পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম সংখ্যা ] বিভাগ কল্পনা করিয়াছেন। মুলতঃ প্রকৃতিকে জড় বা অচেতন বলা আর চৈতন্তকে অচেতন বলা সমান কথা। পূৰ্ব্বোদ্ধত স্বষ্টিকুক্তে বৈদিক ঋষি বলিয়াছেন যে প্রলয়কালে স্বধ বা প্রকৃতি এক অভিন্নভাবে ব্রহ্মে লীন থাকে তরাং প্রকৃতি জড় গুইলে ব্ৰহ্ম ও জড় হইয়া পড়েন । বস্বত: এক অদ্বিতীয় চৈতন্যস্বরূপ ব্ৰহ্মপদার্থই লৌকিক চেতন ও অচেতন পদার্থরূপে লোকচক্ষে প্রতীয়মান হন । কৰ্ম্মসংস্কারবশে অজ্ঞান জীব যখন তাঙ্গার স্বরূপ উপলব্ধি করিতে অসমর্থ হয়, তখনই সে র্তাহাকে কোথ; গু চেতন ও কোথাও অচেতনরূপে দেথে ! জীবের কৰ্ম্মসংস্কারদ্বারা প্রণোদিত হুইয়া সৰ্ব্বশক্তিমানের সৃষ্টিশক্তি সত্ত্ব, রজঃ ও উমঃ এই তিন গুণের বিকাশ করিয়া বিশ্বময় ভেদ উৎপন্ন করে। ষ তক্ষণ পর্যস্ত জ্ঞানচক্ষু সম্যক ড#ifলত না হয়, ততক্ষণ জীব এইরূপে বিশ্বময় ভেদ দর্শন করে, বেদ প্রতিপাদ্য ব্রহ্মপদার্থকে দশন করে না । জ্ঞানস্থক্তে (ঋঃ সঃ ১০।৭১ ) ঋষি এই কথা স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন ঃ– 'উতত্বঃ পঙ্গর দদশ ত্বঃ শূৰ্পন্ন শৃণোত্যেনাং । উঠে। ত্বস্মৈ তত্ত্বং বি সম্ৰে জীয়েব পত্য উশ ঠী সুবাসাঃ ” ১ •।৭১।৪ “একজন বাক্কে দেখিয়াও দেখে না, এক জন তাহীকে শুনিয়াও শুনে না ; আবার একজনের নিকট তিনি তাহার নিজেকে প্রকাশ করেন যেমন সঙ্গমাভিলাষিণী শোভনবসনা কামিনী ভর্তুসকাশে নিজেকে প্রকাশ করে।” অর্থাৎ, অজ্ঞান ব্যক্তি বেদার্থের পৰ্য্যালোচনা করিলে ও অথবা বেদবাক্য শ্রবণ বৈদিক সাধনার আভাস 6.86 করিলেও তাহার ফললাভে সমর্থ হয় না, পরন্তু জ্ঞানী ব্যক্তির নিকটে বেদার্থ স্বতঃই প্রতিভাত হয় । ভৌতিক প্রপঞ্চের মোহ কাটাইয়া, অজ্ঞানের অন্ধকার বিদূরিত করিয়া, বহিমুখী ইন্দ্রিয়বৃত্তি সকলকে নিরোধ করিয়া যে জীব শুদ্ধসত্ত্বজ্ঞানজ্যোতিতে প্রবেশ করিতে পারে, ত:তারই নিকট বেদার্থ সম্যক প্রতিভাত হয় । তাই উক্ত জ্ঞানস্থক্তে ঋষি আবার বলিতেছেন – “ইমে ষে নবঙিন পরশ্চরন্তি ন ব্রাহ্মণাসো ন মনে ক রাসঃ । ন এতে বাচমভি পদ্য পাপয় সিরীস্তংলঃ ভল:ে

    • এই সকল ব্যক্তি

● আ প্রজ জ্ঞয়ঃ ॥” ১ ৮,৭১৯ য তার অধোবৰ্ত্তী এই পৃথিবীতে বিদ্বান ব্রাহ্মণগণের সহিত আচরণ না করে ও যাহারা পববৰ্ত্তী স্বৰ্গলোকস্থ দেবগণের সঙ্গিত আচরণ না করে সেই সকল ব্রাহ্মণ বেদার্থ জানিতে সমর্থ হয় না, মাত্র সোমের অভিম যাহারা কবে তাহারাও জানিতে সমর্থ চয় না । অজ্ঞানী এষ্ট সকল ব্যক্তি বাক্যমাত্র প্রাপ্ত হুইয়াও পাপকারিণী বাকের সঙ্গিত মিলিত হইয়া কেবল হলচালক রূপে ভূমিকৰ্ষণ করিতে থাকে ৷” কেবল ব্রাহ্মণ অর্থাৎ মন্ত্ৰবিং যাজ্ঞিক হইলেই বেদার্থ জানা যায় না, কেবল সোম অভিমুত করিলেই বেদার্থ জানা যায় না। বেদের বাক্যমাত্র অধিগত করিলে সেই বাক্যগন্ত পশুহননাদি পাপদ্বারাই কেবল বিদ্ধ হইতে হয়। বেদার্থ জানিতে হইলে । বিশুদ্ধান্তঃকরণ হইয়া যথার্থ বিদ্বান ব্রাহ্মণগণের - সাহচৰ্য্য করিতে হয় এবং এমন কি ইহলোকের