পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা বর্তমান যুগের যে সৰ্ব্বাপেক্ষ গুরুতর বিপ্লব তাহাও লোকশিক্ষার ফল। পূৰ্ব্বে ধনীর দ্বারে নিধন কৃপার জন্য দণ্ডায়মান হইয়া কৃতাৰ্থ হইত। ধনী তাহার প্রাসাদের উচ্চতুম শিখর হইতে আদেশ প্রচার করিতেন, নিধন অবনত মস্তকে সে আদেশ পালন করিয়া ধন্য হইত। কিন্তু সে দিন চলিয়া গিয়াছে ; অকস্মাৎ রঙ্গমঞ্চে পটপরিবর্তনের ন্যায় ধনী ও শ্রমজীবীদিগের সম্বন্ধ একেবারে উল্টাইয়া বসিয়াছে। ধনী ইচ্ছা করেন যে র্তাহার অর্থে যে সকল পণ্যজাত উৎপন্ন হইবে, তাহার লভোর অধিকাংশ তাহারই কোষাগারে যাউক । বেচারী শ্রমজীবীর খাটিয়া খাটিয়া সারা হউক এবং সপ্তাহান্তে গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য স্বল্প কিছু অর্থ লউক । তাহা হইলেই ধনীর পক্ষে লাভের মাত্রা "বাড়িয়া যাইবে। পৃথিবীর হাটে প্রতিযোগিতা যতই বাড়িয়া যাইতেছে, অর্থশালীদিগের ততই চেষ্ট হইতেছে যাহাতে শ্রমজীবীদিগের পারিশ্রমিক কমিয়া যায় । অর্থের বশ সকলেই ; শ্রমজীবীগণের ত অর্থ নাই। কাজেই তাহারা ধনীর কৃপাগ্রার্থ হইয়া কোনও রূপে জীবন অতিবাহিত করিয়৷ যাইত। কিন্তু শিক্ষার প্রভাবে তাহদের মধ্যে আত্মপ্রতিষ্ঠা দেখা দিয়াছে এবং আরও সুশিক্ষার স্বচন৷ করিতেছে। তাহাদের অর্থবল নাই ; কিন্তু তাহাদের লোকবল আছে—সমবেত হইয় প্রণালী অনুসারে কাজ করিবার মত তাহার। শিক্ষ। পাইতেছে, সুতরাং আজ নিধনের দ্বারে ধনীকে দাড়াইতে হইয়াছে। শিক্ষা ও আত্মপ্রতিষ্ঠা যাইতে نيسرا এই যে তীব্র পারিশ্রমিক প্রতিযোগিতা অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত জগতের সর্বত্র প্রধূমিত হইয়া উঠিতেছে, ইহা হইতে যে কি এক বিশাল দাবদাহের উৎপত্তি হইতে পারে তাহা ভাবিতেও শোণিত শুষ্ক হয়। এই অবগুস্তাবী বিপ্লবের মধ্যেও আমরা আত্মপ্রতিষ্ঠার একটি গৌরবময় চিত্র দেখিতে পাই। লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবীর ক্লেশ প্রশমিত করিয়া, জগুতের অধিকাংশ লোকের শিক্ষা ও জীবিকার ব্যবস্থা করিয়া এই আত্মপ্রতিষ্ঠা মানবের অপরিমিত কল্যাণ সাধন করিতেছে, যদি এই আত্মপ্রতিষ্ঠ। জগতে সাম্যতন্ত্র বা সম্পত্তির *F-feij (The Socialistic ideal ) আনয়ন করে, তাহা হইলে ফল যে কি হইবে বুঝিতে পারা যায় না। চিন্তায় ও কৰ্ম্মে আত্মপ্রকাশের যে উচ্চ আদর্শ হিন্দুদিগের মধ্যে ছিল, তাহ কোনও আদর্শের তুলনার পরিমান বলিয়া বোধ হয় না। সে একদিন ছিল যখন অরণ্যের শান্ত বিজনতার মধ্যে সরস্বতীর কলগুঞ্জনে, কাব্য ও সঙ্গীতের ছন্দে আৰ্য্যগণ বিশ্বস্রষ্টার স্তুতি রচনা করিতেন। সে একদিন ছিল, যখন অতীষ্ট দেবতার উদ্দেশে জগতের প্রিয়বস্তুসন্তার উপহার দিয়া তাহারা আত্মতৃপ্তি লাভ করিতেন। সে এক দিন श्लि, ग१न थांज्जठसूक्लेिखांग्न निशश्च श्ब्र তাহারা অদ্ভুত তথ্যসকল আবিষ্কার করিয়া ভবিষ্ণবংশীয়দের নিমিত্ত শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি অর্জন করিয়াছিলেন। আত্মাকে জানিতে পারা যাহারা জ্ঞানের আদর্শ বলিয়া মানিয়াছিলেন, আত্মহিতের চেষ্টাকে যাহারা শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম