পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা ] ७फ़े। शनि नञ्चद्र श्छ, अर्जुब कुबड श्हेज ; श्रांज्ञ* যদি দস্তুর না হয়, গোস্তাকি মাফ, করিবেন। প্রথমেই স্ত্রীলোকের লেখা পুস্তকের কথা বলিতে হইতেছে। তিনজন সন্ত্রান্ত মহিলার লিখিত চারিখানি পুস্তক পাইয়াছি। র্তাহীদের মধ্যে একটি ব্রাহ্মণকস্তা, একটি বৈদ্যকন্যা, আর একটি কায়স্থকস্তা। ব্রাহ্মণকন্ত অনুরূপ দেবীর “পোষ্যপুত্র” নামে একখানি গল্পের বই। বৈদ্যকস্তার “কৃষ্টি রহস্য’ নামে একখানি অতি গম্ভীর দর্শনের পুস্তক, আর কায়স্থ কন্যার একমাত্র পুত্রের অকাল বিয়োগে “মৰ্ম্মভেদী’ ক্ৰন্দন ; এই সকল গ্রন্থের কোন সমালোচনা সম্ভব নহে । দুইখানি এতদঞ্চলের মুসলমান লিখিত গ্রন্থ। একখানি “কারবালা’ বা মহরমের যুদ্ধের বিবরণ। নোয়াখালি মাইজদী হইতে শ্ৰীআবদুলবারি প্রণীত ; আর একথানি ভোলার মোজাম্মেল হক প্রণীত “জাতীয় মঙ্গল,” দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৩১৮ সালে মুত্ৰিত ; দুইখানিই কবিতাময় ; কবিতাগুলি সরল ও ভাবপ্রবণ । চট্টগ্রাম পটিয়ার বিপিনবিহারী নদী প্রণীত ১৩১৮ সালে প্রকাশিত “সচিত্র সপ্তকাণ্ড রাজস্থান" নামক বৃহৎ অবয়বে' ৪•• পৃষ্ঠায় পদ্যময় পুস্তক। পদ্যের ভাষা অতি প্রাঞ্জল, পরিচয় স্বরূপ কয়েক পংক্তি উদ্ধৃত করিতেছি। “হিন্দুর আদিম কীৰ্ত্তি গায় রামায়ণ, মধ্যকীৰ্ত্তি করে মহাভারত বর্ণন, • শেষ কীৰ্ত্তি রাজস্থান এ লঘু ভারত। যেমতি বিচিত্র তাহা পবিত্র মহৎ ।” সম্প্রতি চট্টগ্রামবাসী শ্ৰীযুক্ত শুীমাচরণ অভিভাষণ ৭২৯ সরকারের চারিখানি পুস্তক পাইয়াছি। এই গুলি এই সম্মিলনের প্রথম ফল। আর নবীনচন্ত্রের “আমার জীবন” চতুর্থ ভাগ পাওয়া গিয়াছে। “বঙ্গদর্শনে” কয় খণ্ডেরই আলোচনা করিয়াছি, এই চতুর্থ খণ্ডেরও করিব । ইতিহাস চারিখানি ও জীyনী একখানি পাইয়াছি। ইতিহাস, প্রকৃত ইতিহাস বাঙ্গলায় দুল্লভ পদার্থ। প্রথমেই গৌর রাজমালার” নাম করিতে হয়, বরেন্দ্র অমুসন্ধান সমিতি ঐতিহাসিক অনুসন্ধানে ব্যাপৃত ; স্বয়ং ঐতিহাসিক অক্ষয়কুমার সম্পাদক। তাহার সম্পাদকতায় শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ কর্তৃক এই গ্রন্থ প্রণীত হইয়াছে। বড়ই আনন্দের বিষয়। কিন্তু “বিষ্ণুপ্রিয়া” পত্রিকায় শ্ৰীযুক্ত বিনোদবিহারী রায় এই রাজমালার বিস্তর ভ্রম বা অনবধানতা দেখাইয়া দিয়াছেন। তাহাতে যেন বোধ , ইয় যতটা শ্রম বা যত্ন করিলে এই অপূৰ্ব্ব গ্রন্থ আরও নির্দোষ হইতে পারিত ততটা ষত্ব করা হয় নাই । বিনোদবিহারী রায় স্বয়ং প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধায়ী। সম্প্রতি গভর্ণমেণ্ট তাহায় স্ববৃহৎ পুস্তকের ৫৬ খণ্ড ক্রয় করিয়া তাহাকে উৎসাহিত করিয়াছেন। “ঢাকার ইতিহাস” প্রথম খণ্ড ; শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রমোহন রায় প্রণীত। এই গ্রন্থে অগাধ পরিশ্রমের পরিচয় পাওয়া যায়। সাধারণে ইহাকে উৎসাহ দিলে, আমরা আনন্দিত হইব। বারভূঞা বা ষোড়শ শতাঁদে বাঙ্গলার ইতিহাস— শ্ৰীআনন্দনাখ রার প্রণীত। অতি উত্তম গ্রন্থ। শ্ৰীমান্‌ কুমুদ্রনাথ মল্লিকের ‘নদীয়াকাহিনীর দ্বিতীয় সংস্করণ হইয়াছে। শ্ৰীযুক্ত হরিদাস