পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা ] বরকন্যাঙ্গ প্রভৃতি ছিল, প্রায় বৎসরাধিক এই কৰ্ম্মে প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া রায়, গবর্ণমেণ্টে , রিপোর্ট করিলেন যে হাটখোলার সণ্ট-মুপারিন্টেণ্ডেণ্ট এবং র্তাহার আফিস রাখা নিতান্ত অনাবশ্বক, ক্ষতি ব্যতীত উপকার খুব কম নিদকসুপারিন্টেণ্ডেন্টের কার্য্য সুচারুরূপে কস্টম কালেক্টরের দ্বারা সম্পাদিত হইতে পারে, রিপোর্ট যথাস্থানে পৌছিলে সাহেব মঙ্গলে একটা গোল পড়িয় গেল, অনেক সাহেবের ইচ্ছ: এ পদ থাকে । বtধ্য হইয়। গবর্ণমেণ্ট একটি কমিসান নিযুক্ত করিমেন, তাহার সভ্য হইলেন- বোর্ডের সিনিয়ার মেম্বার সক সাহেব, পুলিসের ডেপুটী কমিসনার মেজার রেভলি, নিমক-বিভাগের কৰ্ম্মচারী ওয়েন সাহেব এবং জগদীশনাথ রায়, অনাবেবল এডলি ইডেন সভাপতি মনোনীত হইলেন । জগদীশনাথ আপনার মত সমর্থন করিতে লাগিলেন এবং ওয়েন মাছের পদ রাথিবীর পক্ষে"দগুযিমান হইলেন। বহু তর্ক বিতর্কের পর জগদীশনাথের কথা গ্ৰাহ হইশ এবং হাটখোলার অফিস উঠি । গেল। ইতিপূৰ্ব্বে নিমকবিহুগের উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারিগণকে বেঙ্গল:পুলিলে ভৰ্ত্তি করা হইত, সুতরাং জগদীশনাধও বেঙ্গল পুলিশে প্রদেশ করিলেন এবং তাহাকে স্পেসিয়াল আদিষ্টাণ্ট সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট করিয়া আলিপুরে কৰ্ম্ম দেওয়া হইল। যখন হাটখোলাৰু আফিস উঠিয়া যাইরে স্থির হইল এবং জগদীশনাথ কি কৰ্ম্ম করিলেন তাহার আলোচনা হইতেছে, তখন প্রকাশ হইল, ইহঁকে মালদহ জিলায় ডেপুটী vজগদীশনাথ রায় ৬৯৭ ম্যাজিষ্ট্রেট করা হইয়াছে। বঙ্কিম, দীনবন্ধু, ঈশ্বর ঘোষাল, ঈশ্বর মিত্র প্রভৃতি অনেক বন্ধুগণ সমবেত হইয়া বলিগেন “তুমি ডেপুটী মেজিষ্ট্রেট হইও না, নিমকবিভাগে দেশায়গণের প্রবেশের উপায় ছিল না, তুমি প্রবেশ করিয়া দ্বার উন্মোচন করিয়াছ, তোমার, গর স্বৰ্য্যকান্ত ,বলিয়। একজন ভদ্রলেfক নিমক মহলে উচ্চকৰ্ম্ম পান, এখন তুমি পুলিসে ডিষ্ট্রক্ট সুপারিস্টেণ্ডেণ্ট হইয়। যদি এ বিভাগে বাঙ্গালীর প্রবেশপথ পরিষ্কার করিয়া দাও, তাহা হইলে একটা মহৎ কাৰ্য্য সম্পাদিত হয় এবং তুমি বাঙ্গালীর কৃতজ্ঞতাভাজন হও ।” জগদীশনাথ রায় বন্ধুবর্গের পরামর্শ মত ডিপুটী মেজিষ্ট্রেট গ্রহণ করিলেন না, পুলিশেই প্রবেশ করিলেন এবং ভারতবর্ষের সমগ্র দেশীয়দের মধ্যে প্রথম ডিষ্টি ক্ট সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট হইয়া দেশীয়গণের একটা উপকার করিয়া দিলেন : ৫০ বৎসর পূৰ্ব্বে ও পদটি . বড় মান্যের ছিল, মিলিটারী অফিসারেরই এই ক' পাইতেন, অন্য সাহেল র্যারা হইতেন তারা সকলেই বড় ঘরের ছেলে। কৰ্ম্মটি পাইতে জগদীশনাথ রায়কে একটু বেগ পাইতে হইয়াছিল। যখন তিনি দেখিলেন ডিপার্টমেন্টের সাহেবের একজোট হুইয়াছেন এবং উহাকে এ পদ হইতে বঞ্চিত রাখিতে বিশেষ চেষ্টা করিতেছেন, তথম তিনি সার উইলিয়াম গ্রে লেফটেনেণ্ট গবর্ণরের কাছে এক আবেদন করিলেন । আবেদনের মন্তব্য ছিল—কেন তিনি এই পদ পাইবেন না, বিদ্যা বুদ্ধি কাৰ্য্যদক্ষতায় তিনি উচ্চ ছিলেন, তবে কি জন্য র্তাকে এ পণ দেওয়া হইতেছে