পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্যের প্রকাশ ।

_*T్స్చ - یک به پایتختی تهیه

বৰ্ত্তমান কবিগণের সম্বন্ধে জনসাধারণ একটা দোষ দেয় যে, তাহাদিগকে বুঝা যায় না। সে বলে—সোজা কথাটা এত ঘুরপ্যাচের মধ্য হইতে বুঝিবার প্রয়োজন কি ? কবির কি আরও একটু খোলসা করিয়া কথাগুলা লিখিতে পারেন না ? কাব্যসম্বন্ধে এই ধরণের সমালোচনা করিয়া অনেকে বাহাদুরী লইবার চেষ্টা করিস্বাছে ; কিন্তু রুশদেশীয় সাহিত্যিক টলস্টয়ের ন্তায় বোধ হয় কেহই কবিসমাজকে এমন করিয়া নিন্দ করে নাই। টলস্টয় নিজের লেখায় ক্ৰিশ্চান্‌ নীতি ভিন্ন আর কোন নীতি অথবা সৌন্দর্য্যের স্থান দেন নাই—তাহার নিকট হইতে রহস্ত চিরদিনের জন্ত বিদায় লইয়াছে'। দুঃখের বিষয়, তিনি কবি নন। কবি হইলে কবির দরদ বুঝিতেন । কাব্যের প্রকাশ এরূপ ধোয়াল কেন ? তাহার কতকটা ছবি, কতকট সুর, কতকটা আইডিয়া—এইরূপে স্পষ্ট ও অস্পষ্ট নিলাষ্টয়; তাহার একটা সৌন্দর্য, কাহার ও কাহার ৪ কাছে লাগে, আয়ু”কেহ কেহ নিতাস্তই বিরক্ত ও বিপৰ্য্যস্ত হয় কেন ? অনেকে বলিবেন, স্বষ্টির নানারূপ থেয়াল আছে। পূৰ্ব্বে পৃথিবীতে ডাইনোসর, ত্রন্টোসিরল, ম্যামথ, ম্যাসটোডন প্রভৃতি অনেক কুকুত জানোয়ার ছিল, তাহদের কঙ্কাল দেখিলে এখন বিস্ময়ে অবাক হইয়। যাইতে হয়--সেইরূপ আইডিয়াকেও মানুষ ষে কত প্রকারেই বলে, কত চেহারাই দেয়, তাহায়ও কি কোথাও সুনির্দিষ্ট সীমা রচিত হইয়াছে ? কথাট সত্য শোনায় বটে, কিন্তু সত্য আদবেই নয়। আসলে পদ্য গদ্য-ছাড়া এক তন্ত্র জিনিষ। গদ্যের প্রকাশের দ্যায় তাহার প্রকাশ হইতেই পারে না—তাতার প্রকাশ চিরকালই তাহার মত, তাহাতে কোন ভুল নাই । মমে কর, যেন আমাদের চেতনা (consciousness o একটা মন্দির । তাহার বাহিরে গাছপালা, পথঘাট, লোকজনের অবিরাম যাতায়াত তুমি সুস্পষ্ট দেখিতে পাইতেছ, কিন্তু তাহার ভিতরে কি চলিতেছে, সে সম্বন্ধে তুমি সচেতন ন ও । দৈবাৎ দুটে:-একটা শক কি একটা ঘণ্টার শব্দে কিংবা একটা আলোর ক্ষণিক রশ্মিপাতে তুমি চম্কিয়া উঠিতেছ - অনেকগুলো অক্তান জিনিষের ছবি যেন চোখের নিমিষে তোমার সম্মুখ দিয়া চলিয়া মাইতেছে। তথন যপি সেই ক্ষণিক উপলব্ধিগুলোর কথা তোমার ভাষায় ফুটাইয়া তুলিতে হয়, তুমি কি কর । কেবল আভাসে-ইঙ্গিতে, তোমার কিরূপ লাগিয়াছে, এইটুকু স্থানান ছাড়া তোমার আর উপায় নাই । আমরা যাহা জানি, স্পষ্টই জানি, তাহার ভাষা গপ্ত— কিন্তু আমরা যাহা জানি, অথচ সম্পূর্ণরূপে