পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংখ্যা । ] করিয়া গিয়াছেন। ংস্কৃতসাহিত্যে একা- ८ओङ्गैौर्शं জনপদ ভারতবর্ষে খ্যাতিলাভ ধিক কালিদাসের নাম প্রাপ্ত হওয়া যায় ; কিন্তু অদ্যপি একাধিক ভবভূতি আবিষ্কৃত হয় নাই। সুতরাং কবি কহুলণ যে স্বনামখ্যাত মহাকবি ভবভূতিকেই নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন, তাহাই স্বীকার করিতে হয় । কলেণের মতানুসারে ভবভূতি কান্তকুঞ্জেশ্বর যশোবন্মার রাজসভার অলঙ্কার ছিলেন । কাশ্মীরাধিপতি মুক্তাপীড়-ললিতাদিতা মুশোবৰ্ম্মাকে পরাস্ত করায়, ভবভূতি কাশ্মীররাজসভা অলঙ্ক ত করিয়াছিলেন । মুক্তাপীড়ললি তাদিত্যের রাজ্যকাল এক্ষণে নানা প্রমাণে মুনির্দিষ্ট হইয়াছে। তিনি খৃষ্টো লুর অষ্টম শতাব্দীর নরপতি ছিলেন । যশোবৰ্ম্মার রাজসভায় ভবভূতি স্তায় বাকৃপতিরাজনামক আর একজন মহাকবি বৰ্ত্তমান ছিলেন ; তাহার নামও রাজতরঙ্গিণীতে প্রাপ্ত হওয়া যায় । তিনি যশোবন্মার গৌড়বিজয় অবলম্বনে কাব্যরচনা করিয়াছিলেন । রাজতরঙ্গিণীতে ললিতাদিতা ও তৎপেী এ বিনয়াদিত্যের শাসন সময়ে কাশ্মীর ও গৌড়ের সংস্রবের কথা লিপিবদ্ধ আছে । তাহ খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর কাহিনী। কিন্তু গৌড় যে বহুপুরাতন প্রসিদ্ধ জনপদ, তাহার অন্ত প্রমাণ বিলুপ্ত হয় নাই। পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীস্থত্রেও গৌড়ের উল্লেখ আছে। আচাৰ্য্য গোল্ড কর নানা প্রমাণের আলোচনা করিয়া, পাণিনিকে খৃষ্টবির্ভাবের পুৰ্ব্ববর্তী একাদশশত বৎসরের সমসাময়িক লেখক বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়া গিয়াছেন । তদনুসারে, তিনসহস্ৰ বৎসর পুৰ্ব্বেও যে রাজতরঙ্গিণী । © »ዓ করিয়াছিল, তাহাতে সংশয়স্থাপন করা যায় নু । রাজতরঙ্গিণী প্রদেশবিশেষের ইতিহাস হইলেও, এই সকল কারণে সমগ্র আর্য্যাবৰ্ত্তের ঐতিহাসিক-তথ্য-সঙ্কলনের সহায়তা সম্পাদন করিতে সক্ষম । এই বিপুল গ্রন্থের অধ্যয়নব্যাপার সমধিক শ্রমসাধ্য হইলেও, তদ্বারা ইতিহাসপাঠক প্রচুর জ্ঞানলাভ করিবেন। অধ্যাপক ষ্টীন বিদেশের লোক হইয়াও, যেরূপ অধ্যবসায় ও পরিশ্রম স্বীকার করিয়৷ এই সংস্কৃত ইতিহাসের লুপ্তোদ্ধার সাধন করিয়াছেন, তাহা স্মরণ করিলেও বিস্মিত হইতে হয়। এরূপ অধ্যয়নস্পৃহা ও তথ্যাবিষ্কারের অনুরাগ ভিন্ন ভারতবর্ষের বিলুপ্ত ইতিহাস কদাপি সঙ্কলিত হইবে না । ইহা কেবল শ্রমসাধ্য নহে, বিলক্ষণ ব্যয়সাধ্য ব্যাপার । অধ্যাপক ষ্টীন তাহাতে যথেষ্ট সহায়তা লাভ করিয়াছিলেন বলিয়াই এরূপ দুরূহ ব্ৰত সম্পন্ন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । এই সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ অধ্যাপক ষ্টীন বা কবি কহলণের সঙ্কলিত বিবিধ ঐতিহাসিক তথ্যের সামাদ্য আভাসমাত্রও প্রদান করিতে সক্ষম হইল না। তজ্জন্ত ইহা আদৌ লিপিবদ্ধ হয় নাই। এই ক্ষুদ্র-প্রবন্ধ পাঠে রাজতরঙ্গিণী-অধ্যয়নে কাহারও উৎসাহ ও অনুরাগ বদ্ধিত হইলে, তদ্বারা বঙ্গসাহিত্য কালে নানা তথ্যলাভে সক্ষম হইবে,— কেবল এই আশায় সমালোচনা লিখিত হইল। বঙ্গসাহিত্যে অতি ধীরে, অতি নিঃশব্দে, পল্লবগ্রাহী শিশু সমালোচকবর্গের