বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা } সেই জন্যই জয়দেব শ্ৰীকৃষ্ণের চতুর্দিকে ইন্দ্রিয়াকর্ষণের সকল উপচার,—মন ভুলাইবার সকল প্রকার উপায়ু—স্তরে স্তরে সাঙ্গাইয়াছেন, এবং সেই সকল অবস্থা ও দৃষ্ঠ সখী সহচারিণী শ্রীরাধাকে দেখাইয়াছেন। এই মধুর উল্লাসময় বসন্ত কালে কোথায় প্রিয়বঁধু তাহার সহিত প্রেমরসে নিমগ্ন থাকিবেন, তা না করিয়া কি না তিনি শত সুন্দরী পরিবৃত হইয়া তাহাকে ভুলিয়া— মুগ্ধ বধুনিকরে * বিলসতি কেলিপরে। শুধু তাহাই নহে, রাধাকে সখী দেখাইতেছেন যে শ্ৰীকৃষ্ণ গ্নিষ্যতি কামপি চুম্বতি কামপি কামপি রময়তি রামাম্। পশুতি স স্মিত চারু-পরমপরামযুগচ্ছতি বামাম্ ॥ বৈষ্ণব যাহারা তাহারা জানেন যে এইরূপ ঘটনা সংস্থাপনের কি উদ্দেশু, কিন্তু সে কথা পরে বলিতেছি। যাহারা শুধু কাব্য হিসাবেই গীতগোবিন্দকে দর্শন করিবেন তাহারাও বুঝিবেন যে শ্ৰীকৃষ্ণ ও ঐরাধার ভালবাস। ফুটাইবার জন্যই কবি দুই জনকেই এই পরীক্ষানলে ফেলিয়াছেন । , প্রথমে দেখা যাউক, এই বিসদৃশ দৃপ্ত দেখিয় স্ত্রীরাধার মনে কি ভাবের উদয় হইল। কবি বলিয়াছেন যে এই দৃপ্ত দেখিয়া স্ত্রীরাধার মনে ঈর্ষার উদয় হইল—হওয়াই সম্ভব ; কারণ যাহার তাহার প্রাণাধিককে उँशद्र कांइ श्इड हिनाहेब मेंईशांtछ, তাহাদের প্রতি ঈর্ষ না হওয়া বড়ই অস্বাভাবিক, বিশেষতঃ যাহার মনে ভালবাসা 歌 擊 জয়দেব ওঁ বিদ্যাপতি ❖8፭) আছে, তাহার পক্ষে এমন হওয়া অসম্ভব বলিয়াই মনে হয়। অতএব রাধ। আর সেখানে দাড়াইতে পারিলেন না, অন্যত্র চলিয়া গেলেন, ইহাও স্বাভাবিক। তঁtহার আর একটা ভাব উপস্থিত হইল তাহীও স্বাভাবিক। "কৃষ্ণ আমাকেই সকলের অপেক্ষ ভালবাসেন" তাহার এই গৰ্ব্ব টুটিয়া গেল, এবং সেই বোধের সহিত হৃদয়ও ভাঙ্গিয় গেল ; " তাই তিনি আজ অতি দীন, বুঝি মাথা তুলিয়া কথা কহিবারও র্তাহার শক্তি ও প্রবৃত্তি নাই । বৈষ্ণবশাস্ত্রে এই গৰ্ব্বহানির বিশেষ উপযোগিতা বর্ণিত হইয়াছে। সেই বিষয়ের প্রতি অঙ্গুলি নিদেৰ্শ করিয়া কবি “সাধারণ প্রণয়ে হরেী” এই বিশেষণ ব্যবহার করিয়া হরির অপক্ষপাতিত্ব বর্ণনা করিয়াছেন। বৈষ্ণব মাত্রেই বুঝেন যে ভগবান সকলকেই ভাগবাসেন, শুধু একজনকেই ভালবাসেন না, এবং ভগবৎ সম্বন্ধেও গৰ্ব্ব অনেক সময় স্বাভাবিক হইলেও ভাল নহে, তাই স্ত্রীরাধিক, যিনি ভগবানের হ্নাদিনী শক্তির প্রতিমূৰ্ত্তি, র্তাহাকেও এই গৰ্ব্ব পরিত্যাগের শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন হইয়াছিল। ভগবানের ভাবে বিভোর হওয়া চাই,-দীনহীন হইয়া, দেমকের উপর নহে। এই স্থলেই আবার ভক্তের পরীক্ষা এবং প্রণয়েরও পরীক্ষা, তাই সঙ্গীর প্রয়োজন। বৈষ্ণব নিদানে সখীর স্থান বড় উচ্চ, ফলে সখী ব্যতিরেকে রাধাকৃষ্ণলীলারস જૂછે হয় না। নিঃস্বর্থে ভক্তি এই সখীদের,ইহার নিজেদের জন্য কিছু চাহে না, নিজেদের বিষয় ভাবে না, ভক্তকে ভগদত্ত্বমুখী করিয়া, .ভক্তের ভক্তি পরীক্ষা করিয়াই