পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সংখ্যা । ] cमणन् वा जोडि । ృఆపి নিছেন তাকে ধন্যবাদ দিই; আর उ५ আনন্দ হ’তে বঞ্চিত হই, এ কথা নতমস্তকে . আমারই শুষ্কতা-অপরাধের, দরুণ আমি যে স্বীকার করি।” শ্ৰীয়ৰীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ● নেশন বা জাতি। [ স্বদেশী বা পেটিয়টিজম প্রবন্ধের অনুবৃত্তি ] নেশন অভিমান হইতেই দেশচর্য বা পেটয়টজমের উৎপত্তি হয়। আমার নেশন বলিয়া একটা সত্যবস্তু আছে, এই নেশন্‌ জগতের অপরাপর নেশন হইতে, স্বতন্ত্র, অপরাপর নেশন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ না হইলেও অন্তত তাহদের সম্পূর্ণ সমকক্ষ, আর এখন সম্পূর্ণ সমকক্ষ না হইলেও তাহার ভিতরে এমন শক্তি আছে,—যাহাতে কালে যথোপযুক্ত অবসর প্রাপ্ত হইলে আমার নেশনও জগতের প্রবলতম ও উন্নততম নেশনের তুল্য হইয়৷ উঠিতে পরিবে। এ সকল ভাব না থাকিলে স্বদেশপ্রেমের উৎপত্তিই হইতে পারে না। দুই দল লোক এই দেশচর্য্যের বিরোধী ; এক দল স্বদেশপ্রেমকে বিশ্বমানবের উদার প্রেমের বিরোধী বুলিয়ামনে করে ; অপর দল যে সকল উপকরণে নেশন গঠিত হয়, আমাদের মধ্যে সে সুকল উপকরণ আছে, ইহা বিশ্বাস করেন: প্রথমত বিশ্বপ্রেমিকের কথা। ইহারা একপ্রকার নিতান্তু নিরাকার মানবপ্রেমের তাণ করিয়া,থাকে। ইহাদের প্রাণে, পেটিয় ૨ টিজুম বলিতে যে উদ্বেল, উচ্ছ,সিত, জীবনীভিরাম স্বদেশপ্রীতিও স্বদেশচর্য্য বোঝায়, তাহ কদাপি জাগ্রত হয় নাই। আমার নেশন, আমার জাতি, আমার স্বদেশ বলিতে যে মুখভর উল্লাস, বুকভরা আশ, প্রাণভর উদ্যম, যে আশিষ, আনন্দ ও গৌরবভাব ফুরিত হইয় উঠে,—ইহাদের সে ভাবের কোনোই আস্বাদন ও অভিজ্ঞতা নাই। ইহারা মানুষকে ব্যষ্টিভাবেই জানে, চিরদিনব্যষ্টিভাবেই দেখিয়া থাকে। মানবসমষ্টিকেই ইহারা সমাজ বলিয়া মনে করে। জনতামাত্রেই সমাজ নহে, এ জ্ঞান ইহাদের নাই। সমাজবন্তু যে নিগৃঢ়ভাবে স্বপ্রতিষ্ঠিত বঙ্ক, সমাজের যে একটা নিজস্ব জীৱন, একটা নিজস্ব আদর্শ আছে ; সমাজের প্রত্যেক নরনারীর জীবন ও আদর্শ যাহাকে অংশত প্রকাশ করে মাত্র, কিন্তু সম্যক ও সম্পূর্ণ রূপে পৰ্যবসিত করিতে পুরে না ; এই সমাজ অদী হইয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে আপনার অঙ্গরূপে আপনার মধ্যে ধারণ করিয়া রহিয়াছে ; —এ সকল তত্ত্ব ইহার জানেন, এসকল কথা