পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ዊb” একটি চিরজ্ঞাত্ত চিরপ্রিয়ের জন্ত মনকে উতলা করিয়া তোলে। পূৰ্ব্বমেঘে বহুবিচিত্রের সহিত সৌন্দর্য্যের পরিচয় এবং উত্তরমেঘে সেই একের সহিত আনন্দের সন্মিলন। পৃথিবীতে वछ्द्र प्रशा निम्न cनशे शूरtश्रृंद्र सांजl, ७वश् স্বৰ্গলোকে একের মধ্যে সেই অভিসারের পরিণাম। নববর্ষার দিনে এই বিষয় কৰ্ম্মের ক্ষুদ্র ংসারকে কে না বলিবে নিৰ্ব্বাসন ! প্রভুর অভিশাপেই এখানে আটকা পড়িয়া আছি। মেঘ আসিয়া বাহিরে যাত্রা করিবার জন্ত আহ্বান করে, তাহাই পূৰ্ব্বমেঘের গান এবং যাত্রীর অবসানে চিরমিলনের জন্য আশ্বাস দেয়, তাছাই উত্তরমেঘের সংবাদ । সকল কবির কাব্যেরই গৃঢ় অভ্যন্তরে এই পূৰ্ব্বমেঘ ও উত্তরমেঘ আছে। সকল বড় কাব্যই আমাদিগকে রহতের মধ্যে আহবান করিয়া আনে ও নিভৃতের দিকে নির্দেশ করে। প্রথমে বন্ধন ছেদন করিয়া বাহির করে, পরে একটি ভূমার সহিত বাধিয়া দেয়। প্রভাতে পথে লইয়া আসে, বঙ্গদর্শন । [ শ্রাবণ। সন্ধ্যায় ঘরে লইয়া যায়। একবার তানের মধ্যে আকাশপাতাল ঘুরাইয়া সমের মঞ্চে পূর্ণ আনন্দে দাড় করাইয়া দেয়। + যে কবির তান আছে, কিন্তু কোথাও সম নাই, যাহার মধ্যে কেবল উদ্যম আছে, আশ্বাস নাই, তাহার কবিত্ব উচ্চকাব্যশ্রেণীতে স্থায়ী হইতে পারে না । শেষের দিকে একটা কোথাও পৌছাইয়া দিতে হইবে, এই ভরসাতেই আমরা আমাদের চিরাভ্যস্ত সংসারের বাহির হইয়া কবির সহিত যাত্রা করি,—পুষ্পিত পথের মধ্য দিয়া আনিয়া হঠাৎ একট। শূন্যগহবরের ধীরের কাছে ছাড়িয়া দিলে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়। এই জন্য কোন কবির কাব্য পড়িবার সময় আমরা এই দুটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি, তাহার পুৰ্ব্বমেঘ আমাদিগকে কোথায় বাহির করে এবং উত্তরমেঘ কোন সিংহদ্বারের সম্মুখে আনিয়া উপনীত করে । কুমারসম্ভব-শকুন্তলা-সম্বন্ধে এই দুটি প্রশ্ন করিয়া যে উত্তর পাইয়াছি, তাহ পরে লিখিবার ইচ্ছা আছে !