১১শ সংখ্যা পরম পুরুষাৰ্থ, তাই শ্ৰী শ্ৰীমহাপ্রভূ চণ্ডীদাস বিদ্যাপতি, রায়ের নাটক গীতি কৃষ্ণামৃত স্ত্রীগীতগোবিন্দ । লইয়া নিজের অপরূপ ভক্তির পুষ্ট সাধন করিয়াছেন। আমরা নাসিকা কুঞ্চিত করিতে পারি, কিন্তু যাহারা বুৈফবশাস্ত্রের মৰ্ম্ম গ্রাহী তাহার এই সন্তোগাদি ব্যাপারে নাসা কুঞ্চিত করিবেন না তাহ নিশ্চয়। আসলে কিন্তু শ্ৰীজয়দেব নীচ ইন্দ্রিয়বৃত্তির চিত্রকর নহেন, তাহ আমরা দেখাইয়াছি, আমরা দেখাইবার চেষ্ট করিয়াছি যে জয়দেবের শ্রীরাধার হৃদয় জন্মজন্মান্তরে জন্ম হ'তে জন্মান্তরে মোরা কুমলীয় সমকৰ্ম্মফলভোগী, সহযাত্রী দোহে চলেছি অনন্ত পথে মুখে দুঃখে মোহে পুণ্য পাপে অবিচ্ছিন্ন। অনন্ত যাত্রায় ঘূর্ণ্যমান কোটি জন্মমৃত্যু আবৰ্ত্তনে দুটি পান্থ পাশাপাশি। কত শত লোকে সহস্ৰযোনিতে মোরা জনমে মরণে ভ্রমণ করেছি দোহে। অরুণ আলোকে এক বৃত্ত্বে দুটি কলি বিচিত্র কুসুমে হরষে উঠেছি ফুটি। জানি না কেমনে কোন শুভলগ্নে মোরা কোন ११jडूंग উপনীত হ’ব ধীরে ; মন্থর চরণে বহিতে হবে না আর জীবনের ভার : প্রেমের নিৰ্ব্বাণ মোক্ষে হব একাকার । জন্মজন্মান্তরে ও বীণাবাদিনী や@(。 আছে, প্রণয়ের গভীরতা আছে, আকাঙ্ক্ষার আধ্যাত্মিকতা আছে, লালসার তীব্রত আছে। বিদ্যাপতির রাধারও হৃদয় প্রেমাপ্লত, তবে তাহার রাধিক যেন একটা পাৰ্ব্বত্য তটিনী, আরস্তে ক্ষীণ, কখনও স্ফীত কখনও স্তরেiaহত হইয়। চঞ্চল ও মুখর। বচিবিক্ষুব্ধ, কখনও আবার হুমকায়, কিন্তু তাহারওঁ গতি সেই সমুদ্রের পানে, এবং সমুদ্রের ভিতর সম্পূর্ণরূপে আত্মোৎসর্গ করিবার পূৰ্ব্বে সেও জয়দেবের শ্রীরাধার মত একটানা বিশালকায় নদীতে পরিণত হইয়াছে । ঐজিতেন্দ্রলাল বসু । বীণাবাদিনী এ বক্ষ বীণার মাঝে শ্লথতন্ত্রীগুলি রূপ রস শবদ গন্ধ পরশ আঘাতে কম্পিত বন্ধু ত সদা। নিশিতে প্রভাতে চারিদিক হ’তে যেন সহস্র অসুলি নিয়ত জাগায়ে তোলে মিশ্র কোলাহল, অর্থহীন ধ্বনি শুধু ছন্দ মুর নাই । বিরামবিশ্রামহারা আঘাত চঞ্চল বীণাটিরে আপনার ক্রোড়ে দিলে ঠাই টানি' নিলে বক্ষোপরি, হে বীণাবাদিনি, নিপুণ করুণ করে বাধি নিলে স্বর। হে আমার মূৰ্ত্তিমতী নিখিল-রাগিণী, জনতার শব্দজলে করি দিলে দুর অঙ্গুলি ইঙ্গিতে তব ; মোহন বস্কারে বাজালে তোমার গান মোর তারে তারে। সুরেশ্বর শম্মী ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৬০
অবয়ব