পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢भ ज९१jl ] lo ভালবাসা দিতে জানে, আর কিছুই জানে না । মহাপুরুষ অর্জনও কৃষ্ণকে সখী বলিং অপরাধ হইয়াছে বলিয়া নিজ অপরাধ ক্ষালনের প্রয়াস করিয়াছিলেন, কিন্তু এই গোপশিশুর অবিমিশ্র সখ্যরসে অনুপ্রাণিত হইয়া কৃষ্ণের ঐশ্বৰ্য্যের প্রতি ক্ৰক্ষেপ ও করে নাই । ইহাকেই বলে “কেবল রতি” এবং তাছা বৃন্দাবনেষ্ট সম্ভব হইয়াছিল। যশোদার বাৎসল্যেও এইরূপ নিৰ্ম্মল ও পবিত্র স্নেহের পরিচয় পাওয়া যায় ; তাহার ভিতরও কোনও প্রকার সঙ্কোচের বাধাবিঘ্ন নাই। যশোমতী গোপালকে কেবল স্নেহ দিতে চান---সেই স্নেহরসে র্তাহার গোপালকে আপ্লুত করিয়াই তিনি তৃপ্ত। ইহাতে কেবল বাৎসল্য-রতি। এইরূপ অবিমিশ্র ভালবাসা ভগবাকে উল্লসিত করিতে পারে, বৈঞ্চব-কবি জ্ঞানদাস তাহাঁই বুঝাইয়াছেন। তিনি আনন্দময় ভক্তিময় হৃদয়ের মধুর আবেগে এই সকল বিভিন্ন রসের চিত্র অাকিয়। ভক্তের হৃদয়ে মহাভারতের ঐতিহাসিকত WS)o S) অনিন্দ ও আশীর সঞ্চার করিয়াছেন—বঙ্গসাহিত্যক্ষেত্রকে ভাবে বর্বর করিয়া—বহুফলশালী করিয়া, আমাদিগকে চিরকৃজ্ঞতাপাশে বদ্ধ করিয়াছেন। জ্ঞানদাসের পদাবলী ভাবসৰ্ব্বস্ব ভাবের সার মাত্র নহে ; ইহার প্রেমপুলকিতচিত্ত ভক্তের ভগবৎপদে সচনানতুলসীস্বরূপ, অশ্রুসিক্ত-নিৰ্ম্মাল্য-স্বরূপ, স্নিগ্ধ ও কোমল, সরল ও পবিত্র "যিনি যে ভাবেই ইহাদের গ্রহণ করুন, ইহার কাহাকেও বঞ্চিত করিবে না ; ভক্ত ইহাদিগের কাছ হইতে ভক্তি ভিক্ষা লষ্টবেন, রসিক ইহাদিগকে রসের আকর বলিয়া গ্রহণ করিবেন, ভাবুক ইহাদিগকে ভtৎপরিপোষক বলিয়া গ্রহণ করিবেন। ফলতঃ জ্ঞানদাসের পদাবলী নির্দোষ ন৷ হইলেও, বহু গুণসম্পন্ন ; সে বিষয়ে নিতান্ত পরীবাদপ্রিয় সমালোচক ভিন্ন আর সকলেই স্বীকার করিবেন তাঁহাতে সন্দেহ মাত্র নাই । ঐজিতেন্দ্রলাল বসু । মহাভারতের ঐতিহাসিকতা লৌকিক অংশ গাথামূলক এক্ষণে বিচাৰ্য্য যে, উক্ত বংশাবলী প্রামাণিক কি না। ইহাতে কোন অলৌকিকতা নাই । ইহাও যে গাথামূলক এবং কবির স্বকপোলকল্পিত নহে, তাহ ৯৫ অধ্যায় পাঠ করিলেই বুঝা যায়। তংমুর ও দুষ্মন্তের ও শান্তনুর উপাখানে প্রাচীন গাথা উদ্ধৃত হইয়াছে। উংস্কর উপাখ্যানে যে অলৌকিক ব্যাপার অর্থাৎ সরস্বতীর তংমুকে পত্তিত্বে বরণ, তাছ বিশ্বাস না করিলেও, এইরূপ ভাবে তাহার ব্যtখ্যা করিতে পারা যায় যে, সরস্বতী-তীরে দ্বাদশবার্ষিক-যজ্ঞফলে তংল্প সরস্বতীর বরে সরস্বতীয় অংশভূত সরস্বতী নামী কোন পত্নী লাভ করেন। মহাভারতে দুষ্মন্তোপাখ্যানে দুৰ্ব্বাসা নাই । তাছার অভিসম্পতিবশতঃ দুষ্মন্তের স্বতিলোপ ও অঙ্গুরীয়ক দর্শনে পুনঃস্মৃতির কথাও নাই । ইন্দ্রের সাহায্য জন্ত দুষ্মন্তের স্বর্গে গমনও মহাভারতে বর্ণিত হয় নাই। কালিদাস ঐ সমস্ত অলৌকিকতা কতক পদ্মপুরাণ ও কতক স্বীয় কল্পনা হইতে পাইয়াছেন। মহাভারতে অলৌকিকতার মধ্যে बहे माद्य श्राप्छ् cय, क्श्वन झुश्रश्न श्रृंकूढशकि পরিণীতা জানিয়াও,লোকলজ্জার ভয়ে স্বীকার করেন নাই, তখন দৈববাণী হয় –