পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిలీe —বাহাতে কোন পক্ষের বুলবুদ্ধি না হয়, অপর পক্ষের ইহাই প্রাণপণ সতর্ক চেষ্টা । কিন্তু সকলে মিলিয়া যেখানে ঠেলাঠেলি করিতেছে, সেখানে বলের সামঞ্জস্য হইতে अग्नि ন। —সেখানে কালক্রমে জনসংখ্যা যোগ্যতার অপেক্ষা বড় হইয়া উঠে, উদ্যম গুণের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতা লাভ করে ৮বং বণিকের ধনসংহতি গৃহস্থের ধনভাণ্ডারগুলিকে অভিভূত করিয়া ফেলে—এইরূপে সমাজের সামঞ্জস্য নষ্ট হইয়া যায় এবং এই সকল বিসদৃশ বিরোধী অঙ্গগুলিকে কোনমতে জোড়াতাড়া দিয়া রাখিবার জন্য গবমেণ্ট, কেবলই আইনের পর আইন স্বষ্টি করিতে থাকে। ইহ। অবশ্যম্ভাবী। কারণ বিরোধ যাহার বীজ, বিরোধই তাহার শস্য ; মাঝখানে যে পরিপুষ্ট পল্লবিত ব্যাপারটিকে দেখিত্নে পাওয়া যায়, তাহা এই বিরোধশস্যেরই প্রাণবান বলবান বৃক্ষ। ভারতবর্ষ বিসদৃশকেও সম্বন্ধবন্ধনে বাধিবার চেষ্টা করিয়াছে। যেখানে যথার্থ পার্থক্য আছে, সেখানে সেই পার্থক্যকে যথাযোগ্য স্থানে বিন্যস্ত করিয়া—সংযত করিয়া তবে তাহাকে ঐক্যদান করা সম্ভব। সকলেই এক হইল বলিয়া আইন করিলেই এক হয় না। যাহার এক হইবার নহে, ভাইদের মধ্যে সম্বন্ধস্থাপনের উপায় তাতাদিগকে পৃথক্ অধিকারের মধ্যে বিভক্ত করিয়া দেওয়া। পৃখককে বলপূৰ্ব্বক এক করিলে তাহার একদিন বলপূৰ্ব্বক বিচ্ছিন্ন হইয়া বায়, সেই বিচ্ছেদের সময় প্রলয় ঘটে। ভারতবর্ষ মিলনসাধনের এই রহস্য জানিত । ফরাসীবিদ্রোহ গায়ের জোরে মানবের সমস্ত बत्रल-नि । [ ২য় বর্ষ, ভাঙ্গ৷ পার্থক্য রক্ত দিয়া মুছিয়া ফেলিবে, এমন পদ্ধ করিয়াছিল—কিন্তু ফল उँच्ने श्हेब्राप्झ —যুরোপে রাজশক্তি-প্রজাশক্তি, ধনশক্তিজনশক্তি, ক্রমেই অত্যন্ত বিরুদ্ধ হইয়া উঠিতেছে । ভারতবর্ষের লক্ষ্য ছিল সকলকে ঐক্যস্থত্রে আবদ্ধ করা, কিন্তু তাহার উপায় ছিল স্বতন্ত্র । ভারতবর্ষ সমাজের সমস্ত প্রতিযোগী বিরোধী শক্তিকে সীমাবদ্ধ ও বিভক্ত করিয়া সমাজকলেবরকে এক এবং বিচিত্রকৰ্ম্মের উপযোগী করিয়াছিল—নিজ নিজ অধিকারকে ক্রমাগতই লঙ্ঘন করিবার চেষ্টা করিয়া বিরোধ-বিশৃঙ্খলা জাগ্ৰত করিয়া রাখিতে দেয় নাই। পরস্পর প্রতিযোগিতার পথেই সমাজের সকল শক্তিকে অহরহ সংগ্রামপরায়ণ করিয়া তুলিয়া ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম-গৃহ সমস্তকেই আবৰ্ত্তিত, আবিল, উদ্ভাস্ত করিয়া রাখে নাই। ঐক্যনির্ণয়, মিলনসাধন, এবং শান্তি ও স্থিতির মধ্যে পরিপূর্ণ পরিণতি ও মুক্তিলাভের অবকাশ, ইহাই ভারতবর্ষের লক্ষ্য ছিল । বিধাতা ভারতবর্ষের মধ্যে বিচিত্র জাতিকে টানিয়া আনিয়াছেন । ভারতবর্ষীয় আর্য্য যে শক্তি পাইয়াছে, সেই শক্তি চর্চা করিবার অবসর ভারতবর্ষ অতি প্রাচীনকাল হইতেই পাইয়াছে। ঐক্যমূলক যে সভ্যতা মানবজাতির চরম সভ্যতা, ভারতবর্ষ চিরদিন ধরিয়৷ বিচিত্র উপকরণে তাহার ভিত্তিনিৰ্ম্মাণ করিয়া আসিয়াছে। পর বলিয়া সে কাহাকেও দূর করে নাই, অনাৰ্য্য বলিয়া সে কাহাকেও বহিস্কৃত করে নাই, অসঙ্গত বলিয়া সে কিছুকেই উপহাস করে নাই। ভারতবর্ষ সমস্তই গ্রহণ করিয়াছে,