লক্ষী-সরস্বতী । —O হে লক্ষ্মি তোমার আজি নাই অন্তঃপুর ! সরস্বতীরূপ আজি ধরেছ মধুর, দাড়ায়েছ সঙ্গীতের শতদলদলে । মানসসরসী আজি তব পদতলে fনখিলের প্রতিবিশ্বে রঞ্জিছে তোমায় । চিত্তের সৌন্দর্য্য তব বাধা নাহি পায়— সে আজি বিশ্বের মাঝে মিশিছে পুলকে সকল আনন্দে আর সকল আলোকে সকল মঙ্গল সাথে ! তোমার কঙ্কণ কোমল কল্যাণপ্রভা করেছে অর্পণ সকল সতীর করে। মেহাতুর হিয়৷ নিখিল নারীর চিত্তে গিয়েছে গলিয়া । সেই বিশ্বমূর্তি তব আমারি অন্তরে লক্ষ্মীসরস্বতীরূপে পূর্ণরূপ ধরে ! কথা । O তোমার সকল কথা বল নাই, পার নি বলিতে, আপনারে খৰ্ব্ব করি রেখেছিলে তুমি, হে লজ্জিতে, যতদিন ছিলে হেথা । হৃদয়ের গুঢ় আশাগুলি যখন চাহিত তারা কাদিয়া উঠিতে কণ্ঠ তুলি’ তর্জনী-ইঙ্গিতে তুমি গোপনে করিতে সাবধান ব্যাকুল সঙ্কোচবশে, পাছে ভুলে পায় অপমান ! আপনার অধিকার নীরবে নিৰ্ম্মম নিজ করে রেখেছিলে সংসারের সবার পশ্চাতে হেলা ভরে । লজ্জার অতীত আজি মৃত্যুতে হয়েছ মহীয়সী,— মোর হৃদিপদ্মদলে নিখিলের অগোচরে বসি নতনেত্রে বল তব জীবনের অসমাপ্ত কথা , ভাষাবাধাহীন বাক্যে ! দেহমুক্ত তব বাহুলতা জড়াইয়া দাও মোর মৰ্ম্মের মাঝারে একবার— আমার অস্তরে রাখ তোমার অস্তিম অধিকার !
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৬৮
অবয়ব