পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર્શ ન થા । যাহা স্ত্রীরাধার মুখে ব্যয় তাহাই কবি শ্ৰীকৃষ্ণের মুখেও बीङ कब्जाइशारश्न সুন্দরি অ| রে কহিছ কি । তোমার পিরীতি ভাবিতে ভাবিতে বিভোর হইয়াছি। থির নহে মন সদা উচাটন সোয়াথ নাহিক পাই। গগনে ভুবনে দশ দিশ গণে তোমারে দেখিতে পাই ॥ তোমার লাগিয়া ८दप्लांझे बभिप्लां গিরি নদী বনে বনে । খাইতে শুইতে আন নাহি চিতে সদাই জগয়ে মনে ॥ গুন বিনোদিনি প্রেমের কাহিনী পরাণ রৈয়াছে বান্ধা । অনুপ্রাসের অধিকারবিচার ૨C:\ একই পরাণ দেহ ভিন ভিন জ্ঞান কহে গেল ধান ॥ এমন “পিরীতিতে" যিনি f ভোর না হইতে পারেন তাহার পক্ষে বৈষ্ণব-কবির পদাবলী লইয়। নড়াচাড়া করা বিড়ম্বন মাত্র। কোন ইঞ্জিয়পরতন্ত্রার মুখে কোন ইন্দ্রিয়পরাভূত কামকের মুখে এমন ভাব প্রকাশিত হইতে পরে কি ? বৈষ্ণব-কবির গান ইন্দ্রিয় স্বথের গান কহে, ত্বাহ সুস্থিবিলোগকারী ভাবোম্মাদের হৃদয়োথ ধ্বনি- কোথাও চঞ্চল, কোথাও বিহ্বল, কোথাও বেদনাময়, কোথাও আবার আনন্দ-মুখরিত। কৃত্রিমতা কোথাও নাই, তাগ নহে, তবে তাহা এত বিরল যে তাহাকে অগ্রাহ করিতে পারা गोंझ । ( ক্রমশ ) শ্ৰীজিতেন্দ্রলাল বস্তু । অনুপ্রাসের অধিকার-বিচার * অনেকের বিশ্বাস, অকুপ্রাস জিনিসট। নিতান্ত কৃত্রিম, সৰ্ব্বসাধারণের স্বাভাবিক ভাষার সহিত অনুপ্রাসের সম্পর্ক অত্যন্ত অল্প। কিন্তু আজ আমি দেখাইব শুধু সাধুভাষায় নহে, f সাধারণ কথাবার্তার ভাষায়ও অনুপ্রাসের অনুপাত কম নহে। এক কথায়, অকুপ্রাস ভাষা-শরীরের অচ্ছেদ্য উত্তর-বন্ধসাহিত্য-সম্মিলনে পঠিত। ' -- + ভাষাতত্ত্ব হিসাবে, সাধুভাষায় অপেক্ষ সাধারণ কথাবাৰ্ত্তার ভাবার ব্যবহৃত অনুপ্রাসের দৃষ্টান্তগুলিই অধিকতর মূল্যবান্‌। কেননা সেগুলি আদিম ও অকৃত্রিম। অঙ্গ। ভাষাগঠনে অকুপ্রাসের অত্যন্ত অধিক । অনুপ্রাসাত্মক শব্দসম্বন্ধে শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় ‘ধ্বস্তাত্মক’ শব্দ, "বাংলা শব্দদ্বৈত’ ও ‘ভাষার ইঙ্গিত এই প্রবন্ধত্রয়ে প্রসঙ্গক্রমে আলোচনা করিয়াছেন (তৎপ্রণীত শব্দতত্ত্বনামক পুস্তক দেখুন । ) ইহার ভিতরকার কথাটাও তাহার স্বন্ধ দৃষ্টি এড়ায় নাই । তিনি বুঝাইয়াছেন—“মিলের দরকার আছে। মিলট মনের উপর ঘ! দেয়, তাহাকে বাজাইয়া তোলে—একটা প্রভাব