পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা] ডারউইনের শিষ্যগণ বলেন মানুষ ও বনমানুষের শারীরিক গঠনগত প্রভেদের মধ্যে পাঞ্জরের হাড় বিশেষ উল্লেখযোগ্য । মানুষের পাঞ্জরে সাত খানি হাড় থাকে ; বনমানুষের আটখনি। বনমানুষ যে মানুষের পূর্বপুরুষ এ সম্বন্ধে একটা প্রধাণ যে, অনেক মানুষের ৮খন পাঞ্জর থাকে। এবং এই অষ্টমপঞ্জর স্ত্রী অপেক্ষ পুরুষে বেশী দেখা যায় । সুতরাং ইহা স্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্বের একটা নিদর্শন। আবার শরীণবয়বের অস্বাভাবিক গঠনও পুরুষের গৌরবের অনেক পরিমাণে হানি করে । পুরুষের মাপার চুল খড়ার ন্যায় মধ্যভাগে দ্বিধাভিন্ন ও উৰ্দ্ধ মুখী। অনেক সময় হস্তপদের অঙ্গুলি পুরুষের বিকৃত। আমুলের উপর আঙ্গুল, 'দাঁতের উপর দাত, এরূপ বিকৃতি স্ত্রীগণের মধ্যে খুব কম। ইহা স্ত্রীজাতির শারীরিক উৎকর্যের প্রমাণ । পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায় পুরুষ ক্রমবিকাশে যত উন্নীত হইতেছে, ততই সে স্ত্রীত্ব লাভ করিতেছে।* অবয়বলিৎ পণ্ডিতগণ বলেন আধুনিক সভ্য সমাজে পুরুষের গঠন ও আকার ক্রমেই স্ত্রীর মত হইয়া আসিতেছে। হয় ত এমন দিন বহুদূর নয় যখন শকার দেখিয়া পুরুষ কি স্ত্রী চেনা শক্ত হবে। অপরিচিতের স হত আলাপে নামধামের পরিচয়ের সঙ্গে আরও একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসার প্রয়োজন হইলে । অসভ্য কথাট, বুঝি বা সত্য। হিন্দু'জাতির আদর্শ পুরুষ শ্ৰীকৃষ্ণের দেহের গঠন, ললিতা, রমণীজনেচিত্র न ख्रि ? श् ि३, ८शोङ्ग्रश्नः সম্বন্ধেও ঐ কথা খাটে। নজীরের অভাব নাই। মল্লিনাথ। অঁবল কি দুর্বল সমাজে বৃহদাকার সুদীর্ঘ বপু পুরুষোচিত বলিয়া গণ্য। কিন্তু সে ধারণ এখন সভ্য সমাজ হইতে ক্রমে তিরোহিত হইতেছে। এখন স্ত্রীর ন্যায় পুরুষও কৃশাঙ্গ ও ধৰ্ব্বাকার হইলে সভ্য মানবের সৌন্দৰ্য্যজ্ঞানকে পরিতৃপ্ত করে । বস্তুতঃ সভ্যদেশে পুরুষ ও ক্ষণ-অস্থিবিশিষ্ট্র ও স্ত্রী মুলত লাবণ্যসম্পন্ন হইয়া উঠিতেছে। এ প্রমাণ অনুসারে বাঙ্গাপী পুরুষ ਬਗ দেশীয় পুরুষ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । হায়, বাগলী! তুমি জান না বিশ্ববিধাতা তোমার অজ্ঞাতসারে তোমাকে মনুষ্যজাতির আদর্শ করিয়া স্বই করিয়াছেন। স্ত্রীর শ্রেষ্ঠত্বের আরও প্রমাণ আছে। বর্ণকুভূতি পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীর তীক্ষ। অগত্য জাতির মধ্যে দেখা যায় তাহার ৪৫ টর বেশী বর্ণ অমৃতব করিতে পারে না । সাদা, কাল, নীল, পীত প্রভৃতি নানা বর্ণের ভেদ কেবলমাত্র স্ত্রীগণই সুস্পষ্ট অমৃতব করে । সভাসমাজে পুরুষগণও বর্ণের স্বল্প তারতম্য অনুভব করিতে পারে না । এ বিষয়ে স্ত্রীর শক্তি পুরুষ অপেক্ষা বেশী। একটা কিছু রহস্যজনক প্রমাণের উল্লেখ না করিয়া থাকিতে পারিলাম না। কোন অভিনব পণ্ডিতসম্প্রদায় . মনে করেন যেখানে খাদ্যসামগ্ৰী মহার্য ও অপ্রচুর, সেখানে পুত্র বেশী জন্ম গ্রহণ করে এবং যেখানে প্রচুর ও সুলভ সেশনে কন্যা বেশী জন্মে। ধনীর গৃহে এই কারণে কন্যা বেশী ও দরিদ্রের গৃহে পুত্র বেণী । দুর্ভিক্ষ ও মহামারী কিম্বা যুদ্ধ" বিগ্রহের সময় পুত্র বেশী জন্ম গ্রহণ করে।