পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদশন সহাস্যমুখে বংশপরম্পরাক্রমে স্বেচ্ছায় ত্যাগ করিয়া ভীষ্মের ভাব যে ভারতেরই তাহা দেখাইয়াছেন। বিদুরের ধৰ্ম্মপক্ষসমর্থনকারিত, যুধিষ্ঠিরের সত্যনিষ্ঠতা আর্য্যসমাজের সনাতনী শক্তি । দ্রৌপদীর পতিভক্তি আৰ্য্যনারীর সনা গুনী রীতি। অর্জুনের সহিষ্ণুত আৰ্য্যসমাজের সনাতনী প্রথ। শ্ৰীকৃষ্ণে ভগবস্তুর আৰ্য্যসমাজের উন্নত আদর্শ। তাই [ ১২শ বর্ষ, বৈশাখ, ১৩১৯ নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে যে, তর্কচ্ছলে ব্যাসের মঙ্কিত ' চরিত্রগুলি প্রাণহীন ধরিয়া লইলেও সেই চরিত্র। স্কনমুখে মুনিবর নিজকালের ‘পাপপুণ্যময় সমাজ বর্ণন করিয়াছেন, একই পটে আলোক-ছায়ার ন্যায় যুধিষ্ঠর-দুৰ্য্যোধনাদির সন্নিবেশ করিয়া সমসাময়িক সমাজের আলোক-ছায়া দেখাইয়াছেন। (ক্রমশ) শ্ৰীহরিচরণ গঙ্গোপাধ্যায় শাস্ত্রী। অবল কি দুৰ্বল ? অনেকের বিশ্বাস অন্যান্ত বিষয়ে, বিশেষতঃ বুদ্ধি ও হৃদয়ে, পুরুষের সমকক্ষ হইবার মত গুণ স্ত্রীর থাকিলেও, শারীরিক বলে স্ত্রী পুরুষের বামে বসিবার যোগ্য। এই কারণেই অনাদিকার্ল হইতে পুরুষ স্ত্রীর রক্ষণকৰ্ত্তা, স্বামী বা নিরস্তা, এবং স্ত্রী পুরুষের অমুবৰ্ত্তিনী দাসী। ইংরেজদের মধ্যে কিন্তু এ বিষয়ে মতভেদ দেখা যায়। ডারউইন বলেন স্ত্রী পুরুষের অনেক পূৰ্ব্বে উন্নতির শেষ সোপানে উঠিয়াছে ; পুরুব এখনও উন্নতির পথে চলিয়াছে। হারবার্ট স্পেন্সার বলেন— “স্ত্রীজাতির উন্নতি অবহেলা দ্বারা दोषाआ७ ।' वन धुंबाई श्नि भन्न করিতেন কেবল মাত্র অভ্যাসজাত रझाबषाब्र शै भूक्षद्र निक शैनठ স্বীকার করে, নতুবা স্ত্রী কোন বিষয়ে পুরুষ অপেক্ষ নিকৃষ্ট নহে। মহাত্মা মিল স্বেরূপ সাহস ও দক্ষতার সহিত র্তাহার মত প্রচার করিয়াছিলেন তাহাতে সভ্য জগৎ গুক্তিত হইয়াছিল । সমগ্র রমণীসমাজ উtহার নিকট এ জন্য চিরঋণী । আজ কাল পুনরায় এক দল মাথ৷ তুলিয়াছেন । তাহাদের মতে স্ত্রী পুরুষ অপেক্ষা দুৰ্ব্বল নহে, পক্ষান্তরে পুরুষই দুৰ্ব্বল । ইহাদের প্রমাণ-সংগ্রহের ঘটা পড়িয়া গিয়াছে। পক্ষান্তরে ইংরেজ কুলাঙ্গনাগণ সমাজ ও রাজনীতিক্ষেত্রে উহাদের অধিকার বিস্তারের জন্য ছিন্নমস্তারূপে রণরঙ্গে মাতিয়াছেন। তর্ক যুক্তির ক্ষুদ্র সীমা অতিক্রম না করিলে পাছে স্বার্থপরায়ণ পুরুষ সহজে স্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার না করে, বোধ হয় এই আশঙ্কায় বার রমণীকুল সমাজবন্ধন পদদলিত করিতে উদ্যত হইয়াছেন। প্রবলপ্রতাপাম্বিত ইংরেজ রাজপুরুষগণ ইহঁদের ভৈরব নিনাদে ত্রস্ত ও চিত্তাকুল হইয়া পড়িয়াছেন। রমণীর অধিকার-পথ অচিরে কণ্টকমুক্ত না করিলে, ইংরেঙ্গ সালে কি বিপ্লব উপস্থিত হইবে কে বলিতে পারে?