পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম গংখ্যা । ] নীলাম্বরী। ३३१ কি ?” অলঙ্কারশিঞ্জিতে আমার উপচয়মান বক্তৃতার উচ্ছসি নিমজ্জিত করিয়া দিয়া তিনি দ্রুতপদে কক্ষাস্তরে গমন করিলেন। পরদিন প্রাতে চ-এর টেবিলে ভবানীবাবুর নিমন্ত্রণ পাইলাম। অতি প্রত্যুযে, ঈষৎ গোলাপীরঙের সুপ্রসর মলমলের চাদরে তাহার স্থূলদেহ আপাদম্বন্ধ আবৃত করিয়া ভবানীবাবু ধীরপদসঞ্চারে . আমার কক্ষে প্রবেশ করিয়াই একেবারে একখানা চেয়ার টানিয়া তাহাতে উপবিষ্ট হইলেন। আমি চেয়ার ছাড়িয়া উঠিয় তাহার সংবৰ্দ্ধনার জন্ত ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িলাম। কিন্তু আমি উঠিবার পূৰ্ব্বেই তাহার আসনপরিগ্রহ করা হইয়া গিয়াছে। সুতরাং কেবল উচ্চহস্ত করিয়া তিনি আমার অপ্রতিভভাবের সমালোচনা করিলেন। চ-পান শেষ হইলে ভবানীবাবু বলিলেন, “আজি সন্ধ্যায় আমার ওখানে আপনি আহার করিবেন। দেখিবেন, যেন ভুলিবেন না।” এই বলিয়া তিনি পকেট হইতে দেশলাই ও চুরুট বাহির করিয়া অতি যত্বপূর্বক চুক্লটে অগ্নিসংযোগ করিলেন ও কিছুক্ষণের জন্য ধূমপানে তন্ময় হইলেন। “সন্ধার একটু পূৰ্ব্বেই যাইবেন। ছ'একবাজি দাবা খুেল যাইবে। দু’একখানা গানও শোনা যাইতে পরিবে। আর নেহাৎ किकू न द्रुद्र, झछरन थांनिक ठि९*ांउ श्ब्र পড়িয়া শুকাও ত যাইবে। কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়া বই ত নয়। আমার বোধ হয়, মাঝে মাঝে বন্ধুবান্ধবে মিলিয়া ঐরূপ একএকটা সান্ধান্সমিতি বা আড্ডার জোগাড় করিলে মন্দ হয় না-বাহাতে সকলে মিলিয়া একটা বিস্তৃত ফরাশের উপর একএকটি তাকিয়া লইয়া. শ্রেষ্ণু চুপচাপ পড়িয়া থাকা যায়। অবশু রঙ্গালয়ে ধুমপান নিষিদ্ধ নহে। সময়টা বেশ কাটিয়া যায়—বুঝেচেন গোপালবাবু, বেশ বেমালুম কাটিয়া যায়।” এইরূপ মন্তব্য প্রকাশ করিা ভবানীবাৰু র্তাহার অনাদৃত অপরিসমাপ্ত চুক্লটের কুগুলীকৃত ধূমপুঞ্জে কিছুক্ষণের জন্ত মন ও মুখমণ্ডলকে যুগপৎ নিমজ্জিত করিয়া দিলেন। ভবানীবাবু বড় অমায়িক লোক। স্বভাবটি অতি সুন্দর। একবার পরিচয় হইলে, সহজে তাহাকে ভুলিতে পারা যায় না। র্তাহার হৃদয় সৰ্ব্বদাই যেন উন্মুক্ত-কৃত্রিমতার ব্যবধান সেখানে কোন সীমা নির্দিষ্ট করিয়া দেয় নাই। এই সকল কারণে অল্প পরিচয়েই তাহার প্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিলাম। " অন্ত কথাবাৰ্ত্তার পর তিনি বিদায়ুগ্রহণ করিলেন। যাইবার সময় বলিলেন, “দেখিবেন, যেন দিনের কাজের গোলযোগে নিমন্ত্রণের . বিষয় ভুলিয়া যাইবেন না। এ নিমন্ত্রণটা আমার গৃহিণীর পক্ষের, স্বতরাং অত্যন্ত জরুরি।” 及 আমি বলিলাম, “শরীর ভাল থাকিলে—” ভবানীবাবু-ঈশ্বরেচ্ছায় ঈশ্বরেচ্ছায়" বলিতে বলিতে সহাস্তমুখে বাহির হইয় গেলেন। সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে ভবানীবাবুর গৃহে উপস্থিত হইলাম। . তাহার ছোটখাটাে বৈঠকখানার মেজের সতরঞ্চ ও চাদরের ফরাশ। তদুপরিবিভিন্ন মায়তনের গোটাকয়েক তাকিয় অধিকার করিয়া কয়েকটি বাবু একটি