পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88b क्छझर्श्वन । [ ২য় বর্ষ, অগ্রহায়ণ । দেশ স্বকীয় প্রতিনিধিগণকে সাহায্য করিতেছে ; কিংবা মনে কর, জামাদের দেশ এমন কোন কাজে প্রবৃত্ত হইয়াছে, যাহা অন্যায় বলিয়া স্বীকৃত ; তাহা হইলে ঘোষণাবাক্যটির অর্থাপত্তি (implication) কিরূপ দাড়ায় ?—অর্থাৎ ঐ বাক্য বলায় তাহার সঙ্গে সঙ্গে আর কি কথা অব্যক্তভাবে বলা হইয়া যায় ?—তাহ এই –ন্যায় তাহাদেরই পক্ষে, যাহারা আমাদের আক্রমণের প্রতি রোধী এবং অদ্যায় আমাদেরই পক্ষে ।” তাহা হইলে সে স্থলে—যাহাকে স্বদেশভক্তি বলা হয়—সেই স্বদেশভক্তি কিরূপ কথায় ব্যক্ত হইবে ?—ম্পষ্টই দেখা যাইতেছে, তাহ। হইলে কথাগুলি এইরূপ দাড়াইবে ঃ– “দ্যায়ের পতন হোক, অন্যায়ের জয় হোকৃ!” জীবনের অপরাপর কার্য্যের সময় এইরূপ কথা বলিলে, শঠতার পরাকাষ্ঠা বলিয়া গণ্য হইবে, সন্দেহ নাই । পুরাকালের লোকদের মনে এইরূপ একটি বিশ্বাস ছিল—এমন কি, এখনও অনেকের মনে এই বিশ্বাস আছে যে, মূৰ্ত্তিমান পাপের রূপে একজন পাপপুরুষ আছেন ;—তিনি ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়া এবং পাপের জয়ে সাহায্য করিয়া জগতের সৰ্ব্বত্র বিচরণ করিতেছেন । সেই পাপপুরুষের যে সঙ্কল্প, তাছা নিম্নলিখিত কথার বেরূপ সংক্ষেপে ব্যক্ত হয়, এমন আর কিছুতে হয় না –সে কথা এই ঃ—“দ্যায়ের পতন হোক, অঞ্চায়ের জয় হোকৃ!” র্যাহারা স্বদেশভক্ত-নামে পরিচিত, তাহার এই নীতির প্রতিজ্ঞাপত্রে নিজ নাম স্বাক্ষর করিতে প্রস্তুত আছেন কি ? কয়েক বৎসর পূর্বে, এই সম্বন্ধে আমার মনের কথা প্রকাশ করিয়াছিলাম (অৰত এই মনেয় কথাটি স্বদেশভক্তির বিপরীত বলিয়। কথিত হইবে ), আব'র এমন ভাবে প্রকাশ করিয়াছিলাম, যাহাতে সকলে চমकिब्र छेठिंब्रांछ्ठिा । cमहे जभब्राँ दिउँौम्न আফগান-যুদ্ধের সময়। আফগানিস্থান আক্রমণ করা আমাদের স্বাৰ্থ”—এই বিৰেচনায় আমরা তখন ঐ দেশ আক্রমণ করিতে উদ্যত হইয়াছিলাম । সংবাদ আসিয়াছিল, আমাদের সৈন্ত বিপদগ্রস্ত । অ্যাথিনিয়ান ক্লবে একজন প্রখ্যাত সৈনিকপুরুষ—( তখন তিনি কাপ্তেন ছিলেন, এখন জাদ্রেল ) তিনি একটি তারের সংবাদের প্রতি আমার মনোযোগ আকর্ষণ করিলেন। উক্ত বিপদের কথা সেই তারের সংবাদটিতে ছিল এবং তিনি এইভাবে আমার নিকট ংবাদটি পাঠ করিলেন যে, আমিও তাহার উদ্বেগের অংশভাগী হইলাম। কিন্তু আমি র্তাহাকে নিম্নলিখিত কথাটি বলির স্তম্ভিত করিয়া দিলাম। “যাহারা নিজের শরীর ভাড়া দিয়া হুকুমে অন্ত লোককে গুলি করে, তাহারা নিজে যদি গুলি থাইয়া মরে, আমার তাহাতে কিছুমাত্র দুঃখ হয় না।” আমার এই কথায় কিরূপ উচ্ছাসোক্তি বাহির হইবে, তাহ পূৰ্ব্ব হইতেই আমি দেখিতে পাইতেছি । কেহ কেহ এইরূপ दणिरवन, “थै मौऊि शनि श्रवणशन कब्रां बांब्र, তাহা হইলে সৈন্ত রাখা অসম্ভব হইৰে— শাসনকর্তৃত্ব শক্তিহীন হইয়া পড়িৰে । যুদ্ধের উদেশ্বসম্বন্ধে যদি প্রত্যেক সৈনিক বিচার করিতে বসে, তাছা হইলে কাৰ্য্য চলিবে না । তাহা হইলে সামরিক ব্যবস্থ