পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७२ नौण निकान (उमात्र' cओaltबंब आड ঢাকিয়া ফেল ; তোমার দেহ বল তোমার বসন ভূষণই বল সবই তো তাহারই মুখের জন্ত, তবে আর বিলম্ব কেন ? সে যে অভিমানী, নিশিখিনীঃ যে শেষ হইতে চলিল, তাহার কামনাপূর্ণ করিতে আর বিলম্ব কেন ? হরিরভিমানী রজনিরদানীমিয়মপি যাতি

  • বিরামম্। কুরু মম বচনং সত্বর রচনং পূরয় **

মধুরিপুকামম্। তাহার অবস্থা কি এখনও বুঝতে পারিতেছ না ? বিকিরতি মুহু: শ্বাসান শা: পুরো মুহুরীক্ষতে প্রবিশতি মুহুঃ কুঞ্জং গুঞ্জম্মুহুবহু তামাতি । রচয়তি মুহুঃ শয্যাং পৰ্য্যাকুলং মুহুরীক্ষতে মদন-কদনকান্ত কান্তে গ্রিস্তব বৰ্ত্ততে। সাধে কি বিদ্যাপতি বলিয়াছেন— ধদি ধরণীর মণি জনম ধনি তোরসবজন কামু কান্ত করি ঝুরায় । সে তুয়ভাবে বিভোর ॥ চাতক চাহি তিয়াসাল অম্বুদ চকোর চাহি রাহু চান্দা । তরু লতিকা অবলম্বন কারী মঝু মনে লাগল ধান্দা॥ দুজনের যখন এমন উৎকণ্ঠ তখন মিলন অবগুস্তাবী, কিন্তু সেই মিলনের পথেও অনেক বিঘ্ন আছে, কতক সময়-সাপেক্ষতা আছে। সেই যে একটু খানি বিলম্ব, তাহাও বুঝি এই প্রণয়িযুগলের সহে ন—সেই । যে শ্রীকৃষ্ণ আসিবার একটু বিলম্ব তাহাতেই শ্রীরাধ ভাবিয়াই আকুল,— t মম মরণমেব বরমতিবিতথ-কেতন । বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ কিমিহ বিষহামি বিরহানলমচেতন ॥ কেন যে শ্ৰীকৃষ্ণ আদিতেছেন না ইহার কত হেতুই কল্পনা করিতেছেন, কত রকম গড়িতেছেন ভাঙ্গিতেছেন, কখনও মনে করিতেছেন যে র্তাহ অপেক্ষ গুণবতী কেহ বুঝি তাহাকে'বশীভূত করিয়াছে, কখনও মনে মনে সেই দৃপ্ত স্পষ্ট দেখিতে পাইতেছেন, কখনও ভাবিতেছেন যে র্তাহারই মত বুঝি শ্ৰীকৃষ্ণের তদ্বিরহবেদনাজনিত দুৰ্ব্বলতা আসিয়াছে তাই তিনি এক পাও চলিতে পারিতেছেন না। জয়দেবের শ্রীরাধ পাগলিনী ; আমরা আর এক মহাকবি স্বঃ পাগলিনী রাধার পরিচয় পাই, সেই পাগলিনী আর জয়দেব-স্থঃ পাগলিনা একই উপাদানে গঠিত। বিষ্ঠাপতির রাধিক রসিক চঞ্চল ও কবিত্বময়ী, কিন্তু তিনিও কৃষ্ণানুশীলন করিতে ‘ করিতে এক কালে এমনই দিব্যোন্মাদগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন। যে ‘কালো’ ভালবাসতাহাকে বুঝি এমনি হইতেই হয়। এই পাগলামির চিহ্ন দেখ “মানে” । অদ্ভুত রমণীহৃদয়-রহস্ত, “দেবীঃ ন জনপ্তি কুতে মনুষ্যা: ?” যাহার জন্য এত ভাবনা; এত কদাকাটি এত জীবনেধিকার, বাহকে পাইবার জন্ত এত সাধ্যসাধনা, এত অনুনয় বিনয়, সে যেই আসিয়া উপস্থিত অমনি মাননী মুখ বাকাইয়া বসিলেন! সাধে কি সধী তাহাকে "বিপরীতকারিণী" খেতাব দিয়াছে ! কিন্তু যার বড় ভালবাসা তারই বোধ হয় মানও বড় বেণী ; একটু রঙ্গ করিবার डेकई नग्न, একটু শাস্তি দিবার প্ররোচনায় নয়, সে মান যেন প্রাণের ভিতর হইতে আপনা আপনি উছলিয়া আসে, এ দারুণ অভিমান কেন আসে,