পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির একনিষ্ঠতা । ని अtवांद्र श्रटेवङदान ५७न कब्रिग्नां घङदांन স্থাপন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন । পঞ্চমকারসাধক ছাগমহিষহননকারী শাক্তের সহিত নিরামিষাশী জৈনের এত প্রভেদ যে বর্ণনায় কুলাইয় উঠে না। কিন্তু শৈব ও হিন্দু, শাক্তও হিন্দু, বৈষ্ণবও হিন্দু এবং জৈনকেও ফেলিয়া দেওয়া যায় না। যদি মতামত লইয়া হিন্দুত্ব গঠিত হইত তাহা হইলে হিন্দুসংজ্ঞা অনেকদিন লুপ্ত হইয়া যাহত । হিন্দুর হিন্দুত্ব আহারপান বিচারের উপরেও নির্ভর করে না । এক মহামাংস ভক্ষণ ব্যতীত খাদ্যাথাস্তের কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নাই। শিখেরা শূকর মাংস ভক্ষণ করে। মহারাষ্ট্ৰীয়েরা ও পাঞ্জাবের অধিবালীর কুকুটমাংস ভোজন করে। শিখেরা তাম্রকুট সেবন করে না কিন্তু মদির পান কয়ে । দক্ষিণাত্যে ব্রাহ্মণের মৎসাশী বঙ্গীয় ব্রাহ্মণকুলকে পতিত ও ভ্রষ্ট মনে করে। এমন কি পুরাতন সংহিতাকারগণ মহামাংস ভোজনেরও বিধি দিয়াছিলেন । এখন কাহাকে হিন্দু ৰলিৰ এৰং কাহাকে হিন্দুত্ব হইতে অপসারিত করিব ? মহারাষ্ট্রীয়দিগকে বা শিখদিগকে ছাড়িয়া দিলে হিন্দু জাতি যে অন্তঃসারশূন্ত হইয় পড়ে সে বিষয়ে কোন সংশয় নাই। যদি হিন্দুত্ব ধৰ্ম্মমতের উপর প্রতিষ্ঠিত নহে এবং ভক্ষ্যাভক্ষ্যবিধিসাম্যের উপর নির্ভর না করে তবে হিন্দুত্বের প্রতিষ্ঠা কোথায় ? কোন আলম্বে হিন্দুর জাতীয়তা অলিম্বিত আছে। হিন্দুত্বের ভিত্তি, হিন্দুত্বের সার, বর্ণাশ্রমধৰ্ম্ম এবং তৎপ্রণোদিনী একনিষ্ঠত। এই প্রবন্ধে হিন্দুর একনিষ্ঠত সংক্ষেপে ব্যাখ্যাত হইবে। কিন্তু কিরূপে সেই একমুখীন আর্য্যবুদ্ধি বর্ণাশ্রমবিভাগে প্রকটিত হইয়া হিন্দুজাতিকে ঘোরবিপ্লবসমূহ হইতে বার বার রক্ষা করিয়াছে ও এখনও করিতেছে তাহ। যথাসময়ে পৰ্য্যালোচিত হইবে। দর্শনশাস্ত্রে বলে মানুষ নির্দিষ্ট বিধি অনুসারে চিন্তা করে। সেই সকল অপরিবর্তনীয় বিধি অতিক্রম করিলেই ভ্রম প্রমাণ অবশুম্ভাবী। প্রাচ্যই হউক আর প্রতীচ্যই হউক দর্শনচিন্তাবিধি একই। এই নিৰ্দ্ধারণ একান্ত শিরোধাৰ্য্য। তথাপি হিন্দুচিন্তাপ্রণালীর বিশেষত্ব আছে। এই বিশেষত্বের উপরে হিন্দুত্ব প্রতিষ্ঠিত। প্রাচ্য ও প্রতীচ্য দর্শনে বিধিগত পার্থক্য নাই বটে কিন্তু প্রণালীগত ভেদ পরিলক্ষিত হয়। দুইটি পক্ষী এক নীড়ে বাস করিত। একটি পক্ষপুট বিস্তার করুিয়া উৰ্দ্ধে অনন্তের দিকে। উঠিল । মেঘাকাশ ছাড়াইয় গ্ৰহতারকমণ্ডিত নভোমণ্ডল ভেদ করিয়া ছায়াপথে পহছিল। এই ‘দিগ্বিহীন শূন্তে তানন্দের গভীরতায় ডুবিয়া বলিল, অনন্তপরমবোমে ভূমানন্দ, অসঙ্গীনন্দ প্রতিষ্ঠিত। আর একটি পক্ষী উত্তর দক্ষিণ পূৰ্ব্ব পশ্চিম দিগদিগন্তর পরিক্রম করিল, অনন্তের আবাস অমুসন্ধানে। কত সৌন্দর্য্য, কত সম্বন্ধ, কত কাৰ্য্যকারণঘটিত সুষমা দেখিল । প্রকৃতির মাধুরী দর্শনে বিমোহিত হইয়া, স্থির করিল—অনন্তের অখণ্ডত্ব সমন্বয়ে, সংশ্লেষে, সঙ্গমে নিহিত আছে। প্রথমটি আর্য্যঋষি, দ্বিতীয়টি যুনানী বা গ্ৰীক দ্রষ্ট। দুইটি মৎস্ত জলধির স্বরূপনির্ণয়োদেশে