ԳՀԵ এই সকল ছায়া লইয়া কি বাচিয়া থাকা যায় ? আপনারাই বলুন, এই জরাণীর্ণ দেহে এই বিষম চিস্তার দুৰ্ব্বহ ভার আর কতকাল বহন করিব ? e আপনার অপূৰ্ব্ব বাঙ্গল সাহিত্যের সেবক। . সত্যিসেবায়ু উপকরণস্বরূপ হৃদয়ে প্রফুল্লতা আবার আনিতেই হইবে, বাঙ্গলার कविटङइं है८३ ; था* নারা এই বিষংে বর্ষপরিকর হউন, আমি আপনাদের সর্বাঙ্গীন উন্নতি কামন रुद्रेिभ्रं ভগবতী ভারতীয় এই পীঠ মধ্যে, তাহার কৃপাভিক্ষা করিয়া আপনাদেয় জয়গান করি । প্ৰসীদ ভারতি। ভারত-সন্তানে। পরিশিষ্ট আপনারা জানেন, আমি মাসিক পত্রে ও সংবাদপত্রে নিয়মিত সাহিত্য-সেবা করিতাম । সাংসারিক বিঘটন ঘটায়, সংসারের সেবায় অধিক সময় দেওয়া প্রয়োজন হওয়ায় সাহিত্যের নিয়মিত সেবা আমার দ্বারা আর হয় না । তবে অভ্যাস দোষে চোরের যেমন छूत्रौनाङ्क রোগ ছিল, আমারও সেইরূপ সাহিত্য-তুৰী নাড়া চাড়া করা রোগের মত দাড়াইয়া নিরছে। সাহিত্য সেবা দুই প্রকারে হয়, এক পঠনে আর এক লিখনে । পঠন জীবনের কির সহচর, সে ত আছেই, লিখনও এক এক সময় বিশেষ বন্ধুত্ব করিয়া থাকেন। এইরূপে পূর্ণিমা’য় নিয়মিত লেখক হইয় পড়িয়াছিলাম। আমার সৌভাগ্যে বা দুর্ভাগ্যে “পূর্ণিমা মাসিকপত্র লীলা সম্বরণ করিয়াছে ; আমিও মনে করিয়াছিলাম, আমি খালাস পাইলাম। কিন্তু পুশিমায় এক বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ বৎসর সমালোচনা করিয়াছিলাম বলিয়া গ্রন্থকারগণ আমাকে পাইয়া বসিয়াছেন । র্তাহারা অনুগ্রহ করিয়া আমাকে পুস্তক উপহার দেন, আবার নিগ্ৰহ করিয়া সমালোচনার দাবী করেন। নিগ্রহ কেন বলিতেছি, বলি । লেখাপড় কিছু না শিথিয়া অনেকের লিথিবীর যাসনা হয়। অনেক লেখা বুঝিতে পারা যায় না,—সমালোচনা একটা নিগ্ৰহ হইয়া উঠে। তাহার পর অভ্যাস দোষে গ্রন্থের দোষগুলা চোখের সন্মুখে পড়ে, সেই দোষ দেখা একটা রোগে পরিণত হয় ; যৌবনে এ কথাটা ঠিক বুঝিতে পারি নাই, এখন বুঝিয়াছি ; ছাড়িতে চাই, কিন্তু উপরোধ অনুরোধ এড়াইতে পারি না। তাছার পর অধিকতর বিড়ম্বনী গত বৎসর হইতে। আমার ঘরের কাছে সাহিত্য-সন্মিলন করতে সারদাবাবু সঙ্কল্প করিলেন ; আমি রোগশয্যায় শায়িত, শয্যাপাশ্বে সারদাবাৰু আসিয়া আমাকে, অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি হইতে অনুরোধ করিলেন,-আমি তাহাকে ‘না’ বলিতে পারিলাম না, স্বীকার করিলাম । সেই সম্মিলনের দিন হইতে রাশি রাশি পুস্তক পুস্তিক, পত্র প্রত্রিকা আসিতে লাগিল। আমি ,সামান্ত লোক,—আমার সাহিত্যের সেরেস্তা নাই, ভাণ্ডার নাই ; যে গ্রন্থগুলি আছে, তাহারই স্বগৃঙ্খলায় স্থান সংস্ক গান করিতে পারি না। সুতরাং অজস্র পুস্তকাগমে আমি ব্যতিব্যস্থ হইয়া আছি। কতক হারাইয়াছে ; কত বিশৃঙ্খলায় বিস্তৃত হইয়াপড়িয়া আছে যেগুলি সম্মুখে পাইয়াছি, আপনার অনুমতি করিলে, আপনাদের সন্মুখে সেগুলির একটু আধটু পরিচয় দিবার চেষ্টা করিতে পারি।