পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা ] মূল, পুজারি গোস্বামীর টীকা, পদানুবাদ ও বিস্তৃত ব্যাখ্যা সম্বলিত প্রকাশিত হইয়াছে। অতি সুন্দর। ইহাতে ১১২ পৃষ্ঠা বাণী ভূমিকা আছে, সেও এক অপূৰ্ব্ব পদার্থ। সম্পাদক-অক্সবাদকের শ্রম সার্থক হইয়াছে । বঙ্কিমবাবু প্রভৃতি সমালোচকের জয়দেবকে আক্রমণ ব্যর্থ করা হইয়াছে। শ্ৰীব্ৰহ্মানন্দ স্বামিপ্রণীত “রাস লীল।” অতি মুন্দর অথচ নিপুণ ব্যাখ্যান গ্রন্থ। আমাদের শ্ৰীমান্‌ কুমুদ্রনাথ মল্লিক প্রণীত “শ্ৰীগৌরাঙ্গ” গ্রন্থ এইখানে উল্লেখযোগ্য। শ্ৰীমা প্রকৃতই ভক্ত,--শ্ৰীক্ষেত্রে গিয়া , শ্রীচৈতন্ত দেবের কাথাখানি, পুথিথানি ও কমণ্ডলুটি সংরক্ষণের সুব্যবস্থা করিয়া আসিয়াছেন। শ্ৰীমানের জয় হউক । , দুই তিনজন খ্যাতনাম গ্রন্থকার তাহাদের সমগ্র গ্রন্থাবলি এই বর্ষে আমাকে উপহার দিয়াছেন ; তাহদের অনুগ্রহে আমি গৌরবস্থিত। গতবৎসর সম্মিলনের সময়ে ঐযুক্ত ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ আমাকে এক রাশি পুস্তক উপহার দেন। ১৬ খানি নাটক, কিন্তু অদৃষ্টবৈগুণ্যে তাহার মধ্যে ৭ প্রতাপাদিত্য” নাই। এক দিন আমি আলিপুরের প্রসিদ্ধ কংগ্রেস মেলায় তাহার প্রতাপাদিত্যের অভিনয় দেখিয়াছিলাম,মোহিত হইয়াছিলাম। নাটকগুলির নাম আর উল্লেখ করিলাম না । ক্ষীরোদবাবুর “নারায়ণী” উপন্যাস সকলেরই পাঠ কর কর্তব্য। "বিরাম-কুঞ্জে" কয়েকটি ছোট গল্প আছে সেগুলি বেশ চিত্তাকর্ষক । “দুর্গ" চওঁীর গল্পকথা। বড় সুন্দর। আমার নয় বৎসরের দৌহিত্রীকে পড়াইয়াছি,—সমস্ত অভিভাষণ 89) বুঝে নাই, কিন্তু সে একেবারে মোহিত হইয়াছে। কবি প্রযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ সেন অনেক দিন হইতে স্বকবি বলিয়া বাঙ্গলায় সুপরিচিত। র্তাহার কবিত্তার রস উপভোগ করিয়া আমরা বিশেষ আনন্দ লাভ রিয়াছি। এই বৎসর তিনি আমাদের ভাY্যগুণে র্তাহার সমস্ত কবিতা বিভিন্ন পুস্তকাকারে প্রকাশিত করিয়াছেন এবং আমাদিগকে উপহার দিয়াছেন । কতকগুলির নাম “গোলাপগুচ্ছ;” অশোকগুচ্ছ”ইত্যাদি; কতকগুলি মঙ্গল গ্রন্থ "অপূৰ্ব্ব শিশু মঙ্গল,” “হরি মঙ্গল” ইত্যাদি। আরও তিনখানি অপূৰ্ব্ব গ্রন্থ আছে, "অপূৰ্ব্ব বাবাঙ্গন, “অপূৰ্ব্ব ব্রহ্মাঙ্গনা”ও “অপূৰ্ব্ব নৈবেদ্য; মধুসূদনের “বীরাঙ্গনা,” “ব্রজাঙ্গনা” আর রবি কবির “নৈবেদ্য” উৎকৃষ্ট কাব্য গ্রন্থ ; তবে দেবেন্দ্রনাথের এগুলিও অপুৰ্ব্ব ৰটে। শ্ৰীযুক্ত মোহিতমোহন মজুমদার “দেবেঞ্জমঙ্গল” লিখিয়াছেন ; বলিতেছেন— “সার্থক সাধনা তব, হে কবিপ্রবীণ, তপ-পূজা পুরোহিত তুমি মহাব্ৰতী! চপল করিল মোরে তব স্বর্ণবীণ, তাই দেব করিলাম তোমার আরতি।” বাস্তবিক কবি দেবেন্দ্রনাথ আরতি করারই উপযুক্ত। শ্ৰীমান সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত আমাদের অনেকের সাহিত্য গুরুস্বর্গগত অক্ষয়কুমার দত্তের পৌত্র। ইনি আটখানি অতি উপাদেয় গ্রন্থ আমাকে প্রদান করিয়াছেন। আমি সকলগুলি এখনও পড়িয়া উঠিতে পারি নাই। “বেণু ও বীণার’ আরম্ভে কবি কাব্যের পরিচয় দিয়াছেন,