পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় প্রথম খণ্ড.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR করিতে পারে নাই। আজি হিন্দুস্থানে সাংখ্যদর্শনের সম্মান আছে বটে কিন্তু সাংখ্যমতের পোষক একবারেই নাই বলিলে হয়। প্রকৃতিবাদের একত্ব অপেক্ষ বিশিষ্টদ্বৈতবাদের একত্ব গভীরতর । ব্ৰহ্ম একমাত্র জগতের কারণ। ব্ৰহ্মাতিরিক্ত কোন বস্তু নাই। ব্রহ্মের একতার মধ্যেই অনেকতা নিহিত । যেমন বৃক্ষ এক, কিন্তু মূল ও শাখা প্রভেদে বহু, সমুদ্র এক, কিন্তু লহরীলীলাবহুত্বময়, মৃত্তিকা এক, কিন্তু ঘট শরাবস্কৃষ্টে বহু, সেইরূপ ব্ৰহ্ম এক, অথচ বহু । রামামুজের এই সিদ্ধান্ত সাংখ্যের একত্ব হইতে উচ্চতর সন্দেহ নাই, তথাপি আর্য্য একনিষ্ঠার উচ্চতম বিকাশ নহে। ব্রহ্মের স্বরূপে যদি বহুত্ব অস্তুর্নিহিত থাকে তাহ হইলে একত্বের কেবলত বা শুদ্ধতা থাকে না । ব্রহ্মের সত্ত্বtয় যদি বহুতার অপেক্ষ থাকে, অনেকতার আকাঙ্ক্ষী থাকে, সম্বন্ধের প্রয়োজন থাকে ; যদি ভূমাননো কামনা থাকে, তবে সেই অপেক্ষার সিদ্ধি, আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতা, কামনার পরিতৃপ্তি কে করিবে ? আবার যদি বহুত্বের বীজ পূৰ্ণব্রহ্মে পারমার্থিকভাবে নিহিত থাকে তাহা হইলে সেই বীজের ক্রমবিকাশ হইলে সদ্বস্তুর পরিগাম স্বীকার করিতে হয়। পরিণামী ব্ৰহ্ম ইহা এক অসঙ্গত কথা। ব্ৰহ্ম যদি পরিশামী হন, তাহ হইলে সেই পরিণামের কারণ কোথায়? ব্রহ্মের বাহিরে ত কোন বস্তু নাই। ব্রহ্মই আপনার পরিণামের আপনি কারণ। কিন্তু কারণের যোজনা হইলে ক্রিয়া অবশ্যম্ভাবী। তাহা হইলে ব্রহ্মপরিণাম যতদূর হইবার সম্ভাবনা ততদূরই হওয়া ম্ভাৰ্য্য। ক্রমান্বয়ের স্থান থাকিণ্ঠে পারে না। হিন্দুজাতির একনিষ্ঠত অধিকন্তু পরিণামের চূড়ান্ততাই পূর্ণত বা অপরিণামিতা। তবেই সিদ্ধান্ত হইল ৰে ব্ৰহ্ম যদি নিজের স্থিতির নিজে কারণ হন ज्रोङ् झ्हेय्ण उँाङ्ग्न मद्दमा दक्षङ्°ब्रि°ोप्टमङ्ग ংস্পর্শ থাকিতে পারে না। বিশিষ্টাদ্বৈতে একনিষ্ঠত আছে কিন্তু ঋষিপ্রণোদিত হিন্দুর একমুখীন বুদ্ধিকে তৃপ্ত করিতে পারে নাই। হিন্দুস্থানে শতকরা দশজন ও বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী দুষ্প্রাপ্য । শঙ্করের শুদ্ধাদ্বৈতবাদে হিন্দুর একনিষ্ঠতার চরমতৃপ্তি হইয়াছে। বস্ত এক ভিন্ন পরমার্থতঃ দুই হইতে পারে না । এবং সেই বস্তুর মধ্যে বহুত্বের বীজ অসম্ভব । ব্ৰহ্ম একমেবাদ্বিতীয়ম্, অখণ্ড, অপরিণামী, আগুকাম, সম্বন্ধ-নিরপেক্ষ আত্মরত, অসঙ্গ, শুদ্ধ, কৈবল্যময় । তিনি জগতের কারণ বটেন কিন্তু সেই কারণবীজ তাছার সত্বাতে পাওয়া যায় না। • তাহার জগৎকারণত্ব বা অমৃত্ব স্বরূপগত নহে। তাহার স্বরূপ কেবল সচ্চিদানন্দমর । তিনি চিদ্বিহীন হইলে অস্তিত্ববিহীন হইয়া যান, কারণ চিৎ এবং অস্তিত্বে কোন ভেদ নাই। কিন্তু র্তাহার স্রষ্ঠুত্ব বা কারণত্ব একটা বাহুল্য বা ঐশ্বৰ্য্য মাত্র, তাহার স্বরূপকে স্পর্শ করিতে পারে না। স্রষ্ঠত্বকে অপসারিত করিলে তাহার সত্বার উপচয় বা অপচয় হয় না। বাস্তবিকই বেদাস্ত একত্বের উচ্চতম আকাশে আরোহণ করিয়াছে। বেদান্তের সিদ্ধান্ত এই যে, যতদিন ব্রহ্মের স্রষ্ঠত্ব জ্ঞানদৃষ্টিতে অপগত না হয়, ততদিন মুক্তির সম্ভাবনা নাই। এই জগৎ মায়ামর, অমৃত, অলীক, সক্রপে প্রতিবিম্বিত মাত্র। ইহার অস্তিত্ত্বের ভিত্তি