পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয়-সংখ্যা । ] আলোচনা। $$ অতি অল্পকালমধ্যেই বিনষ্ট হইয়। স্বাভাবিক মানবপ্রবৃত্তিই জয়লাভ করিল। এক্ষণে কথা এই যে, এই অনিবাৰ্য্য আর্য্য-অনাৰ্য্য-সম্মিলনে যে বর্তমান হিন্দুজাতি উৎপন্ন হইয়tছে, ইহার মধ্যে সেই সকল কঠিন কৃত্রিম বন্ধনের সার্থকতা বা উপকারিত কোথায় ? এখন বর্ণে বর্ণে এমন :ক চরিত্রগত পার্থক্য লক্ষিত হয়, যাহার রুশ পরস্পরের মধ্যে বিবাহদি নিষেধ শরিয়া উহাদের স্বাতন্ত্র্য অক্ষুণ্ণ রাখা এত fাবশ্যক? যাহা কিছু তারতম্য দেখা যায়, চাহ অবস্থা ও সুযোগ ভেদে ঘটে, এবং &াইiও শিক্ষা ও বৃত্তির সমতা হেতু দিন দন লোপ পাইতেছে । শুধু সার্থকত নাই, তাহ লহে, বর্তমান পপার 1৭৮ শপকারিভ দৃষ্ট সহ । , ? বল পাশ্চাত্য নিম্পেমুণে স্থানীয় দুদের পরস্পরের সহিত ঘনিষ্ঠতর সম্বন্ধস্থাপন অত্যাবশ্যক হইয় পড়িয়াছে । এই iণমিত্ত জাতিগত পূৰ্ব্ব নিয়মাবলী ক্রমেই ক্ষধিক কষ্টদায়ক ও অসুবিধাজনক হইয়। পড়িতেছে । তাহার ফলে অনেকে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে পাশ্চাত্য রীতিনীতির আশ্রয় এইতে বাধ্য হইতেছে। অযথাভাবে সঙ্কীর্ণ রাখার দরুণ পণগ্রহণ প্রভূতি নানা কুপ্রথা বঙ্গসমাজে বদ্ধমূল হইবার উপক্রম করিতেছে। এ অবস্থায় পাশ্চাত্যশিক্ষার প্রভাবে বর্ণবিভাগের অক্ষুঃতার যে পরিমাণ ব্যতিক্রম দৃষ্ট হইতেছে, তাহা কি বাঞ্ছনীয় এবং আশাপ্রদ নহে ? আর যদিই বা আমরা সকল অস্ববিধ

প্রতিদ্বন্দুি তার & - - গু: সুরক্ষার্থে ভারতবর্ষের সকল বিবাহের ক্ষেত্র । ও কষ্ট উপেক্ষা করিয়া কোন গতিকে বর্তমান বর্ণবিভাগপ্রণালী বজায় রাখিতে পারি, তাহাতেই বা বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্মরক্ষার কি সুবিধা হইবে ? এখনকার এক একটি বর্ণের মধ্যে নানা বিভিন্ন প্রকৃতির লোক অলঙ্ঘনীয় জন্মগত বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া পড়িয়াছে । তাহারা প্রকৃতপক্ষে বৃত্তি, প্রবৃত্ত্বি, স্বভাব ও চরিত্র বশত ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের অন্তর্গত হইবার উপযোগী। তাহার কি প্রকারে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সহিত কোন এক বর্ণের কৰ্ত্তব্যসমষ্টি ধৰ্ম্মস্বরূপ পালন করিবে ? অাধুনিক হিন্দুর সেই অ্যাtধ্যসূtধন কল্লিতে হয় বলিয়াই, আদ্যকার দিনে কেহই গঙ্কত হিন্দু হইতে পারে না । চতুর্দিকে কেবল কপটতা ও শৈথিল্য বিরাজম:ম এবং তাঁহারই ফুলে অনেক শ্রেষ্ঠ লোকে হিন্দুত্ব পরিত্যাগ করতে বাধ্য হইয়:ছে । ভ{গুণ যখন রীতিমত ধরিয়াছে, তখন তাহু নিধারণের বৃথ! চেষ্ট না করিয়া, ঘর, তুলিয়া এক্ষণে নূতন কোন স্থানে লইয়া যাইব, তাহা চিন্তু করাই অধিক ফলপ্রদ হুইবে । অবশু ইহাও মনে রাখা কৰ্ত্তব্য যে, কোন এক নিয়মাবলীর শাসন পরিত্যাগ করিবার পর, অপর কোন উপযুক্ত নিয়মাবলী সুসম্বন্ধ হইয়া উঠিতে কিছু সময় লাগে । ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাচারিত। প্রবল হইয়া উঠিবীর অবসর পায়। এই নিমিত্ত, অক্তিশয় ধীরগতিতে এবং সতর্কতার সহিত মুস্তনের উদ্দেশে অগ্রসর হওয়া কৰ্ত্তব্য, সন্দেহ নাই । কিন্তু পথ বিপৎসস্কুল বলিয়া যদি পুরাতন গণ্ডির মধ্য হইতে বাহির হইতেই সাহস না হয়, তবে ত উন্নতির অাশার জঙ্গtঞ্জলি