어8이 যায় না ? তবে চেচাইয়া সকলকে উত্যক্ত কর কেন ?” হরিদাস বিনীত ভাবে কহিলেন “আপনাদের কাছেই ত আমি হরিনামের মাহাত্ম্য শিখিয়াছি। আপনাদের নিকটই শুনিয়াছি—শাস্ত্রে বলে উচ্চরবে হরিনাম করিলে শত গুণ পুণ্য হয়, উচ্চ করিয়া হরিনাম করিলে পশুপক্ষীকীট হরিনাম শুনি৬ে পাটুয়া কৃতাৰ্থ হয়। ব্রাহ্মণ কুদ্ধ হইয়া প্রস্থান করিল। যাইবার সময় বলিয়া গেল “কলিকালে হরিদাস হইয়াছেন দৰ্শন-কর্তা।" ফুলিয়া হইতে হরিদাস শান্তিপুরে গমন করিলেন। অদ্বৈতাশ্রমে হরিদাস উপস্থিত হইবামাত্র আচাৰ্য্য র্তাহার মহিমা বুঝিতে পারিলেন এবং তাঁহাকে সাদরে গ্রহণ করতঃ সাধনভজনার্থ গঙ্গাতীরে তাহার জন্ত এক গোফ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিলেন । সেই নির্জন গোফায় এক জ্যোৎস্নাময়ী রজনীতে হরিদাস নামকীৰ্ত্তনে নিরত আছেন, এমন সময় এক পরম রূপবতী রমণী তথায় উপস্থিত হইয়া যুক্ত করে তাহার প্রণয় যাচ এা করিল। হরিদাস অবিচলিত ভাবে কহিলেন “আমার সংখ্যামত নামকীৰ্ত্তন সমাপ্ত না হইলে, আমি কোনও কাৰ্য্য করি न । फूभि प्रांरद्र खे»विठे रुझेब्रा नांभ १ॉन শ্রবণ কর। কীৰ্ত্তনান্তে তুমি যাহা বল তাহা করিব।” বেণাপোলের কুটীরে পূৰ্ব্বোক্ত রমণীর ন্তায় নবাগত রমণীও ক্রমান্বয়ে তিন রাত্রি আগমন করিল ; প্রতি রাত্রিই হরিদাসের কীৰ্ত্তনে অতিবাহিত হইল। তৃতীয় রাত্রিতে বিরক্তি প্রকাশ করিয়া রমণী কহিল “বৃথা আশ্বাসে তুমি তিন দিন আমাকে প্রবঞ্চনা করিয়াছ, রাত্রিদিনেও তোমার বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ নাম Lশষ হয় না।” হরিদাস বিনীত ভাবে কহিলেন “তোমার কষ্ট হইতেছে সহ্য, কিন্তু আমিই বা নিয়মভঙ্গ করি কি রূপে ??? রমণী তখন তাহাকে প্রণাম করিয়া কহিল, “ঠাকুর । আমি মায়া, তোমাকে পরীক্ষা করিতে আসিয়াছিলাম। ব্ৰহ্মাদি সকলকেই আমি মোহিত করিয়াছি, তুমিই কেবল আমাকে অতিক্রম করিলে। মহা ভাগবত তোমার মুখে কৃষ্ণনাম শুনিয়া আমার চিত্ত শুদ্ধ হইয়াছে। তুমি আমাকে কৃষ্ণ উপদেশ কর।” হরিদাস তাহাকে যথোচিত উপদেশ দান করিলেন। হরিদাস যখন শান্তিপুরে অদ্বৈতাচার্যের, সহিত কৃষ্ণকথালাপে অতিবাহিত করিয়াছিলেন; তখন গৌরচন্দ্র অল্পে অল্পে নবদ্বীপে আত্মপ্রকাশ করিয়াছিলেন। গৌরকর্তৃক আহূত হইয়া আচাৰ্য্য নবদ্বীপে গমন করতঃ র্তাহার সহিত মিলিত হইলেন । হরিদাসও অচিরে তাহার ‘ সঙ্গলাভ করিয়া কৃতার্থ হইলেন। ত্রয়োদশ অধ্যায় সাত প্রহরিয়া ভাব একদিন সমাগত ভক্তগণকে সম্বোধন করিয়া গৌরচন্দ্ৰ কহিলেন “আমরা দিবাভাগেই হরিনাম করিতেছি, কিন্তু রাত্রিগুলি বৃথা অতিবাহিত হইতেছে ; আজি হইতে রাত্রিতেও কীৰ্ত্তন করা যাউক ৷” ভক্তগণও তাহাঁই চাহিতেছিলেন, তাহারা সানন্দে গৌরের প্রস্তাবে অনুমোদন করিলেন। প্রতি নিশায় শ্ৰীবাসগৃহে কীৰ্ত্তন হইতে লাগিল। কোনও কোনও রাত্রিতে চন্দ্রশেখর আচাখের
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৪৫
অবয়ব