পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(సిe প্রভৃতি মাঙ্গfলক দ্রব্য, তৎপর বহুবিধ বহুমূল্য রাজভেট, উপায়ন-সামগ্রী। মণিমুক্ত হীরক বৈদুর্ঘ্য প্রবাল কাঞ্চন ; ক্ষেীম কৌশের রাঙ্কব নানাবিধ বস্ত্র , অগুরু কুঙ্কুম কস্তরী হরিচন্দন প্রভৃতি গন্ধ ; হার বলয় কেয়ুর কুণ্ডল প্রভৃতি অলঙ্কার ; মণিমুক্তারত্ব-খচিত কোষমুষ্টিযুক্ত দীপ্তিমান অসি, ছুরিকা ; হস্তিদন্ত নিৰ্ম্মিত, মৰ্ম্মর প্রস্তর-চন্দনকাষ্ঠনিৰ্ম্মিত দেশবিদেশ হইতে আগত বহুবিধ সুদৃপ্ত মূল্যবান দ্রব্য। আর, হয় হস্তী, শকট শিবির প্রভৃতি সভা ভঙ্গে রাজদশন জঙ্গ সভাগৃহের বাহির চত্বরে রক্ষিত হইয়াছে । মহ পাত্ৰ উপস্থিত রাজা, রাজ প্রতিনিধি, রাজদূত, সন্ত্রান্ত সভাসদগণকে ক্রমে য়াজধিরাজের নিকট পরিচিত করিয়াছেন, র্তাহাদের আনীত উপায়ন-সামগ্ৰী সকল রাজগোচর করিয়াছেন । অশোকদেব তাহাদের যথাযোগ্য অভিবাদন, আপ্যায়ন করিয়াছেন । সভাভঙ্গের অার অধিক ৰিলম্ব নাই । এমন সময় প্রহরীপরিরক্ষিত একটী যুবক সেখানে আনীত হইল। তাহার দৃঢ়গঠিত বলিষ্ঠ শরীর, বিশাল বক্ষ, অ’য়ত উজ্জ্বল চক্ষু, বিস্তৃত উন্নত ললাট ; কি স্তু পরিধানে অতি সামান্ত গ্ৰাম্যবেশ । যুবক সিংহাসনের সম্মুখে জামু পাতিয়া বসিয়া মস্তকে ভূমি স্পর্শ করিয়া রাজাধিরাজের সস্বৰ্দ্ধনা কfর ল । রাজাধিরাজ জিজ্ঞাসা করিলেন,— “কি নাম তোমার ?” *দাসের নাম মাণিক্যদেব ।” “কোন দেশে বাড়ী?” “মহারাজ্য কলিজে ।” বঙ্গ দর্শন { ১৩শ বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩২০ “কি প্রয়োজনে আমার রাজধানীতে আসিয়ছিলে ?” যুবক ক্ষণ কাল নীরব থাকিয়া বলিল ;– “মহানগর পটল পুত্ৰ দেখিবার সাধ কাহার না হয় ? রাজাধিরাজের রাজধানী দশন করিতে আসা যে অপরাধের কার্য্য, তাহা জানিতাম না।” যুবকের পরুষ বাক্যে সভাসদগণ বিস্মিত হইলেন । রাজাধিরাজ মুক্ত হস্তি করিয়া বলিলেন ;- - -

  • ছদ্মবেশে চোরের দ্যায় প্রবেশ, পররাজ্যের সৈন্তসংখ্যা-নিরুপণ-চেষ্টা, চিত্রে দুর্গসংস্থান অঙ্কন-সাধু অভিপ্রায়ের পরিচায়ক

নহে ।” পাত্র অগ্রসর হইয়া রাজাধিরাজের হস্তে একখণ্ড চতুষ্কোণ স্বর্ণমুদ্র প্রদান করিলেন। তাহাতে বিকীর্ণ রশ্মিজাল চিহ্নযুক্ত গোলাকার স্বৰ্য্যমূৰ্ত্তি, নিম্নভাগে সপ্তত্রিশূল-চিহ্ন। রাজধিরাজ সেই মুদ্রাঙ্কিত স্বর্ণখও দেখাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন ;–

  • এখানি কি ?” যুবক সসন্ত্রমে মস্তক নমিত করিয়া সেই মুদ্রাঙ্কিত স্বর্য্যধবজ স্বর্ণখণ্ডে নমস্কার জানাইয়া বলিল ;–

রাজাধিরাজের নিকট আমার পরিচয় বিদিত হইয়াতে ; যে দণ্ডবিধান অভিপ্রায় হয়, আদেশ প্রচার হউক ৷” “এখানে কি ?” ‘রাজাধিরাজ ত্রিকলিঙ্গেশ্বরের গুপ্তচরের পরিচয় চিহ্ন ” ' স্বৰ্য্য-মুদ্ৰাই তোমার প্রভুর রাজধ্বজ, সপ্তত্রিশূল-চিহ্ন কেন ?”