পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম-সংখ্যা । ] সপ্তম শ্লোকে অতিসমৃদ্ধিসত্ত্বেও হীনক্রিয়, পুত্রসস্তানবিহীন, বেদাধ্যয়নবিরহিত ( আধুনিক মতে মুখ ), রোমশ এবং অৰ্শ, ক্ষয়, অগ্নিমান্দ্য, অপস্মার, শ্বিত্র ও কুণ্ঠরোগ গ্রস্ত কুলের কন্যা পরিত্যাজ্য হইতেছে। ‘হীনক্রিয়’ শব্দের অর্থ—জাতকৰ্ম্মাদিবিহীন বলিয়া টীকাকার বলিতেছেন ; ইহার আধু নিক অর্থ—সদfচারবিহীন হইতে পারে । অতিরোমত্ব সাধারণত স্বাভাবিক অবস্থা নছে ; বিশেষত স্ত্রীলোকের পক্ষে । অতএব পুরুষানুক্রমিকত্ব সম্বন্ধে পুলে যে আলোচনা প্রদত্ত হইয়াছে, তাহু। কষ্টতে দেখা যাইবে যে, মন্ত্রর এই বিধির প্রত্যেক অংশ বিজ্ঞান ভ্ৰাতৃহীন ও অজ্ঞাতপিতৃকার পাণিগ্রহণ নিষিদ্ধ হইয়াছে, সন্ম ভ । একাদশ শ্রেণকে সাগর-কথা । ২১৩ ইহাও বিজ্ঞানাচুমোদিত। ভ্রাতৃহীন স্ত্রীর গর্ভে পুত্রসস্তানলাভের আশা অল্প । যাহার পাত্র বা পাত্রীর পুৰ্ব্বপুরুষের তত্ত্বামুসন্ধানে অনিচ্ছুক, অজ্ঞাতপিতৃকত্বে বিবাহ নিষেধ করিয়া মনু তাহাদিগকে তিরস্কার করিতেছেন বলিয়া বোধ হয়। অষ্টম শ্লোকে কন্যার নিজদেহাদিসম্বন্ধে ব্যবস্থা প্রদত্ত হইয়াছে। মনুর মতে কপিলকেশ, পিঙ্গলাক্ষী,ষড়জুল্যাদিবিশিষ্টত প্রযুক্ত বিকলাঙ্গী, আলোমিকা, অতিলোমা, বা পরুষভাষিণীর পাণিগ্রহণ অকৰ্ত্তব্য । বিকলাঙ্গী ও পরুষভাষিণীর সম্বন্ধে আপত্তির কারণ সুস্পষ্ট । এতদ্ব্যতীত অন্য সকলগুলি বিশেষণই এতদ্দেশে অসামান্যত্ব বাচক ; অতএব তদবস্থায় বিবাহ ও বিজ্ঞানবিরুদ্ধ । ঐপরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগর-কথা । বিদ্যাসাগরমহাশয় অসুস্থ অবস্থায় অনেক সময়ে ফরাসডাঙায় অবস্থিতি করিতেন । এইরূপ অস্বস্থাবস্থায় একদিন এই স্বগীয় মহাত্মা জাহুবীতীরে রাজপথে পাদচারণ। করিতেছেন, এমন সময়ে একটি স্ত্রীলোক একটি বালককে ক্রোড়ে লইয়া সেই পথে বেড়াইতে আসিয়াছে । ছেলেটি দেখিতে মন্দ নয়, মুখখানি দেখিলে, আবার গণিতে ইচ্ছা হয়। বিদ্যাসাগরমহাশয় wo ছেলেটিকে দেখিতেছেন, দেখিতে দেখিতে ক্রোড়স্থ বালকটির পায়ের দিকে দৃষ্টি পড়িল। বালকের দু’থানি পায়ের আকার সমান নহে দেথিয়া, তিনি উহার কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলেন যে, বালকের ছ’থানি পা-ই একরকম ছিল, কিন্তু বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একখানি প। শীর্ণ ও ক্রমে ক্ষয়প্রাপ্ত হইয়া ঐন্ধপ অযস্থ প্রাপ্ত ङ्हेब्रtिछ् ।