পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

०१२ বঙ্গদর্শন। [ অগ্রহায়ণ । সমস্ত গ্রাম এবং চতুষ্পার্শ্বের পল্লীগুলিকেও বিক্ষুব্ধ করিয়া তুলিত ! মনে পড়ে, শেষদিনে পদ্মপুরাণপাঠের কৰ্ত আড়ম্বর ! সেদিন সন্ধ্যার পর বিশেষরূপে সাজসজ্জা করিয়া পদ্মপুরাণপাঠ আরম্ভ করা হইত। ভূগর্ভস্থ লৌহসিন্ধুকের श्रङाख्ब्रवर्डौं श्हेग्रा७ निंब्रङिद्र श्रर्षखनौग्र প্রভাবে মায়াবী কালীয়নাগের দংশনে লক্ষ্মীন্ধর যখন জীবনত্যাগ করিলেন, তখন পাঠক, গায়ক এবং শ্রোতৃকুল বাস্তবিকই আকুল হইয়া উঠিলেন। সতী বেহুলার আদর্শ-পতিপ্রেম, মৰ্ম্মাস্তিক করুণবিলাপ, সে সময়ে বাস্তবিকই হৃদয়বানের হৃদয়ে বেদন উপস্থিত করিল। বেহুলা মৃতস্বামিদেহ বক্ষে লইয়া ভাসিয়া চলিলেন ! তাহার ধৰ্ম্মবলে—সতীত্বপ্রভাবে মনসার কৃপা হইল ; সেই করুণায় লক্ষ্মীন্ধরের মৃতদেহে পুনর্জীবন সঞ্চারিত হইল। এই অংশ পাঠ হইবার সময় উচ্চ আনন্দধ্বনির সহিত জীয়ো জীয়ে রে লথাই চাদের নন্দন বলিয়া সকলে যখন ধুয়া ধরিলেন, লক্ষ্মীন্ধর তখন সমবেদনাশীল জনগণের স্নেহে যথার্থই লখাই’ হইয়া উঠিলেন। এই অংশ পাঠ করিতে ভোর হইয়া গেল,— তখন লোকের ভিড় একান্তই অধিক। পুনब्जैौंदन-णां८डब्र उं★जन्म 4कफै नूठन ईाऊँौष्ठ বর্ষার নূতন জল পূর্ণ করিয়া তাহাতে সপল্লব আম্রশাখা ডুবাইয়া পাঠকের সন্মুখে স্থাপন করা হইল ; পাঠক ঠিক জীবনলাভের সময়ে সেই আম্রশাখার দ্বারা চতুদিকে সকলের উপরে জীবনবারিস্বরূপ সেই শীতল জল সেচন করিলেন। অনেকে ঘটে করিয়া সেই জল বাড়ীতে ছেলেমেয়েদের জন্য লইয়া গেলেন । পদ্মপুরাণ সমাপ্ত হইতে পরদিন অর্থাৎ ১লা ভাদ্র . প্রায় একপ্রহর বেলা হইয়া গেল । সৰ্ব্বশেষে সকলে মাসব্যাপী পাঠোৎসবের সমাপ্তি কর হরিধ্বনি করিয়া স্নানাহারে প্রবৃত্ত হইলেন । অপরাহ্লে মনসার ভাসান। পাচ সাত দশ খানা গ্রামের মধ্যবৰ্ত্তী কোন একটা সুপ্রশস্ত স্থান ভাসানের জন্ত নির্দিষ্ট আছে । সেখানে সেদিন দৌড়ের নৌকা ( বাচের নৌক ) সমবেত হইয়া থাকে। ময়ুরপঙ্খী, ঘোড়ামুখা, লাখাই, উথার সরঙ্গ প্রভৃতি বিচিত্র তরণিশ্রেণী সুসজ্জিত হইয়া বাচ খেলিবার জন্য নাচিয়া নাচিয়া নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হইল । যে দেশের পল্লীকাহিনী বিবৃত হইতেছে, সেখানে এইরূপ নির্দিষ্ট স্থানের নাম "থলী” । “থলী’তে সেই বাচের নৌকাগুলি উপস্থিত হইয়া প্রথমে নানাদিকে নানাগতিতে বিচরণ করিত্বে লাগিল। কোন নৌকার মধ্যস্থলে বা অগ্রভাগে দাড়াইয়া একজন দল প্রধান করতাল বাজাইয়া গান ধরিয়াছে—“বেলা গেল রে শামৃ যাইবার করে বাড়ী ।” অন্য নৌকায় আর একজন দীর্ঘকেশ আন্দোলিত করিয়া নাচিয়া নাচিয়া আরম্ভ করিয়াছে—”সখি গৌরাঙ্গপ্রেমে মোর মন মঞ্জিল ।” কেহ বা গলা কঁাপাইয়া লম্ফের সঙ্গে সুর ধরিয়াছে—“সুর করিয়া ডাকে বঁাশী রাধা কলঙ্কিনী ।” আর সেই সকল নৌকায় দুই পাশ্বে শ্রেণীবদ্ধ মাল্লারী গানের তালে বৈঠার মধ্যস্থল নৌকায় পার্শ্বে স্পর্শ করাইয়া ঠকাঠক্ শব্যের সঙ্গে তাহার প্রতিধ্বনি করিতেছে বা ঠিক্‌ ফাক বুঝির