পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

q8や ঘটিবে কি ?” বলিঙ্কে বলিতে মুকুন্দের নয়ন দিয়া দরবিগলিত ধারে অশ্র প্রবাহিত হইতে লাগিল। তাহার প্রার্থনা শ্ৰীবাস গেীরের নিকট নিবেদন করিল, তিনি কহি লেন, “কোটীজন্ম পরে মুকুন্দ নিশ্চয় আমার দশন লাভ করিতে পারবে। “কোটজন্ম পরে হউক একদিন ত পাইব” ভাবিয় মুকুন্দ আনন্দে বিহ্বল হইলেন এবং “পাইব পাইব’ বলিয়া নৃত্য করিতে লাগিলেন। দূর হইতে তাহার নুতা দেখিয়া গেীর হাসিয়া উঠিলেন এবং স্নেহভরে নিকটে আসিতে আদেশ করিয়া কহিলেন, “মুকুন্দ, তুমি অপরাধমুক্ত হইয়াছ, প্রসাদ গ্রহণ কর।” অপ্রার্থিত অনুগ্রহ পাইয়া মুকুন্দ মূৰ্ছিত হইয়া পড়িলেন। তখন প্রভু বলে "উঠ উঠ মুকুন্দ আমার। তিলীদ্ধেকে অপরাধ, নাহিক তোমার বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ ,সঙ্গদোষ তোমার সকল হইল ক্ষয় । তোর স্থানে আমার হইল পরাজয় ॥ কোটৗজন্মে পাইবা যখন বলিলাম আমি । ংিলাদ্ধেকে সব তাহা ঘুচাইলে তুমি। অবাৰ্থ আমার বাক্য’ তুমি সে জানিলা। তুমি আমা সৰ্ব্বকালে হৃদয়ে বাধিলা। মুকুন্দ আপনাকে ধিক্কার দিয়া কাদিয়া উঠিলেন । তখন গেীর স্বীয় গলদেশ হইতে মালা খুলিয়া ভক্তগণ মধ্যে বিতরণ করিলেন এবং চৰ্ব্বিত তাম্বুল সকলকে প্রদান করিয়া কৃতাৰ্থ করিলেন । ভোজনের অবশিষ্ট যাহা ছিল শ্রবাসের ভ্রাতৃস্থত নারায়ণীকে গৌর তাহা দান করিলেন । তদবধি বৈষ্ণবসমাজে ‘গৌরাঙ্গের অবশেষ পাত্র’ বলিয়া নারায়ণী বিখ্যাত হইয়াছেন। এই নারায়ণীর গর্ভে চৈতন্য ভাগবত প্রণেতা পরমভক্ত বৃন্দাবনাস জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। শ্ৰীতারকচন্দ্র রায় । রামাবতী । রামপাল নামক পাল-নরপালের সহিত পূৰ্ব্ববঙ্গের রামপাল নামক সুপরিচিত স্থানের নাম-সাদৃপ্ত দেখিতে পাওয়া যায়। কেবল ইহারই উপর নির্ভর করিয়া, রামপাল নামক । স্থানকে ‘রামাবতী' বলিয়া নির্দেশ করিতে হইলে, প্রমাণ নিতান্ত দুৰ্ব্বল বলিয়াই স্বীকার করিতে হইবে। & যাহার নাম ‘রামাবতী ছিল, তাহা কোন প্রক্রিয়ায় ‘রামপাল’ হইয়া গিয়াছে, তাহার বিষ্কার-সাধন সহজসাধ্য বলিয়া বোধ হয় ন। এই স্থানের নামকরণের একটি জনশ্রুতি প্রচলিত ছিল। ঐতিহাসিক তথ্যানুসন্ধানে তাহার কথা অনালোচিত থাকিতে দেখিয়া, স্বৰ্গীয় কালীপ্রসন্ন ঘোষ বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহার উল্লেখ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। জনশ্রুতি একটি প্রবাদবাক্যে পর্য্যবসিত হইয়াছে। “বল্লাল কাটায় দীঘি, নাম রামপাল।”