পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»ማo ইহাঁরা বোঝে না। এইজন্ত ইহাদের চক্ষে সকল মানুষই এক, সকল নেশনই সমান। নেশন অভিমান,ইহাদের মতে বিশ্বপ্রেমের অস্তুরায় হইয়া থাকে। এইরূপ একান্ত অভেদাত্মক বিশ্বপ্রেম বা মানবপ্রেম সত্যই হউক আর কল্পিতই হউক, সৰ্ব্বথাই দেশচর্য্য বা পেটিয়টিজমের সম্পূর্ণ বিরোধী। সত্য হইলেও ইহা নিতান্ত নিরাকার, ভাব ও আদর্শে কেবলমাত্র শূন্তামার্গচারী হইয়াই বিহার করে, জীবনে ও চরিত্রে, সামাজিক অনুষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানে কখনো নিবন্ধ হইতে পারে না । কল্পিত হইলে ইহা ঘোরতর তামসিক ভাবেব জাশুয়স্বরূপ হইয়া সাংঘাতিক হইয়া পড়ে। সকল মানুষই সমান—এক অর্থে ইহা অত্যন্ত সত্য। আর প্রত্যেক মামুষেরই এমন একটা অবস্থা হইতে পারে, যখন সত্যসত্যই জাতিগত, বর্ণগত, দেশগত, নেশনগত প্রভৃতি যাবতীয় ভেদজ্ঞান একেবারে বিলোপপ্রাপ্ত হয়। সে অনাবিল, সে উদার বিশ্বপ্রেম সাধন না করিলে মানবজন্ম সার্থক হয় না, স্বীকার করি ; কিন্তু প্রত্যক্ষ ভেদাভেদকে উপেক্ষা করিয়া এই অভেদজ্ঞান লাভ হয় না। সত্য অভেদজ্ঞান ভেদের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়; প্রকৃত উদ্বার বিশ্বজনীন মৈত্রীও সেইরূপ ভেদপ্রাণ স্বদেশচর্য্যের মধ্য দিয়াই সাধিত হয়, অন্ত উপায়ে নহে। गिरे छाप्ड भनयबाबरे श्रृंगड अरु ७ ভাল, সকলেই এক চিংশসস্থত। চৈতন্তবস্তও এক ও অখণ্ড। কিন্তু এই এক ও অদ্বিতীয় চৈতন্থেই বিবিধ উপাধি-সংযোগে যেমন জীবাভিমানের বা ব্যক্তিত্বের স্বষ্টি হয়, সেইরূপ ৰঙ্গদর্শন। [ ৬ষ্ঠ বর্ষ, গ্রীষণ । মানবজাতি মূলত এক সত্য, কিন্তু এই বিশাল ও অদ্বৈত বিশ্বমানবেই উপাধিসংযোগে নেশন অভিমান বা জাতীয়ত্বের উৎপত্তি হইয়া থাকে। আর, জীবের জীবত্বের মধ্য দিয়া এই জীবত্বকে ফুটাইয়া তুলিয়াই যেমন তাহার অন্তনিহিত প্রচ্ছন্ন শিবত্বকে প্রকাশিত করিয়া ব্ৰহ্মাত্মৈকত্ব প্রতিষ্ঠিত ও প্রত্যক্ষ করিতে হয় ; সেইরূপ মানবসমষ্টি সকলের নেশন অভিমানকে জাগ্রত ও সৎপথে পরিচালিত করিয়া তাহদের নেশনৃত্বের যথাযোগ্য প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠার দ্বারাই বিশ্বমানবের অঙ্গপুষ্ট সাধন করিতে হয়, অন্তথা নহে। ব্রহ্মচৈতন্ত যেমন জীবচৈতন্তে উপহিত হইয়া আছেন, বিশ্বমানবও সেইরূপ প.িচ্ছিন্ন নেশন অভিমানী মানবসমষ্টির মধ্যে উপহিত ও প্রচ্ছন্ন হইয়া রহিয়াছেন। জীব আত্মহত্যা করিয়া নহে, কিন্তু যথাযোগ্য আত্মবিকাশ ও আত্মপ্রতিষ্ঠার দ্বারাই যেমন আপনার অন্তরোপহিত ব্ৰহ্মচৈতন্তকে জাগ্রত ও প্রকাশিত করিয়া জীবনের সফলতালাভ করে, নেশনও সেইরূপ আত্মবিলোপ করিয়া নহে, কিন্তু যথাযোগ্য আত্মপ্রতিষ্ঠারই দ্বারা, অস্তরোপহিত বিশ্বমানবকে জাগ্রত ও প্রকাশিত করিয়া নেশনৃত্বের সার্থকতা সম্পাদন করিয়া থাকে। বিশ্বমানবের সঙ্গে বিশিষ্ট নেশন্‌সকলের অঙ্গাঙ্গী সম্বন্ধ। একটি নেশনও যদি আপনার সনাতন আদর্শ প্রকাশ করিয়া জীবনের সম্পূর্ণ সার্থকতা লাভ করিবার পূর্বে ভূপৃষ্ঠ হইতে একেবারে বিলোপপ্রাপ্ত কুয়, তবে বিশ্বমানব অঙ্গহীন হইরা পড়েন। বিশ্বমানবের প্রতি কাল্পনিক প্রেমের দ্বারা প্রণোদিত হইয়া, ৰাহারা স্বদেশপ্রেম বা স্বদেশচর্য্যকে উপেক্ষা