনিবাসে বাইয়া জীবন সার্থক করিব।” “তুমি যাইবে । গেলে আমার স্ত্রীর উৎপল අ8ථ আনন্দের অবধি থাকিবে না । তিনি কিছু ফুল ও মাল্য উপহার পাঠাইয়াছেন, অনুমতি পাইলে ভূত্যেরা এধানে উপস্থিত করিবে।** “মঞ্জুলার ইঙ্গিতে চিত্র বারান্দার অপর পাশ্ব হইতে ফুলমাল্যের ভার সেখানে লইয়া আসিল । মঞ্জুল উঠিয়া দাড়াইল । চিত্রার হীত হইতে সেই পুষ্পভার গ্রহণ করিয়া তাহীতে নিজ মস্তক স্পর্শ করিল। “এখানে অর্ণধার চুইয়া আসিল, আপনি ভিতরে চলুন।” প্রমীত কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিলেন। গন্ধদীপাবলীতে কক্ষ আলোকিত হইয়াছে । প্রমীত উপবেশন করিলে মঞ্জুল সেই পুষ্পভারের আচ্ছাদন খুলিয়া একটা মুরভি মাল্য বাহির করিল, অতিষত্নে তাহ নিজ কণ্ঠে পরিল ; তখন ন তমস্তকে পুনৰ্ব্বার প্রণাম করিয়া বলিল ;– ‘আজ আমার দেহ পবিত্র হইল।” স্নিগ্ধদীপরশ্মিপাতে ওঢ়নির অলক্ত করাগ মঞ্জুলার হর্ষ প্রফুল্ল গৌরমুখ উদ্ভাসিত করিয়া তুলিল । উৎপলা পরমস্বন্দরী। বয়স্তসম্প্রদায়ে প্রমীতসেনের গৌরব—অমন সুন্দরী স্ত্রী আর কাহার ও নাই । প্রেমিকের চক্ষে ত কত কুরূপাও সুন্দরী, কিন্তু উৎপলা স্বভাবসুন্দরী । প্রমীতের বিশ্বাস এবং অহঙ্কার অমন রূপবতী রমণী আর কোথায়ও নাই । কিন্তু প্রমীতের সে বিশ্বাস, সে গৰ্ব্ব আজ বা ক্ষুণ্ণ হইল! নগরোপ কণ্ঠে অস্পষ্ট আলোকে দৃষ্ট আকুল-কুন্তলা অপরিচিত। মঞ্জুল পরমরূপসী, বসন্তোৎসবে মণিমুক্তালঙ্কারে মণ্ডিত গায়িকা মঞ্জুল আরও মুন্দরী, নিজগৃহে