বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা। ] शाउँौब्र थांऊ बूथवाॉनांत्र कब्रिग्र श्रांप्इ ; সেই খাতের তলদেশে,—গৃহ, মন্দির, মসজিদ প্রভৃতির ভগ্নাবশেষ । যদিও আমি খুব উচ্চে উঠিয়াছি,—তথাপি আমার চতুর্দিকে আরো কত উচ্চতর ভূমি রহিয়াছে। যে শৈলভূমির উপর এই প্রাসাদটি অধিষ্ঠিত, উহা চক্রাকারে-পরিবেষ্টিত আর একটা উচ্চতর পর্বতমালার কেন্দ্রস্থল। আমার চতুর্দিকে,• সরু সরু .তীক্ষাগ্র লালপাথরের বড় বড় শৈলচুড়া;—সমস্তই প্রাকারে বেষ্টত। এই প্রাকারাবী—উচ্চতম চুড়াপ্রাস্ত পৰ্য্যস্ত বরাবর সমান চলিয়া গিয়াছে ; এবং এই দস্তুর বগ্রের করাতী-দস্ত, পীতাভ আকাশের গায়ে, অতীব নির্দয়ভাবে অঙ্কিত রগিছে। এই অন্তৰীক্ষের প্রাচীরুট প্রকাওপ্রকাও প্রস্তরখণ্ডের দ্বারা গঠিত এবং এরূপ সঙ্কটস্থানের উপর স্থাপিত যে, উহা দুরধিগম্য বলিলেও হয় ;—একটা চক্রের পরিধিরূপে কয়েকক্রোশ ঘিরিয়া রহিয়াছে । ইহা অতীতযুগের এমন একটি কীৰ্ত্তি--যাহার ঔদ্ধত্য ও প্রকাওতায় একেবারে বিস্ময়বিহবল হইয়া পড়িতে হয়। এই সব প্রাকারাদি এত উচ্চে উঠিয়াছে—এমন বেপরোয়াভাবে খাড়া হইয়। রহিয়াছে যে, দেখিলে মাথা ঘুরিয়া যায়। বহু পুরাকালে, এই নগরের জন্ত,—নিম্নস্থ এই রাজপ্রাসাদের জন্ত, -একটি অপূৰ্ব্ব প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করা আবশুক বিবেচিত হইয়াছিল ; তাই, এই চতুৰ্দ্দিকৃস্থ শৈলমালাকে দুর্ভেদ্য গিরিছৰ্গে পরিণত করা হয়। এই প্রাকারপরিধির মধ্যে প্রবেশ করিবার একটিমাত্র ফুকর আছে ; , ইহা একটা বৃহৎ প্রাকৃতিক “কাটলের মত তুর্ভিক্ষপীড়িত ভারতে। १69 উহার মধ্য দিয়া সুদূরপ্রসারিত একটা মরুভূমি অস্ফুটভাবে পরিলক্ষিত হয়। এইখানে আসিবার জন্ত, আমি দিবাবসানে জয়পুর হইতে ছাড়িয়াছি। যে সকল ভগ্না, বশেষ আমার চারিদিকে ঘিরিয়া আছে,— ইহাই পুরাতন রাজধানী অম্বর। দুই শতাব্দী হইল, ইহার স্থান জয়পুর অধিকার করি য়াছে ॥* কতকগুলি থার্থপ্রদর্শক সঙ্গে লইয়া—এবং “সুন্দর গোলাপীনগরের” রাজা আমার ব্যবহারের জন্য যে ঘোড়া দিয়াছেন, সেই সব ঘোড়া লইয়া আমি যাত্রা করিয়াছি । এই অম্বর-প্রাসাদে যে সব ছাদের উপর আমি এইমাত্র উঠিয়াছি--এই সব ছাদে বর্তমান রাজার পূর্বপুরুষের পূৰ্ব্বে বাস করিতেন। আমি জয়পুরের রমণীয় পরীকৃগু ও দাস্তে-বর্ণিত ভীষণ নরকবৃশু,—এই উভয়ই এড়াইবার জন্ত তাড়াতাড়ি জয়পুর হইতে বাহির হইয়া এই পল্লিপ্রদেশে আসিয়াছি । আর-কিছু না হোক--অঙ্গত, এখানে সমস্তই শেষ হইয়া গিয়াছে,—এখন শুধু মৃত্যুর নিস্তব্ধতা বিরাজ করিতেছে। " কিন্তু আমি জানিতাম—দুর্গপ্রাকারের দ্বারদেশ পার হইবামাত্র, আমাকে আরো একটা ঘোরতর ভীষণ পথ অতিক্রম করিতে হইবে । যুদ্ধের অনেকদিন .পরে, যুদ্ধক্ষেত্রের মত একটা-কোন দৃপ্ত হয় ত আমাকে দেখিতে —হয় ত দেখিতে হইবে, হুর্ধ্যাতপশুষ্ক রাশি রাশি মৃতশরীর বহুদিন হইতে ইতস্তত পড়িয়া রছিয়াছে ; হয় ত দেখিব, কতকগুলা শবশরীর নিশ্বাস কেলিতেছে,—নড়িতেছে—

  • ১৭২৮ খ্ৰীষ্টাব্দে জয়পুর স্থাপিত হয়