পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हू औव न १शा 1] হইয়াছি। সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, দেশী-বিদেশী শাস্ত্র যথাসাধ্য অধ্যয়ন করিয়াছি। জীবনের সার্থকতাসম্পাদন জন্য প্রাণপাত করিয়া পরিশ্রম করিয়াছি। এই পরিশ্রম, এই কষ্টভোগের ফলে এইটুকু শিখিয়াছি যে, সকল বৃত্ত্বির ঈশ্বরাহুবৰ্ত্তিতাই ভক্তি, এবং সেই ভক্তি ব্যতীত মনুষ্যত্ব নাই । ‘জীবন লইয়া কি করির ? এ প্রশ্নের এই উত্তর পাইয়াছি । ইহাই যথার্থ উত্তর, আর সকল উত্তর অযথার্থ। লোকের সমস্ত জীবনের পরিশ্রমের এই শেষ ফল ; এই একমাত্র স্বফল। তুমি জিজ্ঞাসা করিতেছিলে, আমি এ তত্ত্ব কোথায় পাইলাম ? সমস্ত জীবন ধরিয়া, আমার প্রশ্নের উত্তর খুজিয়া এতদিনে পাইয়াছি। তুমি একদিনে ইহার কি বুঝিবে ?” এই কথাগুলির ভিতর আমরা এই কয়টি বিষয় পরিষ্কার দেখিতে পাই— ১ । বঙ্কিমচন্দ্রের জীবনে অতি “তরুণ বয়সেই” এক গভীর জীবনসমস্ত আসিয় ছিল । ২ । কোন “লোকপ্রচলিত উত্তরে” তিনি সস্তুষ্ট হন নাই, “তাহার সত্য সত্যনিরূপণ জন্য অনেক ভোগ ভুগিয়াছেন, অনেক কষ্ট পাইয়াছেন।” ৩। এই সকল কষ্টের ভিতর একটি— সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, দেশী-বিদেশী শাস্ত্র যথাসাধ্য অধ্যয়ন করা। ৪ প্রশ্নের যে উত্তর পাইয়াছিলেন, তাহ সমস্তজীবনব্যাপী অন্বেষণের ফল । ৫। এই উত্তর-সকল বৃত্তির ঈশ্বরাচুবৰ্ত্তিতাই ভক্তি, এবং সেই ভক্তি, ব্যতীত ধস্থ্যৰ নাই। - 瞳 లి বৰ্ত্তমানযুগের স্বাধীনচিন্তা। 34 ৬ । এই উত্তরের যাহাষ্ট্র অর্থ हस्रेक नां কেন, কেহ একদিনে তাহ, বুঝিতে পারে 키( || . আজ আমাদের দেশের চিস্তাশীল, ভাবুক, স্থপণ্ডিত “দেশনায়কেরা” এক গভীর আন্দোলনের ভিতর ডুবিয়াছেন। মাহুষের শরীর, মন, ও আত্মা কতদূর “নমনীয় ও দ্রবণীয়" এবং তাহার বিশ্লেষণে নুইটক এসিডেরই বা কতদূর, উপযোগিতা, তাহ আমার জানা নাই,--- কিন্তু তাহাদিগের একটা আমূল বিশ্লেষণপূর্বক সমস্ত উপকরণগুলিকে পৃথক্ করিয়া, তাহt- , দিগের মধ্যে যেগুলি “বিদেশী”মার্ক, সেগুলি কেন আসিল, কবে আসিল, তাহ স্থির করিয়া, সেই বিদেশী ঋণকে একেবারে সমস্ত সংস্পর্শ হইতে ঝাড়িয়া-ফেলিয়া দিবার যেন একটা চেষ্টা দেখিতে পাওয়া যায়। এখন যদি জিজ্ঞাসা করা যায়,বঙ্কিমচন্দ্রের ভিতর এজীবনসমস্ত কোথা হইতে আসিল ?—“লোকপ্রচলিত উত্তরে” সন্তুষ্ট না হইতেই বা কে তাহাকেশিক্ষাদিল? যেখানে শঙ্করাচার্যেরস্কার স্বপ্রতিষ্ঠ প্রতিভাশালী ধর্থজিজ্ঞাস্বও রোক্ত বাক্যমীমাংসা তদবিরোধিততর্কোপকরণা” আপনার জন্য এই বিধি বাধিয়া-লইয়া তবে র্তাহার ভাষ্যপ্রণয়নে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, সেখানে আপনার “জীৱনপাতকে প্রধান অবলম্বন করিয়া জীবনয়মস্তার মীমাংসা খুজিতে বঙ্কিমচন্দ্রকে কে পরামর্শ দিল ? এই সকল প্রশ্নের উত্তর কে স্ট্রিরূপ দিবেন,জানিতে বড়ই কৌতুহল হয়, ' ' 参 আমাদের বর্তমান আন্দোলনে একট, স্থানে, আমার মনে হয়, বড় একটা শূন্ত ও অন্ধকার থাকিয় গেছে, সেদিকে বড়