পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম-সংখ্যা । ] সংস্কৃত-ব্যাকরণের ইতিবৃত্ত। @ ©öፃ বলিতে গেলে পাণিনিই গণসমূহের উদ্ভাবন করিয়াছেন । অথৰ্ব্ববেদ-প্রাতিশাখ্যে অল্প অল্প গণের ব্যবহার দেখিতে পাওয়া যায় । যে সমস্ত পারিভাষিক শব্দ পাণিনির নিজের উদ্ভাবিত, তাহাদের সকলেরই তিনি ব্যাখ্যা প্রদান করিয়াছেন । আর যে সমস্ত তাহার পূর্ববর্তী বৈয়াকরণগণের নিকট হইতে গৃহীত, তাহাদের যেগুলির ব্যাখ্যা তাহার নিকট অসম্পূর্ণ বোধ হইয়াছে, সেগুলি তিনি নিজে নুতন ব্যাখ্যা দ্বারা সম্পূর্ণ করিয়া লইয়াছেন । তাহার পূর্ববর্তিগণের উদ্ভাবিত প্রথম, দ্বিতীর, তৃতীয়া প্রভৃতি বিভক্তি, অমুস্বার, অন্ত, এক বচন, দ্বিবচন, বহুবচন, উপসর্গ, নিপাত, ধাতু, প্রত্যয়, প্রধান, প্রযত্ন, ভবিষ্যৎ, বৰ্ত্তমান প্রভৃতি শব্দের তিনি ব্যাখ্যা প্রদান করেন নাই। আবার অনুনাসিক, আত্মনেপদ, আমন্ত্রিত, উপধা, গুণ, দীর্ঘ, পদ, পরস্মৈপদ, বিভক্তি, বৃদ্ধি, সংযোগ, সবর্ণ, হ্রস্ব প্রভৃতি শব্দ তাহার পূৰ্ব্বপ্রচলিত ব্যাকরণসমূহ হইতে গ্রহণ করিয়াও তাহাদের নুতন ব্যাখ্যা প্রদান করিয়াছেন। তাহার পূর্ববর্তিগণ এই সমস্ত শব্দের যে ব্যাখ্যা প্রদান করিয়াছিলেন, তাহ র্তাহার নিকট যথেষ্ট বলিয়া মনে হয় নাই । এই সমস্ত শব্দ ষে তাহার পূর্ববৰ্ত্তা ব্যাকরণ হইতে গৃহীত, তাহা তিনি স্থানে স্থানে স্বীকারও করিয়াছেন। যেমন—“চতুর্থীতি ংজ্ঞা প্রাচামৃ” ইত্যাদি ।

  • শালাতুরীয়কে দক্ষিীপুত্ৰঃ পাণিনিরাহিকঃ।

পাণিনির পূর্বের বৈয়াকরণগণ ব্যাকরণরচনায় যতদূরই কৃতিত্ব প্রদর্শন করুন না কেন, পাণিনিই যে সংস্কৃতভাষার মেরুদও, তাহা বোধ হয় কেহ অস্বীকার করিবেন না । সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর অতীত হইয়া গেল, কিন্তু দ্বিতীয় একজন পাণিনি দৃষ্ট হইলেন না। পাণিনির জীবনীর বিষয় কিছুই জানিতে পারা যায় না। ভারতের উত্তরপশ্চিম প্রান্তে ( গান্ধারপ্রদেশে ? ) শলাতুরনামক স্থানে তিনি জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। র্তাহার মাতার নাম দাক্ষী ছিল * । ইহাই কেবল আমরা জানিতে পারি। প্রবাদ আছে, তিনি সিংহের হস্তে + নিহত হইয়াছিলেন । পাণিনির পরে কাশকৃৎস্ন, চন্দ্র, অমর, জৈনেন্দ্র, সৰ্ব্ববৰ্ম্মন (কাতন্ত্রকার), বোপদেব, সারস্বতব্যাকরণ প্রণেতা প্রভৃতি বহু বৈয়াকরণ বর্তমান ছিলেন। সংস্কৃত ব্যাকরণ হইতে উপাদান সংগ্ৰহ করিয়া কাচায়নের পালি-ব্যাকরণ মহাসাদ-( শব্দ )-নীতি, রূপাসদ্ধি, বালাবতার, পয়োগ-সিদ্ধি, আখ্যাত পদ, ধাতুমঞ্জুষ মোগগল্লানের ব্যাকরণ প্রভৃতি পালি, সিদৎসংগরাভনামক সিংহলী ব্যাকরণ ও শু্যামদেশীয়, কাম্বোডিয়াদেশীয় বহু ব্যাকরণ বিরচিত হইয়াছিল। প্রবন্ধ অতি বৃহৎ হইল দেখিয়৷ আমরা আপাতত এ সম্বন্ধে কোন কথা বলিলাম না । ঐযতীন্দ্রভূষণ আচাৰ্য্য। t, সিংহে ব্যাকরণস্ত কৰ্ত্ত রহরৎ প্রাণান প্রিয়ান পাণিনেঃ ॥ পঞ্চতন্ত্র, বোম্বে সংস্করণ