ዻ বঙ্গদর্শন। শিবপূজা। निबद्ध८द्रव्र ८बोक ७द९ cमश्रवाॉठी ठानांरीজাতির প্রভাবে, যে সকল দেবস্বরূপ, মহাদেবে প্রযুক্ত হইয়াছিল বলিয়া মনে করিয়াছি,—তাহার উল্লেখ করিতেছি । যে সকল জাতি কৌলিক ভূতপ্রেত, জীবজন্তু এবং বৃক্ষলোষ্ট্রাদির পূজা লইয়া বৌদ্ধ হইয়াছিল, তাহারা যখন পরে বৌদ্ধধৰ্ম্মের কৃপায় আৰ্য্যম্পুষ্ট হইয়া হিন্দুসমাজের অন্তভূক্ত হইতেছিল, তখনও তাহার আপনাদিগের ঠাকুরদেবতাগুলি সঙ্গে করিয়া আনিতে ভুলে নাই। অনেক শূদ্রের শূদ্ৰন্থ ঘুচিয়াছিল, তাহ বলিয়াছি। সেই সঙ্গে সঙ্গে ব্ৰাহ্মণ্যধৰ্ম্মের প্রভাবে মন্ত্রসংস্কৃত হইয়া উহাদের দেবতাদিগ্নেরও যে হীনতা দূরীভূতৃ হইয়াছিল, তাহারও প্রমাণ আছে। উপস্থিত প্রয়োজনের হিসাবে, কেবল স্থচারিটি দৃষ্টান্ত দিয়া, উদ্দিষ্ট বিষয়ের স্থাপনার জন্ত একটু সুবিধা করিয়া লইব । e১• খৃষ্টাব্দে রাজা সংক্ষোভ, অনার্যের পিষ্ঠপুরী-দেবীকে আর্য্যের দেবী করিয়া, মন্দির গড়িষ্ট, স্থাপন করিয়াছিলেন। ষে সকল অনাৰ্য্যের আর্য্যসমাজ হইতে দূরে Ο ছিল, তাহাদের দেবদেবী বড় সহজে অাৰ্য্যসমাজে প্রবেশ লাভ করিতে পারেন নাই । কিন্তু কালক্রমে যখন ঐ সকল অনার্য্যের সহিত নৈকট্য স্থাপিত হইয়াছিল, তখন তাছাদের দেবতারাও হিন্দুসমাজে আসিয়া আসন পাতিয়াছিলেন । ৮ম শতাব্দী পর্য্যস্ত যে চণ্ডী অনার্য্য শবর-কিরাতাদির দেবতা ; ভবভূতি, বাণভট্ট এবং দণ্ডী প্রভৃতি কবিগণ যাহাকে হীন বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন, এ যুগে তাহাকে মহাদেবের পত্নীরূপে দেখিতে পাই । এখানে বলিয়া রাখি যে, দশকুমারচরিতে ধিনি চওঁীকে অনার্য্যের দেবী বলিয়াছেন, চণ্ডীর নামের স্তোত্রগুলি কদাপি র্তাহার রচনা নহে। ঐ গ্রন্থ নিশ্চয়ই অন্ত লেখকের। যজুৰ্ব্বেদে রুদ্র এবং অগ্নি এক দেবতা বলিয়া পূজিত হইয়াছেন, দেখিতে পাই ; পৌরাণিক যুগের মহাদেবেও অগ্নির স্বরূপ প্রযুক্ত হইয়াছিল ; খপি, নৰম শতাব্দী পর্যন্তও, অগ্নির কালী-করালী প্রভৃতি শিখা মহাদেবের পত্নী হইয়া, অনার্য্যের ডাকিনীগুলিকে মুক্তিদান করিতে পারেন নাই। র্তাহারা অনেকদিন পর্য্যন্ত