৩য় সংখ্য } তবে আমাকে ছাড়াইয়। আর যাইও না,— যাইতে পারিবৈ না, আমার দান আমাকে দয়া যাও। কয়ল ছত্রে কবি জ্ঞানদাস একটা মহান ভাব প্রকাশ করিয়াছেন ; কিন্তু সেই ভাবরূপ অমূল্য রত্ন উহার পাক্যের হৃদয়ের মাঝে গোপন ভাবে বিরাজ করিতেছে, তাহাকে আমাদের খসাইয়। দেখিতে হইবে—”ইথে কি আবার লজে" | হয় তো অনেকে ইহাকে আধ্যত্মিক ব্যাখ্যা মনে করিয়া গায়ে জরের প্রকোপ অনুভব করিবেন, কেহ বা এই চরণের ভিতর হইতে এ ব্যাখ্যা আসিতে পারে তাহ ভাবিতেও পরিবেন না, কেহ চরণটাকে অশ্লীল ভাবিয়া মূখ ফিরাইবেন । যে যে ভাবেই ফোয়ার ー、〉》 ইহাকে গ্রহণ করুন কেহই কিন্তু অস্বীকার করিতে পরিবেন না যে, এই চরণে কবি বাক্যের ব্যঞ্জনা-শক্তির নিপুণ ব্যবহার করিয়াছেন । আমরা জ্ঞানদাসের শব্দপ্রয়োগ পরিচয় দিতে গিয়া বৈষ্ণবপদাবলীর মূলস্থত্রে আসিয়া পড়িয়াছি—সময়ে এই সূত্রের অনুসরণ করিব ; আপাততঃ তাহার পদাবলীর সম্বন্ধে অপরাপর কথা বলিয়। লুই । এখনও আমরা জ্ঞানদাসের পদাবলীর ভাব সম্বন্ধে কোনও কথা বলিবার অবসর পাই নাই, অতঃপর তাহার ভাবের পরিচয় গ্রহণ করিতে প্রবৃত্ত হইব । (ক্রমশ ) ঐজিতেন্দ্রলাল বল । ফোয়ার ক্ষু (সমালোচনা । বঙ্গবাসী কলেজের প্রফেসর শ্ৰী ললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এম, এ, প্রণীত। গ্রন্থকৰ্ত্তার এই পরিচয়, পুস্তকের কভারেই পাওয়া যায় ! পুস্তকের ভিতরে একস্থানে কোকিল প্রসঙ্গে গ্রন্থকর্তা নিজের অন্তরূপ পরিচয় ইঙ্গিতে দিয়া সংসাহসের পরিচয় দিয়াছেন। f গ্রন্থকারের বাকী পরিচয় গ্রন্থধানিই দিবে ; আর দিবে তাহার পরবর্তী রচনাসমূহ! আমরা এখন পুস্তকখানির কিছু পরিচয় দিব । গ্রন্থকারের মতে দুইটি কারণে সচরাচর * শ্ৰীদেবেন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য কর্তৃক ৬৫ নং কলেজ পুঁট ভট্টাচাৰ্য্য এও মন্স হইতে প্রকাশিত । f কোয়ারা ১৫৯ পৃঃ ১০ম লাইন। গ্রন্থকারগণ পুস্তক প্রকাশ করেন,—একটি সুকুমার মতি বালকবালিকাগণের শিক্ষাসৌকর্য্যার্থে দ্বিতীয়টি বন্ধুবর্গের সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধে।" কথাট। সত্য বটে, এ যেন কতকটা বুদ্ধ জননীর নিতান্ত পীড়াপীড়িতে, তৃতীয় পক্ষে দার পরিগ্রহ,—অথবা প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে মেয়েদের মানুষ করার লোকাভাবে বাধ্য হইয়। বিবাহরূপ গলগ্ৰহ করা ! নিবেদনে গ্রন্থকার বলেন এই দুইটির কোন কারণেই তিনি গ্রন্থ * প্রকাশ করেন নাই। শুধু তার মনের তৃপ্তির জন্য । আরও একটা কারণ এখানে বলেন নাই, কিন্তু
- অন্ততঃ এ পুস্তক।