পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مهها (ஆக் , लकई। - বুদ্ধিতে না করিাক স্বাধীনচিন্তার • করিতে হয়, তাহা হইলে সেই স্বাধীনচিন্তাকে -বৰ্দ্ধিত, পুষ্ট, ‘সন্মার্জিত, মুতীক্ষ্ণ, উজ্জল ও ফলপ্রস্থ করিতে হইলে, তাহাকে কেবল সেই জাতীয়শান্ত্রেরই গওঁীর ভিতর আবদ্ধ রাখা শ্ৰেয়, তাহাকে নির্ভীকচিত্তে সকল শাস্ত্র ও সমাজতন্ধের আলোচনাতেই অধিকার দেওয়া অধিকতর অমুকুল ? “বিদেশী নামমাত্রেই - একটা আতঙ্ক থাকিলে তাঁহা কি স্বদেশীভাবের গৌরব না দুৰ্ব্বলতা প্রকাশ করে ? শুধু আতঙ্ক নয়, শিক্ষাসম্বন্ধেও বিদেশীর সংস্পর্শে যেন কোন অলক্ষিত অপমান বা কলঙ্ক সেই জ্ঞানকে চিরন্তুষ্ট করিয়া দিতে পারে—এইরূপ একটা ভাব যেন কাহারও কাহারও মনে প্রবেশ করিয়ছে। “বাঙালীর মুখে বয়কট্রশদের আন্ধালনে আমি বারংবার মাথা হেঁট করি য়াছি” এ কথা বলিতে গিয়াও, রবীন্দ্রবাবু উলের “দেশনায়ক”শীর্ষক প্রবন্ধে লিখিয়াছেন—“কচ দৈত্যগুরুর আশ্রমে আসিয়া দৈত্যদের উৎপীড়ন ও গুরুর অনিচ্ছা সত্ত্বেও ধৈৰ্য্য ও কৌশল অবলম্বনপূর্বক বিদ্যালাভ করিয়া দেবগণকে জয়ী করিয়াছেন । জাপানও যুরোপের আশ্রম হইতে এইরূপ কচের মতই বিদ্যালাভ করিয়া মাজ জয়যুক্ত হইয়াছেন। দেশের সাহাতে ইষ্ট, তাহ যেমন কৱিষ্কাই হউক, সংগ্ৰহ করিতে হইবে, সেজন্ত স্বমস্ত সহ করা পৌরুষেরই লক্ষণ—তাহার পর সgহকাৰ্য শৈব হইলে স্বাতন্ত্র্যপ্রকাশ -৯রবার দিন আসিতে পারে " সঙ্কোচ ও স্থানের কঠোর পেষণে শত্রুপক্ষ হইতে সেই শত্ৰুহন্ত হইতে উদ্ধারেরই উপাস্বরূপ-জান সংগ্রহের নীতি সমর্থনের এই প্রয়াস পড়িয়া —ভট্টপাদের কাশীধামে শঙ্করাচার্য্যের সম্মুখে অগ্নিপ্রবেশের কথা মনে হয়। গুপ্তবেশে বৌদ্ধগুরুর নিকট মন্ত্রগ্রহণ করিয়া, বৌদ্ধসম্প্রদায়েরই বিরুদ্ধে অভিযানরূপ পাপের তিনি অগ্নিপ্রবেশ ভিন্ন অদ্য প্রায়শ্চিত্ত দেখিতে পান নাই। বাস্তবিক গুরুকে যদি কেবল শত্রুজ্ঞানই থাকে, তবে সেই শক্রকেই দমনের জন্ত তাহার নিকট শিক্ষা কখন কি সম্ভব, অথবা সঙ্গত, অথবা নীতিশাস্ত্রের অনুমোদিত হইতে পারে ? কিন্তু আমাদের অবস্থা কি বাস্তবিকই এইরূপ ? বর্তমানযুগে শিক্ষাবিস্তারের সঙ্গে জাতীয়জীবনের কি সম্বন্ধ, তাহা যদি আমরা ভাবিয়া দেখি, তাহা হইলে এ বিষয়টা কতকটা পরিষ্কার হইতে পারে এবং এই সমস্ত অমূলক ও অনর্থকারী দ্বিধা আসিয়া আমাদের মনকে উদ্বিগ্ন ও মলিন করিতে পারে না । এখন জাৰ্ম্মণি ইংলণ্ডের নিকট শিক্ষা করে, ইংলণ্ড জাৰ্ম্মণির নিকট শিক্ষা করে, তাই বলিয়া কি ইংলণ্ড ও জাৰ্ম্মণি নিজ নিজ জাতীয় অধিকার ভুলিয়া যায় ? কাল যদি Morocco for Egypt wieqi og e জার্শণির ভিতর যুদ্ধ বাধুে, তাহা হইলে কি ইহারা পরস্পরের বিদ্য, বিজ্ঞান, শাস্ত্রকে তুচ্ছ করিবে । শুধু তাঁহাই নয়, জাতীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ত আর ব্যক্তিগত বিদ্বেষ বা শত্রুতার সঙ্গে এক জিনিষ নয়। যুদ্ধক্ষেত্রেও ত যুদ্ধাবসানে শক্র শক্রকে সম্মান করে, যথাস্থস্থতি করে। অবশ্য ইংলণ্ডের সঙ্গে জাৰ্ব্বণির যে সম্বন্ধ, জামাদের সে সম্বন্ধ নয়, এ কথা স্বীকার